বিসিএল

দিপুর ১০১ ও মাহমুদউল্লাহর ৯৬, ফাইনালে নর্থ জোন

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
প্রকাশের তারিখ: 17:55 বৃহস্পতিবার, 24 নভেম্বর, 2022

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||

মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন-শফিকুল ইসলামের দুর্দান্ত বোলিংয়ের পরও ব্যাট হাতে দলের হয়ে একাই লড়েছেন মোহাম্মদ মিঠুন। সৌম্য সরকার-নাজমুল হোসেন শান্তদের ব্যর্থদের দিনে মিঠুন তুলে নিয়েছেন সেঞ্চুরিও। তবে ডানহাতি এই ব্যাটারের সেঞ্চুরি ম্লান হয়েছে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ৯৬ এবং শাহাদাত হোসেন দিপুর ১০১ রানের ইনিংস। তাদের দুজনের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে সেন্ট্রাল জোনকে ৫ উইকেটে হারিয়ে বিসিএলের ফাইনালে জায়গা করে নিলো নর্থ জোন।

বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (বিকেএসপি) ৩ নম্বর মাঠে জয়ের জন্য ২২৯ রান তাড়া করতে নেমে ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই উইকেটে হারায় নর্থ জোন। রবিউল হকের বলে তুলে মারতে গিয়ে তাইজুল ইসলামের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন সৈকত আলী। তিনে নেমে ইনিংস বড় করতে পারেননি লিটন দাসও। 

মুশফিক হাসানের বলে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ডিপ মিডউইকেটে থাকা আব্দুল মজিদের হাতে ক্যাচ দেন ডানহাতি এই ব্যাটার। লিটন এদিন আউট হয়েছেন ৮ বলে ৯ রান করে। দিপুর সঙ্গে ফজলে মাহমুদ রাব্বি প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করলেও সেটা খুব বেশি  বড় করতে পারেননি। তাদের দুজনের জুটি ভেঙেছেন মুশফিক। ডানহাতি এই পেসারের বলে উইকেটকিপার জাকের আলী অনিকের গ্লাভসে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ১১ রান করা রাব্বি। 

এরপর অবশ্য দারুণ এক জুটি গড়েন তোলেন দিপু এবং মাহমুদউল্লাহ। মুশফিকের বলে ডিপ মিড উইকেট দিয়ে চার মেরে ৯১ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন দিপু। এরপর সেন্ট্রাল জোনের বোলারদের উপর চড়াও তরুণ এই ওপেনার। তাকে দারুণভাবে সঙ্গ দেয়া মাহমুদউল্লাহ হাফ সেঞ্চুরি পেয়েছেন মুমিনুল হকের বলে ছক্কা মেরে। 

বাঁহাতি এই স্পিনারের বলে ডিপ মিড উইকেট দিয়ে উড়িয়ে মেরে ৬৩ বলে হাফ সেঞ্চুরি পান মাহমুদউল্লাহ। সেন্ট্রাল জোনের অগোছালো বোলিংয়ের সুযোগ নিয়ে দারুণ সব শট খেলতে থাকেন এই ব্যাটার। মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের বলে ডিপ কভারে ঠেলে দিয়ে এক রান নিয়ে সেঞ্চুরি তুলে নেন দিপু। তরুণ এই ব্যাটার সেঞ্চুরি পেয়েছেন ১৪৮ বলে। 

সেঞ্চুরি পাওয়ার পর অবশ্য দীর্ঘস্থায়ী হতে পারেননি দিপু। মমিনুলের বলে লেগ বিফোর উইকেটের ফাঁদে পড়ে সাজঘরে ফেরেন ১০১ রান করা এই ব্যাটার। শেষ দিকে সেঞ্চুরির খুব কাছে গেলেও সেটা করা হয়নি মাহমুদউল্লাহর। দলের রান যখন প্রয়োজন মাত্র ২ তখন সেঞ্চুরির জন্য মাহমুদউল্লাহর প্রয়োজন ৪।

এমন সময় শান্তর বলে ডাউন দ্য উইকেটে খেলতে গিয়ে স্টাম্পিং হয়েছেন তিনি। ফলে সেঞ্চুরির আক্ষেপ নিয়ে ৯৬ রানে ফিরে যেতে হয় অভিজ্ঞ এই ব্যাটার। শেষ দিকে আকবর আলী এবং শামীম হোসেন পাটোয়ারি নর্থ জোনের জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়েন। সেন্ট্রাল জোনের হয়ে দুটি উইকেট নিয়েছেন মুশফিক।

এর আগে ব্যাটিং করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ২২৮ রানের পুঁজি পায় সেন্ট্রাল জোন। দলটির হয়ে সর্বোচ্চ ১২১ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেছেন মিঠুন। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৮ রান এসেছে পেসার হাসান মাহমুদের ব্যাট থেকে। দুটি করে উইকেট নিয়েছেন সাইফউদ্দিন, শফিকুল এবং সৈকত।