অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট

ওয়ার্নারের কাঁধে অস্ট্রেলিয়ার নেতৃত্ব চান না ক্লার্ক

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
প্রকাশের তারিখ: 15:35 সোমবার, 05 ডিসেম্বর, 2022

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||

খুব দ্রুতই নেতৃত্ব থেকে নিষেধাজ্ঞা উঠে যেতে পারে ডেভিড ওয়ার্নারের। সাবেক এই সহ-অধিনায়কের নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে নিজেদের আইনেও খানিকটা পরিবর্তন এনেছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (সিএ)। নেতৃত্ব থেকে নিষেধাজ্ঞা উঠে গেলেও ওয়ার্নারের কাঁধে অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়কত্ব চান না মাইকেল ক্লার্ক।

গত ফেব্রুয়ারি থেকেই ওয়ার্নারের নেতৃত্বের নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার বিষয়টি আলোচনায় আসে। এ নিয়ে দফায় দফায় বৈঠক করে সংশ্লিষ্টরা। এরপর আইনে সংশোধন এনে বলা হয়, নিষেধাজ্ঞা থেকে মুক্তি লাভের জন্য আপিল বা আবেদন করতে পারেন বাঁহাতি এই ব্যাটার।

ইতোমধ্যে আপিলও করেছেন ওয়ার্নার। এদিকে অস্ট্রেলিয়ার গণমাধ্যমগুলোর দাবি, আগামী বিগ ব্যাশেও সিডনি থান্ডারের নেতৃত্ব পাবেন এই ওপেনার। মূলত জাতীয় দলের জন্য তাকে ছন্দে ফেরাতেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংশ্লিষ্টরা।

এমন সিদ্ধান্ত একেবারেই পছন্দ হয়নি ক্লার্কের। তার মতে, ৩৬ বছর বয়সী ওয়ার্নারকে নেতৃত্বে ফেরানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে 'বাণিজ্যিক' কারণে। ২০১৫ সালে অস্ট্রেলিয়াকে ওয়ানডে বিশ্বকাপ জেতানো এই অধিনায়ক আরও মনে করেন, তরুণ কারও কাঁধেই দেয়া উচিত নেতৃত্বের ভার।

ক্লার্ক বলেন, 'আপনি যদি ওয়ার্নারকে অধিনায়ক বানানোর জন্য লড়াই করতে থাকেন তাহলে সেটা বাণিজ্যিক কোনও উদ্দেশে। আমি মনে করি না, বিগব্যাশে ওয়ার্নারের অধিনায়কত্ব পাওয়াটা সঠিক। আমি জানি, সে এমন কোনো ক্যাম্পেইনে নেই এবং নেতৃত্বের দৌড় থেকে সরে গেছে। এটা নিয়ে আলোচনা বাদ দেয়া উচিত।'

'তরুণদের আমরা যত সামনে আনতে পারি ততই ভালো। ঘরোয়া ক্রিকেটে আমাদের নেতা খুঁজতে হবে। ঘরোয়াতে ৫-৬ জন ক্রিকেটার নেতৃত্ব নেয়ার মতো পজিশনে আছে। আমি জানি না সেখানে কেউ নজর রাখছে কিনা অথবা এর গুরুত্ব বুঝতে পারছে কিনা।'

২০১৮ সালে বল বিকৃতি কান্ডে জড়িয়ে অধিনায়কত্বে নিষেধাজ্ঞা পেয়েছিলেন সেই সময়ের অস্ট্রেলিয়া দলের অধিনায়ক স্মিথ এবং সহ-অধিনায়ক ওয়ার্নার। এমন ঘটনায় অস্ট্রেলিয়ার হয়ে এক বছর না খেলতে পারার পাশাপাশি নেতৃত্ব থেকে আজীবনের নিষেধাজ্ঞা পান ওয়ার্নার।

নেতৃত্ব থেকে ওয়ার্নার আজীবন নিষেধাজ্ঞা পেলেও স্টিভ স্মিথ মাত্র দুই বছরের সাজা পান। যেটা কাটিয়ে অস্ট্রেলিয়ার টেস্ট সহ-অধিনায়কত্বও পান তিনি। গুঞ্জন আছে, অস্ট্রেলিয়ার পরবর্তী টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক হতে পারেন ওয়ার্নার।

কেননা বর্তমান নেতা ফিঞ্চ এই ফরম্যাটে দিন দিন অফ-ফর্মেই যাচ্ছেন এবং ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তার না খেলার সম্ভাবনাই অনেক বেশি।

ওয়ার্নারকে পুনরায় নেতা হওয়ার জন্য উপযুক্ত করতে সিএ'র আইনে যে সংশোধনী করা হয়েছে, তাতে বলা হয়েছে খেলোয়াড় ও স্টাফরা দীর্ঘমেয়াদী শাস্তি পরিবর্তনের জন্য আবেদন করতে পারবেন। পরবর্তীতে তিন সদস্যের প্যানেল মেম্বাররা সেই আবেদন তদন্ত করবেন।

অর্থাৎ উক্ত খেলোয়াড় বা স্টাফ আসলেই অনুতপ্ত হয়েছেন কিনা এবং পুনর্বাসন প্রক্রিয়া পর্যাপ্তভাবে সম্পূর্ণ হয়েছে কিনা সেটাই তারা দেখবেন। সমস্ত প্রক্রিয়াটিকে আপিল বা রিভিউ বলছে না সিএ। বরঞ্চ এটাকে তারা বলছে মডিফাই বা আইনি পরিবর্তন। আর এমনটা হলে নেতৃত্বের নিষেধাজ্ঞা থেকে নিশ্চিতভাবেই মুক্তি পেতে যাচ্ছেন ওয়ার্নার।