ভারতীয় ক্রিকেট

ম্যাচ না খেললে কোহলিদের টাকা কাটতে বলছেন গাভাস্কার

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
প্রকাশের তারিখ: 15:43 শনিবার, 12 নভেম্বর, 2022

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||

‘আইপিএলে কেউ বিশ্রাম চায় না, দেশের খেলার সময় কেন?’ বিভিন্ন সিরিজে ওয়ার্কলোড ম্যানেজমেন্টের কথা বলে না খেলায় ভারতের সিনিয়রদের ক্রিকেটারদের নিয়ে এমন প্রশ্ন তুলেছিলেন সুনীল গাভাস্কার। বিশ্বকাপে ব্যর্থ হওয়ার পর নিউজিল্যান্ড সফর থেকে ছুটি পেয়েছেন রোহিত শর্মা-বিরাট কোহলির মতো ক্রিকেটাররা। যদিও ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) কখনই ছুটি নিতে দেখা যায় না তাদের। কোহলি-রোহিতদের এমন আচরণের কারণে দেশের হয়ে না খেললে টাকা কেটে নিতে বলছেন গাভাস্কার।

আইপিএলে চোট নিয়ে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে খেললেও ঘরের মাঠে সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে বিশ্রামে ছিলেন রোহিত। প্রোটিয়াদের বিপক্ষে ছিলেন না জসপ্রিত বুমরাহ, কোহলিরাও। আয়ারল্যান্ড, ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং জিম্বাবুয়ে সফরেও দেখা যায়নি রোহিত-কোহলিদের। দেশের খেলার সময় ওয়ার্কলোড মানা হলেও আইপিএলে চোট নিয়েই খেলতে দেখা যায় ক্রিকেটারদের।

ভারতের চেয়ে কম শক্তির দলের বিপক্ষে খেলা হলেই ওয়ার্কলোডের কথা বলে বিশ্রাম নেন তারকা ক্রিকেটাররা। এমন রীতির পরিবর্তন চান গাভাস্কার। সেই সঙ্গে ক্রিকেটারদের কড়া সমালোচনা করে ভারতের সাবেক এই ব্যাটার কোহলিদের দিকে প্রশ্ন ‍ছুঁড়ে দেন, আইপিএল খেলার সময় ওয়ার্কলোডের কথা মনে থাকে না?

এ প্রসঙ্গে গাভাস্কার বলেন, ‘(ভারতীয় দলে) অবশ্যই পরিবর্তন হবে। সেটা হওয়া উচিতও। বিশ্বকাপে জিততে না পারলে পরিবর্তন হওয়া স্বাভাবিক। নিউজিল্যান্ড সফরে যে দল যাচ্ছে, তাতে বদল চোখে পড়ছে। এই যে ওয়ার্কলোড-ওয়ার্কলোড বলে চিৎকার করা হয়, সেটা শুধু ভারতের হয়ে খেলার সময়েই কেন শোনা যায়?’

‘আপনি আইপিএলের সারা মৌসুমে মাঠে নামছেন। সেখানে এদিক-ওদিক দৌড়াদৌড়ি করতে হয়। তখন ক্লান্ত মনে হয় না? শুধু ভারতের হয়ে খেলার সময় ওয়ার্কলোডের কথা মাথায় আসে? বিশেষ করে যখন ম্যাড়ম্যাড়ে বিদেশ সফরে উড়ে যায় দল, তখন ওয়ার্কলোড ম্যানেজ করতে হয়? এটা ঠিক নয়।’

দেশের হয়ে খেলার কারণে ক্রিকেটাররা বার্ষিক পারিশ্রমিক পেয়ে থাকেন। শুধু তাই নয় প্রতিটি ম্যাচ খেলার জন্য ম্যাচ ফি হিসেবে দেয়া হয়ে থাকে বড় অঙ্কের টাকা। যেমন ভারতের হয়ে প্রতিটি টেস্ট খেলার জন্য ১৫ কোটি রুপি পান ক্রিকেটাররা। এ ছাড়া ওয়ানডের জন্য ৬ কোটি রুপি এবং টি-টোয়েন্টির ম্যাচ ফি হিসেবে কোহলিদের দেয়া হয় ৩ কোটি রুপি। গাভাস্কার মনে করেন, ওয়ার্কলোডের কথা বলে কেউ না খেললে তাদের টাকা কেটে নেয়া উচিত।

গাভাস্কার বলেন, ‘ওয়ার্কলোড ও ফিটনেস একসঙ্গে গুরুত্ব পেতে পারে না। যদি আপনি ফিট হন, তবে ওয়ার্কলোডের প্রশ্ন আসছে কোথা থেকে? আপনাকে দলে নেওয়া হচ্ছে। যথেষ্ট রিটেনার ফি দেওয়া হচ্ছে। যদি ওয়ার্কলোডের কারণে খেলতে না পারেন, তবে রিটেনার ফি কাটা হোক। ম্যাচ না খেললে তো টাকা কেটে নেওয়া উচিত। টাকা কাটা গেলে তখন দেখবেন অনেকে ওয়ার্কলোড ভুলে মাঠে নামছেন। বিসিসিআইয়ের উচিত, ক্রিকেটারদের কড়া বার্তা দেওয়া।’