|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
পাকিস্তানের এশিয়া কাপের দলে জায়গা হয়নি হাসান আলীর। যদিও দ্রুতই দলে ফিরতে কঠোর পরিশ্রম চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। এই পেসার নিয়মিত অনুশীলন করছেন লাহোরের ন্যাশনাল হাই পারফরম্যান্স সেন্টারে।
নিজের পারফরম্যান্স নিয়েও হতাশা ব্যক্ত করেছেন হাসান। তিনি মনে করেন এটাই জীবন। জীবনে উত্থান-পতন থাকবেই। তাই আশা হারাচ্ছেন না এই পেসার। ঘরোয়া ক্রিকেটে পারফরম্যান্স করেই জাতীয় দলে ফেরার পথ তৈরি করতে চান তিনি।
এ প্রসঙ্গে হাসান বলেন, 'আমার পারফরম্যান্স ছিল গড়পড়তা এবং এ কারণে আমি হতাশ। কিন্তু এটাই জীবন। একদিন আপনি অনেক উপরে উঠবেন এবং অন্যদিন নিচে নেমে যাবেন। আমি এখানে হাই পারফরম্যান্স সেন্টারের কোচদের সঙ্গে কাজ করছি। আমি কারগরি বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করছি এবং ছন্দ ফেরাতে কঠোর পরিশ্রম করছি। এর মধ্যে দিয়ে জাতীয় দলে ফেরার মঞ্চ তৈরি করতে চাই।'
সামনেই পাকিস্তানের ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি আসর ন্যাশনাল টি-টোয়েন্টি। এই টুর্নামেন্টে নিজের দক্ষতা প্রমাণ করে কোচ, টিম ম্যানেজমেন্ট ও নির্বাচকদের নজর কাড়তে চান হাসান। ঘরোয়া ক্রিকেটকেই নিজেকে প্রমাণের সেরা মঞ্চ মনে করছেন তিনি।
সেই লক্ষ্যের কথা জানিয়ে এই পেসার বলেন, 'ন্যাশনাল টি-টোয়েন্টিতে নিজেকে দক্ষতা প্রমাণের সুযোগ রয়েছে এবং নির্বাচক কমিটি, টিম ম্যানেজমেন্ট ও অধিনায়কের আস্থা অর্জন করতে চাই। সেই সঙ্গে জাতীয় ফিরতে চাই।'
এর আগেও দীর্ঘদিন ইনজুরির কারণে জাতীয় দলের বাইরে ছিলেন হাসান। এরপর কায়েদ-ই-আজম ট্রফিতে দুর্দান্ত খেলে আবারও দলে ফিরেছিলেন। ২০২১ সালে টেস্টে ৪১ উইকেট নিয়েছিলেন এই পেসার। যা সে বছর তৃতীয় সর্বোচ্চ উইকেট ছিল। এবার সেই চেনা পথেই ফিরতে চান হাসান।
তার ভাষ্য, 'আমি একজন যোদ্ধা এবং আমি হাল ছেড়ে দেই না। দুই বছর আগে যখন ইনজুরির কারণে ছিটকে যাই আমি ঘরোয়া আসরে (কায়েদ-ই-আজম ট্রফি) ভালো করে দলে ফিরি। ঘরোয়া ক্রিকেট দারুণ একটি জায়গা পারফর্ম করার। নিজের খেলাটাকে বোঝার জন্য এটা দারুণ জায়গা এবং এখানে আপনি মানসম্পন্ন ক্রিকেটারদের বিপক্ষে খেলতে পারবেন। আমি আগামী মৌসুমে ভালো করতে চাই যাতে করে দ্রুতই জাতিয় দলে ফিরতে পারি।'