পাকিস্তান

নির্বাচকরা মিডল অর্ডারে নজর দেয়নি: শোয়েব

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
প্রকাশের তারিখ: 20:03 সোমবার, 03 অক্টোবর, 2022

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||

সর্বশেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, এশিয়া কাপ কিংবা সদ্য সমাপ্ত ইংল্যান্ড সিরিজ প্রত্যেকটা ইভেন্টেই পাকিস্তানের ঘাটতির জায়গা ছিল মিডল অর্ডার। ইংলিশদের বিপক্ষে ঘরের মাঠে সিরিজ হারের পর বাবর আজমের কণ্ঠেও শোনা গেছে একই কথা। তারপরও অস্ট্রেলিয়া বিশ্বকাপের স্কোয়াডে আসেনি বড়-সড় কোনো পরিবর্তন

সর্বশেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সেমি ফাইনালে খেলেছিল পাকিস্তান। যেখানে বড় অবদান ছিল দুই ওপেনার মোহাম্মদ রিজওয়ান এবং বাবর আজমের। এই দুই ওপেনার ছাড়া ব্যাটিং অর্ডারে বলার মতো তেমন কোনো অবদান রাখতে পারেননি কেউই। এবার আরও একটি বিশ্বকাপ, এখানেও প্রায় একই ব্যাটিং অর্ডার নিয়ে খেলবে তারা।

শোয়েব বলেন, 'মিডল অর্ডার নিয়ে নির্বাচকরা তেমন গুরুত্ব দেয়নি। সেখানে কোনও পরিবর্তন আনেনি। যখন প্রধান নির্বাচক গড়পড়তার হয়, তখন তো সিদ্ধান্তও তেমনই গড়পড়তার হয়।'

ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সদ্য সমাপ্ত টি-টোয়েন্টি সিরিজটি ছিল সাত ম্যাচের। সিরিজের সপ্তম ম্যাচের আগে সমীকরণটা ছিল ৩-৩ এ সমতায়। ফলে শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচটি পরিণত হয়েছিল অঘোষিত ফাইনালে। এমন গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে পাকিস্তানকে ৬৭ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে ইংল্যান্ড।

গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে টস জিতে ইংল্যান্ডকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় পাকিস্তান। ডেভিড মালানের ঝড়ো ফিফটির পর বেন ডাকেট ও হ্যারি ব্রুকের তাণ্ডবে ৩ উইকেটেই ২১০ রানের লক্ষ্য দাঁড় করায় ইংল্যান্ড। জবাবে ব্যাটিং ব্যর্থতায় ৮ উইকেট হারিয়ে ১৪২ রানের বেশি করতে পারেনি পাকিস্তান।

শেষ ম্যাচে দুই ওপেনার ব্যর্থ হওয়ার পর ব্যাটিংয়ে আর লড়াই করতে পারেনি পাকিস্তান। বাবরের দলের এমন চিত্র নিয়মিতই দেখা যায়। মিডল অর্ডার ব্যাটাররা ধারবাহিকভাবে ব্যর্থ। আর তাই বাড়তি চাপ নিতে হচ্ছে ওপেনারদের। যা দলের জন্যও বাড়তি চাপ।

শোয়েব বলেন, 'পাকিস্তানের মিডল অর্ডারের অবস্থা ভালো নয়। ওপেনাররা পারফর্ম করতে না পারলে মিডল অর্ডার চাপে পড়ছে। এভাবে তো বিশ্বকাপে খেলা যায় না যদি আপনি তা জিততে চান। এটা খুব দুঃখজনক।'