আইপিএল

আইপিএল বয়কটের মানেই হয় না: সাকিব

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
প্রকাশের তারিখ: 17:24 শনিবার, 30 জুলাই, 2022

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||

ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) গত আসরে দল পাননি সাকিব আল হাসান। তবে দমে যাচ্ছেন না তিনি। প্রায় এক দশকের বেশি সময় ধরে আইপিএল খেলা সাকিব পরবর্তী আইপিএলে খেলতে মুখিয়ে আছেন। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে এক অনুষ্ঠানে এমনটা জানিয়েছেন তিনি।

২০১১ সাল থেকে আইপিএল খেলা শুরু করেন সাকিব। কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে আইপিএল যাত্রা শুরু হয় তার। ২০১৮ সালে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হয়ে খেলা শুরু করেন তিনি। কিন্তু দুই বছর হায়দরাবাদের হয়ে খেলার পর আবারও কলকাতা ফ্র্যাঞ্চাইজি দলে ভেড়ায় তাকে। কলকাতার হয়ে এখন পর্যন্ত দু'বার (২০১২ এবং ২০১৪) শিরোপাও জিতেছেন তিনি। ২০১৮ সালে হায়দরাবাদের জার্সি গায়ে হয়েছিলেন রানারআপ।

সবমিলিয়ে আইপিএল ক্যারিয়ারে সফলই বলা যায় সাকিবকে। বিশেষ করে বোলিংয়ে, যেখানে ৭১ ম্যাচে ৭.৪৪ গড়ে ৬৩ উইকেট নিয়েছেন তিনি। আর ব্যাটিংয়ে দুটি হাফ সেঞ্চুরিসহ ১৯.৮৩ গড়ে করেন ৭৯৩ রান। তবে গত আইপিএলের নিলামে কোনো দলই আগ্রহ দেখায়নি তার প্রতি। যার কারণে অবিক্রীত থেকে যান তিনি।

বিগত বছরগুলোতে আইপিএল চলাকালে মাঝে-মধ্যে যখন বাংলাদেশ দলের সিরিজ থাকতো, তখন সেই সিরিজ থেকে ছুটি নিয়ে সাকিবকে আইপিএল খেলতে দেখা গেছে। যা নিয়ে বিভিন্ন সময়ে বিতর্কিতও হয়েছেন তিনি। এবারের আইসিসির ফিউচার ট্যুর প্রোগ্রামের (এফটিপি) ব্যস্ত সূচিতে আড়াই মাসের বড় উইন্ডো পেয়েছে আইপিএল। এমন সময়ে বাংলাদেশের সিরিজ না থাকার সম্ভাবনা আছে। যদি সিরিজ থাকে, তবে কি আইপিএল বেছে নেবেন সাকিব?

এমন প্রশ্নের জবাবে সাকিব বলেন, ‘দেখেন, আসলে আবেগের জায়গাটা কম, আবেগ দিয়ে সবসময় সব কিছু বিবেচনা করা যায় না। আইপিএল এমন একটা মঞ্চ এখন, আপনি স্বীকার করেন বা না করেন পুরো বিশ্ব ক্রিকেটই চায় এমন একটা জায়গায় খেলতে। এখানে খেলাটা সব খেলোয়াড়ের জন্যই ভালো একটা সুযোগ। এখান থেকে যে অভিজ্ঞতাটা আপনি পান সেটি অনেক বড় কিছু।’

‘শেখার তো শেষ নেই আপনি যত নতুন জায়গায় যাবেন ততই নতুন কিছু শিখতে পারবেন। আমি নিশ্চিত আপনি যখন নিউইয়র্কের বাইরে ডালাসে ক্যালিফোর্নিয়া বা অন্য কোথাও যাবেন কিছু না কিছু শিখবেন। এই সুযোগগুলো হাতছাড়া করা ঠিক না। পৃথিবীর সব জায়গাতেই কিছু শেখার আছে। তো আপনি কেন সুযোগ হাতছাড়া করবেন।’

২০১৯ বিশ্বকাপের আগেও জাতীয় দলের সিরিজ বাদ দিয়ে আইপিএল খেলতে ভারত গেছেন সাকিব। যদিও সেই মৌসুমের পুরোটা সময় প্রায় সাইড বেঞ্চেই ছিলেন তিনি। হায়দরাবাদের হয়ে গোটা মৌসুমে খেলেন মাত্র তিন ম্যাচ। ওই সময়টায় নিজের কোচ মোহাম্মদ সালাহউদ্দিনকে ভারতে ডেকে নিয়ে বিশ্বকাপের প্রস্তুতি নেন সাকিব। যার প্রতিফলন দেখা গেছে ২০১৯ বিশ্বকাপে। সেই আসরে ব্যাট হাতে ৬০৬ রান ও বল হাতে ১১ উইকেট নেন বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার।

এই উদাহরণ টেনে সাকিব আরও বলেন, ‘আপনি যদি দেখেন ২০১৯ বিশ্বকাপের আগেও আমি ম্যাচ খেলিনি। পুরো দেড় মাস আমি ওখানে বসেছিলাম। ওখানে থাকার কারণে জনি বেয়ারিস্টো, রশিদ খান, ডেভিড ওয়ার্নার, কেন উইলিয়ামসন ওদের সাথে থেকে দেখেছি যে বিশ্বসেরা কীভাবে হওয়া যায়। বিশ্ব ক্রিকেটকে যে ওরা লিড করে সেটা কী কারণে করে, সেটা আমি ওখান থেকেই জেনেছি। ওখানে যদি না যেতাম কখনোই জানতে পারতাম না।’

‘চেষ্টা করেছি কীভাবে ওদের কাছাকাছি যাওয়া যায়। আমার মনে হয় যেটা আমাকে অনেকটা কাজে দিয়েছে। ২০১৯ বিশ্বকাপে তার ফল আমি পেয়ছি। আইপিএল বলেন সিপিএল বলেন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এখান থেকে যে অভিজ্ঞতা পাওয়া যায় তা দেশের ক্রিকেটেরই লাভ হবে। শুধু আইপিএল না অন্য যে কোনো টুর্নামেন্ট বয়কট করার কোনো মানেই হয় না।’