|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
সিকান্দার রাজার শৈশবের স্বপ্ন ছিল যুদ্ধ বিমানের পাইলট হওয়া। সেই লক্ষ্যে পাকিস্তান এয়ার ফোর্স কলেজে পড়াশোনাও করেছিলেন তিনি। যদিও চোখের সমস্যার কারণে সেই স্বপ্ন বাস্তবে রূপ দিতে পারেননি রাজা। যুদ্ধ বিমানের পাইলট হওয়ার স্বপ্ন ভুলতে চেয়েছিলেন সফটওয়ার ইঞ্জিয়ার হয়ে। সেটাও পূরণ হয়নি।
জীবনের স্রোত তাকে সফল ক্রিকেটার বানিয়েছে। রাজা এখন ক্রিকেটার হলেও মনের ভেতরে রয়ে গেছে সেই যোদ্ধার মনোভাবটা। ভেতরে ভেতরে রাজা এখনও একজন যোদ্ধা। এই জিম্বাবুয়ের ব্যাটার জানিয়েছেন, তার এয়ার ফোর্স কলেজে কাটানো সময়টা এখনও তাকে বিভিন্নভাবে সাহায্য করে।
ইএসপিএন ক্রিকইনফোর সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে রাজা বলেছেন, 'এখানে ভালো করার চাপ আছে এবং খেলা জেতার চাপ আছে। আমি মিথ্যা বলবো না। আমি এয়ার ফোর্স ব্যাকগ্রাউন্ড থেকে এসেছি, এটা অবশ্যই আমাকে সাহায্য করে। আমি হাল ছেড়ে দেই না। আমি আঘাত পাই, আমাকে আঘাত পেতে হয়, আঙুল ভাঙে, পায়ের আঙুল ভাঙে, আরও কত কিছু হয়। এগুলো আমি পরোয়া করি না।'
চলতি বছরটা স্বপ্নের মতো কাটছে রাজার। কদিন আগেই আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বাছাই পর্বের চ্যাম্পিয়ন হয়েছে জিম্বাবুয়ে। আর রাজা পেয়েছেন টুর্নামেন্ট সেরার পুরষ্কার। বাংলাদেশের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজেও সেরার পুরষ্কার উঠেছে তার হাতেই।
ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচেই অপরাজিত ১৩৫ রানের ইনিংসে জিম্বাবুয়েকে ৩-৪ রান তাড়া করে জিতিয়েছেন রাজা। অবশ্য পথটা এতটা সহজ ছিল না। বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে মাত্র ৬২ রানে ৩ উইকেট চলে গিয়েছিল জিম্বাবুয়ের। ইনোসেন্ট কাইয়াকে নিয়ে সেখান থেকেই দলকে জিতিয়ে মাঠ ছেড়েছেন রাজা। চতুর্থ উইকেটে তারা যোগ করেছেন ১৯২ রান।
রাজা নিজের মানসিকতা নিয়ে বলেছেন, 'ব্যক্তিগতভাবে আমার মনে হয় সাড়ে ৩ বছর পাকিস্তান এয়ার ফোর্স কলেজে কাটানো আমাকে দারুণভাবে সাহায্য করে। আমার ভেতরে সবসময়ই লড়াকু মানসিকতা থাকে। আমি হয়তো যুদ্ধ বিমানের পাইলট হতে পারিনি। কিন্তু একজন মানুষ হিসেবে আমি সবসময়ই একজন যোদ্ধা। মানসিক ও শারীরিক প্রশিক্ষণগুলো এখন আমাকে পথ দেখাচ্ছে।'