বাংলাদেশ - ভারত সিরিজ

ভারত সিরিজে বাংলাদেশেই থাকবেন সিডন্স, তবে...

আবিদ মোহাম্মদ

আবিদ মোহাম্মদ
প্রকাশের তারিখ: 19:02 বৃহস্পতিবার, 17 নভেম্বর, 2022

|| ক্রিকেট করেসপন্ডেন্ট ||

দ্বিতীয় মেয়াদে জেমি সিডন্সকে বাংলাদেশ দলের সঙ্গে যুক্ত করার সময় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) জানিয়েছিল, শুধু জাতীয় দলের জন্য আনা হচ্ছে না এই অস্ট্রেলিয়ানকে। তবে ফেব্রুয়ারিতে দায়িত্ব নেয়ার পর এখন পর্যন্ত জাতীয় দলেই বেশি সময় দিয়েছেন সিডন্স। তবে এবার তার অভিজ্ঞতা ভিন্ন জায়গাতেও প্রয়োগ করতে চায় বিসিবি।

চলতি মাসে বাংলাদেশে দুটি চারদিনের ম্যাচ খেলতে আসবে ভারতের ‘এ’ দল। ২৫ নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া সিরিজটিতে বাংলাদেশ ‘এ’ দলের সঙ্গে কাজ করতে পারেন সিডন্স। বিষয়টি এখনও চূড়ান্ত না হলেও এই অস্ট্রেলিয়ানের সঙ্গে আলোচনায় বসতে যাচ্ছে বিসিবি। ভারতের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ চলাকালীন সিডন্সকে ‘এ’ ব্যাটিং পরামর্শকের দায়িত্ব দিতে চায় বাংলাদেশ।

২৫ নভেম্বর থেকে ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে সিরিজটি। সে সময় বাংলাদেশে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলতে আসবে ভারতের জাতীয় দলও। ৪ ডিসেম্বর শুরু হবে ৩ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ। কিন্তু ‘এ’ দলের দায়িত্বে নিলে এই সিরিজে সিডন্সকে ছাড়াই খেলতে হবে সাকিব আল হাসান-তামিম ইকবালদের।

সিডন্সকে ‘এ’ দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত করার বিষয়ে ক্রিকফ্রেঞ্জিকে জালাল ইউনুস জানিয়েছেন, আপাতত পুরো বিষয়টি আলোচনার পর্যায়ে আছে। বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যানের ভাষ্যমতে, ‘ওয়ানডে সিরিজে থাকছে না এটা এখনও চূড়ান্ত না। আমরা এখনও সিদ্ধান্ত নিইনি।’

‘সে আসলে আমরা আলোচনা করব এবং এরপর একটা সিদ্ধান্ত নেব। যেহেতু তার চুক্তিটা শুধু জাতীয় দল কেন্দ্রিক নয়। তাকেকে (সিডন্স) অন্য জায়গায় দায়িত্ব দেয়া হতে পারে। ভারত সিরিজ চলাকালীন আমাদের অন্য খেলাও আছে। এমনও হতে পারে সে সেখানে দায়িত্ব পালন করছে।’

২০২১ সালের ডিসেম্বরে সিডন্সকে দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্ব দেয়ার বিষয়টি ঘোষণা করে বিসিবি। সে সময় বোর্ড প্রেসিডেন্ট নাজমুল হাসান পাপন জানিয়েছিলেন, সিডন্সকে তরুণ ও উঠতি ব্যাটসম্যানদের ঘষেমেজে তৈরি করার জন্যই আবার বাংলাদেশের ক্রিকেটে ফিরিয়ে আনা হচ্ছে।

কিন্তু সিডন্স আসার মাস দেড়েক পরই বাংলাদেশের দায়িত্ব ছেড়ে দেন জাতীয় দলের তখনকার ব্যাটিং কোচ অ্যাশওয়েল প্রিন্স। সিডন্স তখন স্বয়ংক্রিয়ভাবে জাতীয় দলের ব্যাটিং কোচ হয়ে যান। এখনও পর্যন্ত সেভাবেই চলছে। গেল বছর বোর্ড প্রেসিডেন্ট বলেছিলেন, ‘তাকে আমরা ব্যাটিং কনসালটেন্ট হিসেবে নিয়োগ দিচ্ছি। কোথায় করবে, কি করবে সেটা এখনও ফাইনাল করা হয় নেই, আশা করছি ফেব্রুয়ারিতেই হয়ত বা সব কিছু ঠিক থাকলে সে আমাদের এখানে ব্যাটিং কনসালটেন্ড হিসেবে জয়েন করবে।’

দুই বছরের জন্য বাংলাদেশের সঙ্গে সিডন্স চুক্তি করলেও প্রথম ১০ মাস জাতীয় দলের পেছনেই কাটিয়ে দিয়েছেন। তবে এবছর আগস্টে বোর্ড প্রেসিডেন্ট ইঙ্গিত দিয়েছিলেন এই অজিকে দ্রুত অন্য জায়গায় কাজে লাগানোর। নাজমুল হাসান বলেছিলেন, ‘সিডন্সের সঙ্গে কথা আগে থেকেই ছিল যে শুধু জাতীয় দল নিয়ে কাজ করবে না, ডেভেলপমেন্টে কাজ করবে। ওরও ইচ্ছে এরকমই ছিল। কিন্তু এখানে আসার পর শুধু জাতীয় দলের সঙ্গেই ভ্রমণ করছে।’

‘ডেভেলপমেন্টে কাজই করতে পারছে না। জাতীয় দলের ব্যস্ততার ফাঁকে সময়ই পাচ্ছে না। সামনে সে মূলত ডেভেলপমেন্টে কাজ করবে। বিভিন্ন বয়সি ১০-১৫-২০টি ছেলে যদি আমরা তাকে দিয়ে দেই, এইচপিতে এরকম ছেলে আছে, ‘এ’ দল, বাংলাদেশ টাইগার্সে আছে। ওদের নিয়ে কাজ করে সে তৈরি করে দেবে। সে এক বছর সময় চাচ্ছে। এরপর সে (ব্যাটিং) পজিশন ধরে ধরে আমাদের ব্যাটসম্যান দিতে পারবে।'

এর আগে জেমি সিডন্স বাংলাদেশ দলের হেড কোচের দায়িত্ব পালন করেন ২০০৭ সাল থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত। এবার দুইবছরের জন্য ফিরে শিষ্যদের পেছনে ভালো শ্রম দিয়েছেন তিনি। যার ফলাফল অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও দেখা মিলেছে।