জিম্বাবুয়ে - বাংলাদেশ সিরিজ

একদিন না একদিন এটা আপনাকে এসে ধরতই, বাজে ফিল্ডিং নিয়ে তামিম

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
প্রকাশের তারিখ: 23:55 শুক্রবার, 05 আগস্ট, 2022

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||

‘ক্যাচ হাতছাড়া ক্রিকেটের অংশ। যে কোনো দিন যে কোনো ফিল্ডার ক্যাচ ছাড়তে পারেন। ক্রিকেটে এটি বেশ পরিচিত একটি লাইন। বাংলাদেশের সংবাদ সম্মেলনেও নিয়মিতই শোনা যায় এমন কথা। সম্প্রতি বাজে ফিল্ডিং করার পরও বোলার কিংবা ব্যাটারদের দাপটে ওয়ানডে জিতেছে বাংলাদেশ। ম্যাচ জিতলেও প্রায়শই ফিল্ডিং নিয়ে আক্ষেপ করতে অধিনায়ক তামিম ইকবাল। 

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডেতে ৯ বছর পর হেরে তামিম অবশ্য ক্যাচ মিস এবং বাজে ফিল্ডিং নিয়ে সেভাবে হতাশা প্রকাশ করলেন না। বরং ৫ উইকেটে হেরে সংবাদ সম্মেলনে এসে বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক জানালেন, একদিন না একদিন এটা আপনাকে এসে ধরতই।

এ প্রসঙ্গে তামিম বলেন, ‘আমি সব সময়ই বলি, হারের পর অনেক কিছুর দিকেই আঙুল তোলা যায়। কিন্তু এই কথাগুলো আমি জিতে এসেও অধিনায়ক হিসেবে বলতাম। জেতার পরও আমি সব সময় বলি, এটা ভুলে গেলে হবে না যে আমরা কী কী জায়গায় ভুল করেছি। আজকের দিনটা দারুণ একটা উদাহরণ—এত দিন যে আমরা ক্যাচ ফেলে, বাজে ফিল্ডিং করেও জিতেছি, একদিন না একদিন এটা আপনাকে এসে ধরতই। আজকেই সেই দিনটা।’

ইনোসেন্ট কাইয়া এবং সিকান্দার রাজার ব্যাটে দারুণ এক জয় পায় জিম্বাবুয়ে। সেঞ্চুরি পাওয়ার আগে দুজনকেই ফেরানোর সুযোগ ছিল বাংলাদেশের। তবে সুযোগ লুফে নিতে না পারায় শেষ পর্যন্ত আক্ষেপে পুড়তে হয়েছে সফরকারীদের। অপরাজিত ১৩৫ রানে জিম্বাবুয়েকে জেতানো রাজা ফিরতে পারতেন ব্যক্তিগত ৪৩ রানে। 

তাসকিন আহমেদের বলে তাইজুল ইসলাম ক্যাচ লুফে নিতে না পারায় জীবন পান রাজা। এদিকে শরিফুল ইসলামের একই ওভারে দুবার জীবন পান কাইয়া। সেসময় ক্যাচ নিতে পারলে ৭৩ রানে আউট হতেন ডানহাতি এই ব্যাটার। তাতে বদলে যেতে পারতো ম্যাচের চিত্র। 

ক্যাচ মিস এবং বাজে ফিল্ডিং নিয়ে তামিম বলেন, ‘প্রতিদিন আমি ক্যাচিংয়ের কথা বলি। কোনো না কোনো দিন তো এটা আমাদের হারের কারণ হতো। এটাই হয়তো সেই দিন ছিল। কারণ, টি-টোয়েন্টিতে আমরা অনেকবার ক্যাচ ফেলেছি। কিন্তু ম্যাচ জিতে গিয়েছি। কিন্তু যখন এমন ভালো উইকেটে আপনি ৪টা ক্যাচ ফেলবেন, তাহলে আপনি বেশি ম্যাচ জিতবেন না। এখন মনে হচ্ছে। এটা নিয়ে আমাদের ভাবতে হবে পরের ম্যাচের আগে।’

‘অনেক সহজ রান দিয়েছি। এই মাঠে ২ রান হবে। কারণ, এক পাশটা বিশাল। এটা নিয়ে আমি ভাবছি না। কিন্তু সহজগুলো, যেগুলো সহজেই ডট বল হতে পারত, সেগুলো থামাতে পারলে আমরা আরও চাপ সৃষ্টি করতে পারতাম। এগুলো অবশ্যই কষ্ট দেয়।’