বাংলাদেশ ক্রিকেট

আমরা তো স্বপ্ন দেখি এশিয়া কাপ-বিশ্বকাপ জিতবো: মিরাজ

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
প্রকাশের তারিখ: 20:27 বুধবার, 20 জুলাই, 2022

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||

সর্বশেষ কয়েক বছরে ওয়ানডেতে ধারাবাহিকভাবে সাফল্য পাচ্ছে বাংলাদেশ। যে কারণে ৫০ ওভারের সংস্করণের ক্রিকেট নিয়ে অনেক বড় স্বপ্ন দেখেন বাংলাদেশের ক্রিকেটার ও সমর্থকরা। সেই স্বপ্নের পরিধি আরও খানিকটা বাড়িয়ে দিলেন মেহেদি হাসান মিরাজ। ওয়েস্ট ইন্ডিজ থেকে ফেরার পর এই স্পিন অলরাউন্ডার জানালেন, তারা স্বপ্ন দেখেন এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপ জেতার।

২০১৫ বিশ্বকাপের পর বদলে যেতে থাকে বাংলাদেশের ওয়ানডের পারফরম্যান্স। সেই বিশ্বকাপের পর ভারত, পাকিস্তানের পাশপাশি সাউথ আফ্রিকার সঙ্গেও সিরিজ জিতেছিল বাংলাদেশ। ৫০ ওভারের ক্রিকেটে ধারাবাহিক পারফর‌ম্যান্স অব্যাহত রয়েছে গেল কয়েক বছর ধরেই। এদিকে কয়েক মাস আগে সাউথ আফ্রিকার মাটিতে গিয়েও সিরিজ জিতে এসেছে তামিম ইকবালের দল। তাই স্বপ্নের পরিধি বেড়েছে অনেকগুণ।

নিজেদের স্বপ্ন নিয়ে মিরাজ বলেছেন, ‘অবশ্যই আমাদের সবারই দায়িত্ব। কারণ আমরা অবশ্যই বিশ্বকাপে ভালো কিছু করলে আমাদের নিজেদের জন্য যেরকম ভালো হবে দেশের জন্যও ভালো হবে। সো তারা থাকতে অবশ্যই বড় একটা অর্জন করার চেষ্টা করবো। কিন্তু এটা তো আপনি বলতে পারেন না যে বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়নই হব।’

‘আমরা চেষ্টা করতে পারি, হয়তো ভালো ক্রিকেট খেলতে পারি। যে কীভাবে বিশ্বকাপটা জেতা যায় সে উপায়টা আমরা বের করতে পারি। এটা তো ভাগ্যের উপর। আমরা তো স্বপ্ন দেখি এশিয়া কাপ জিতব, বিশ্বকাপ জিতব।’

কদিন আগেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ জয়ের পর ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম জানিয়েছিলেন তিনি এবং দলের বাকি তিন সিনিয়র সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের সম্ভবত এটাই শেষ বিশ্বকাপ। এরই প্রেক্ষিতে তামিম-সাকিবরা থাকতেই বিশ্বকাপ বা এশিয়া কাপ জয়ের স্বাদ পেতে চান মিরাজ। সিনিয়রদের অভিজ্ঞতাই বাংলাদেশের বিশ্বকাপে সাফল্যে বড় ভূমিকা রাখতে পারে বলে মনে করেন তিনি।

এ প্রসঙ্গে মিরাজ বলেন, ‘২০২৩ বিশ্বকাপ তো বেশি দূরে নেই। হয়তো ১ বছর ২/৩ মাস আছে। কিন্তু আমরা যেভাবে যাচ্ছি, আমাদের যেভাবে ওয়েটা আছে। সো আমি মনে করি এই প্রক্রিয়ায়  আগালে আমাদের সামনে বিশ্বকাপটা আরও বেশি ভালো হবে। কারণ অনেক অভিজ্ঞ খেলোয়াড়ও থাকবে।’

‘প্রায় তামিম ভাই, সাকিব ভাই, মুশি ভাই, রিয়াদ ভাই আছেন, তারা তো অনেক অভিজ্ঞ। তারপর আমি মুস্তাফিজ, লিটনরাও খেলেছে। প্রায় আমরা যারা আছি তাদেরও পাঁচ বছর ক্যারিয়ার হয়ে যাবে আন্তর্জাতিক। সুতরাং মোটামুটি ভালো একটা একটা অভিজ্ঞতা নিয়ে বিশ্বকাপে আমরা ভালো খেলতে পারব।’