অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট

ওয়ার্নারকে অস্ট্রেলিয়ার নেতৃত্বে চান ম্যাকগ্রা

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
প্রকাশের তারিখ: 13:05 শনিবার, 26 নভেম্বর, 2022

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||

খুব দ্রুতই নেতৃত্ব থেকে নিষেধাজ্ঞা উঠে যেতে পারে ডেভিড ওয়ার্নারের। সাবেক এই সহ-অধিনায়কের নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে নিজেদের আইনেও খানিকটা পরিবর্তন এনেছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (সিএ)। নেতৃত্ব থেকে নিষেধাজ্ঞা উঠে গেলে যেকোনো ফরম্যাটে অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়কত্ব তার কাঁধে চান গ্লেন ম্যাকগ্রা।

গত ফেব্রুয়ারি থেকেই ওয়ার্নারের নেতৃত্বের নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার বিষয়টি আলোচনায় আসে। এ নিয়ে দফায় দফায় বৈঠক করে সংশ্লিষ্টরা। এরপর আইনে সংশোধন এনে বলা হয়, নিষেধাজ্ঞা থেকে মুক্তি লাভের জন্য আপিল বা আবেদন করতে পারেন বাঁহাতি এই ব্যাটার।

ওয়ার্নারকে পুনরায় নেতা হওয়ার জন্য উপযুক্ত করতে আইনে যে সংশোধনী করা হয়েছে, তাতে বলা হয়েছে খেলোয়াড় ও স্টাফরা দীর্ঘমেয়াদী শাস্তি পরিবর্তনের জন্য আবেদন করতে পারবেন। পরবর্তীতে তিন সদস্যের প্যানেল মেম্বাররা সেই আবেদন তদন্ত করবেন।

অর্থাৎ উক্ত খেলোয়াড় বা স্টাফ আসলেই অনুতপ্ত হয়েছেন কিনা এবং পুনর্বাসন প্রক্রিয়া পর্যাপ্তভাবে সম্পূর্ণ হয়েছে কিনা সেটাই তারা দেখবেন। সমস্ত প্রক্রিয়াটিকে আপিল বা রিভিউ বলছে না সিএ। বরঞ্চ এটাকে তারা বলছে মডিফাই বা আইনি পরিবর্তন। আর এমনটা হলে নেতৃত্বের নিষেধাজ্ঞা থেকে মুক্তি পেতে যাচ্ছেন ওয়ার্নার।

সিএ'র এমন পদক্ষেপে সন্তুষ্ট হয়ে ম্যাকগ্রা বলেন, 'আমি মনে করি ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া ব্যাপারটা এমনভাবে সামাল দিয়েছে তাতে করে ওয়ার্নারের অধিনায়কত্ব পাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। আমার মনে হয় তারা (স্মিথ, ওয়ার্নার, ব্যানক্রফট) এর মূল্যও দিয়েছে।'

কিংবদন্তি এই পেসার আরও বলেন, 'আমার মনে হয় বল টেম্পারিংয়ের জন্য অন্য যেসব ক্রিকেটার শাস্তি পেয়েছে, তাদের মধ্যে তারাই সবচেয়ে বেশি শাস্তি পেয়েছে। ওয়ার্নার যদি নেতৃত্ব নিতে চায় তাহলে তার জন্য শুভকামনা থাকল। সে খুবই নিবেদন এবং আগ্রাসী মনোভাব নিয়ে খেলে। আমি মনে করি, তার শাস্তি পূর্ণ হয়েছে এবং সে নেতৃত্বের দাবিদার।'

২০১৮ সালে বল বিকৃতি কান্ডে জড়িয়ে অধিনায়কত্বে নিষেধাজ্ঞা পেয়েছিলেন সেই সময়ের অস্ট্রেলিয়া দলের অধিনায়ক স্মিথ এবং সহ-অধিনায়ক ওয়ার্নার। এমন ঘটনায় অস্ট্রেলিয়ার হয়ে এক বছর না খেলতে পারার পাশাপাশি নেতৃত্ব থেকে আজীবনের নিষেধাজ্ঞা পান ওয়ার্নার।

নেতৃত্ব থেকে ওয়ার্নার আজীবন নিষেধাজ্ঞা পেলেও স্টিভ স্মিথ মাত্র দুই বছরের সাজা পান। যেটা কাটিয়ে অস্ট্রেলিয়ার টেস্ট সহ-অধিনায়কত্বও পান তিনি। এমনকি শেষবারের অ্যাশেজ সিরিজে অস্ট্রেলিয়ার নিয়মিত টেস্ট অধিনায়ক প্যাট কামিন্স যখন করোনা আক্রান্ত হন, তখন অ্যাডিলেড টেস্ট নেতৃত্ব দেন স্মিথ।

অস্ট্রেলিয়ার পরবর্তী টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক হতে পারেন ওয়ার্নার। কেননা বর্তমান নেতা ফিঞ্চ এই ফরম্যাটে দিন দিন অফ-ফর্মেই যাচ্ছেন এবং ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তার না খেলার সম্ভাবনাই অনেক বেশি।