বাংলাদেশ - ভারত সিরিজ

ভারতকে হোয়াইটওয়াশ করাও সম্ভব: সুজন

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
প্রকাশের তারিখ: 15:46 বৃহস্পতিবার, 08 ডিসেম্বর, 2022

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||

রোহিত শর্মা জয়টা প্রায় ছিনিয়েই নিয়েছিলেন। তবে দারুণ এক ইয়র্কারে সেটা হতে দেননি মুস্তাফিজুর রহমান। ৫ রানের জয়ে উল্লাসে ফেটে পড়ল পুরো বাংলাদেশ। টানা দুই ম্যাচ জিতে সিরিজ নিজেদের করে নিয়েছে লিটন দাসের দল। বাংলাদেশের সামনে হাতছানি দিচ্ছে ভারতকে প্রথমবার হোয়াইটওয়াশ করার। সেটা সম্ভব বলে মনে করেন খালেদ মাহমুদ সুজন।

সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে মুস্তাফিজ যখন মেহেদি হাসান মিরাজের সঙ্গী হলেন তখনও বাংলাদেশের জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ৫১ রান। হতাশা নিয়ে তখন গ্যালারি ছাড়তে শুরু করেছিলেন খেলা দেখতে আসা সমর্থকরা। তবে চাপের মাঝে দাঁড়িয়ে দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে ক্রমশই দৃশ্যপট বদলাতে থাকেন মিরাজ।

ডানহাতি এই ব্যাটারকে দারুণভাবে সঙ্গ দিয়েছেন মুস্তাফিজও। শেষ পর্যন্ত স্নায়ুচাপ সামলে ভারতের জয় ছিনিয়ে আনেন মিরাজ। এক উইকেটের জয়ে বাংলাদেশকে ওয়ানডে সিরিজে এগিয়ে নেন তিনি। এদিকে দ্বিতীয় ম্যাচে টস জিতে ব্যাটিং করতে নেমে শুরুতেই ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ।

৬৯ রানে ৬ উইকেট হারানোর পর আবারও স্বাগতিকদের ত্রাণকর্তা মিরাজ। কার্যকরী হাফ সেঞ্চুরিতে তাকে দারুণভাবে সঙ্গ দিয়েছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। মিরাজের সেঞ্চুরির সঙ্গে শেষ দিকে নাসুম আহমেদের ক্যামিও বাংলাদেশকে বড় পুঁজি এনে দেয়। বাকি কাজটা সেরে বাংলাদেশকে সিরিজ জেতান এবাদত হোসেন-মুস্তাফিজরা।

দ্বিতীয়বারের মতো ভারতের বিপক্ষে জেতা বাংলাদেশের সামনে এবার সুযোগ হোয়াইটওয়াশের। এর আগে ২০১৫ সালেও ভারতকে হোয়াইটওয়াশ করার সুযোগ পেয়েছিল বাংলাদেশ। তবে মহেন্দ্র সিং ধোনির দলের কাছে শেষ ম্যাচ হারায় বাংলাওয়াশ করা হয়নি ভারতকে। তবে চট্টগ্রামে সেটা সম্ভব বলে মনে করেন সুজন।

বাংলাদেশের টিম ডিরেক্টর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপচারিতায় বলেন, ‘অবশ্যই স্বপ্ন দেখি (ভারতকে হোয়াইটওয়াশের)। আমি মনে করি অবশ্যই সম্ভব। আমরা এখনও আমাদের সেরা ক্রিকেট খেলতে পারছি বলে মনে করি না। যদিও আমরা দুইটা ম্যাচ জিতছি, আমাদের টপ অর্ডার ব্যাটিং থেকে আরও আশা করি। আমরা আরও ভালো ব্যাটিং করতে পারি, আরও ভালো কিছু করতে পারি। বোলাররা যেভাবে চাপের মাঝে বোলিং করেছে তাতে আমি খুবই খুশি। টপ অর্ডার ব্যাটিংয়ে বড় জুটি, কারও বড় রান এটা দেখার অপেক্ষায় আসলে।’

‘আমি মনে করি খুবই সম্ভব। চট্টগ্রামের উইকেটে আমরা যদি ভালো ব্যাটিং করি, ভালো জায়গায় বোলিং করি অবশ্যই সম্ভব। ভারত যে না হারানোর মতো দল না এটা আমরা জানি এখন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আমরা যেকোন দলকে বিশেষ করে ওয়ানডে সংস্করণে হারাতে পারি। সুতরাং সেই সাহস আর সামর্থ্য দুটোই আছে। সেই বিশ্বাসটা নিয়ে যদি মাঠে নামি তাহলে আমি মনে করি চট্টগ্রামেও সম্ভব হারানো।’