|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
গলের উইকেট থেকে বরাবরই স্পিনাররা বাড়তি সুবিধা পেয়ে থাকেন। গলের উইকেটের চিত্রপট বদলায়নি এবারের সিরিজেও। দুর্দান্ত বোলিংয়ে শ্রীলঙ্কাকে একেবারে আটকে দিয়েছেন স্পিনার নাথান লায়ন। দুই ইনিংস মিলে ডানহাতি এই অফ স্পিনার নিয়েছেন ৯ উইকেট। তাতে টেস্ট ক্রিকেটে সবচেয়ে বেশি উইকেট পাওয়া বোলারদের তালিকায় সেরা দশে প্রবেশ করেছেন লায়ন।
৪২৭ উইকেট নিয়ে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্ট খেলতে নেমেছিলেন ডানহাতি এই অফ স্পিনার। প্রথম ইনিংসে লায়নের অফ স্টাম্পের বাইরের বল খেলতে গিয়ে উইকেটকিপার অ্যালেক্স ক্যারির গ্লাভসে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন নিরোশান ডিকওয়েলা। বাঁহাতি এই ব্যাটারকে ফিরিয়ে স্যার রিচার্ড হ্যাডলির ৪৩১ উইকেট স্পর্শ করেন লায়ান।
আর লাসিথ এম্বুলদেনিয়াকে সাজঘরে ফিরিয়ে ছাড়িয়ে যান স্যার হ্যাডলিকে। লায়নের স্টাম্পের বাইরের বল খেলতে গিয়ে উসমান খাওয়াজাকে ক্যাচ দেন এম্বুলদেনিয়া। স্যার হ্যাডলিকে ছাড়ানোর পাশপাশি ক্যারিয়ারে ২০তম বারের মতো ৫ উইকেট নেয়ার কীর্তি গড়েন ডানহাতি এই অফ স্পিনার।
দ্বিতীয় ইনিংসে লায়নের সামনে সুযোগ ছিল শ্রীলঙ্কা রঙ্গনা হেরাথ ও ভারতের কপিল দেবকে ছাড়িয়ে যাওয়ার। সেই সুযোগটা বেশ ভালোভাবেই লুফে নিয়েছেন লায়ন। শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক দিমুথ করুনারত্নেকে ফিরিয়ে হেরাথের ৪৩৩ উইকেট স্পর্শ করেন এই অজি স্পিনার।
কুশল মেন্ডিসকে আউট করে হেরাথকে ছাড়িয়ে কপিলকে ছুঁয়ে ফেলেন লায়ন। রমেশ মেন্ডিসকে খাওয়াজার হাতে ক্যাচ বানিয়ে কপিলের ৪৩৪ উইকেট ছাড়িয়ে যাওয়ার সঙ্গে প্রবেশ করেন টেস্টে সবচেয়ে বেশি উইকেট পাওয়া বোলারদের সেরা দশের তালিকায়। দ্বিতীয় ইনিংসে ৪ উইকেট নিয়ে শেষ পর্যন্ত ৪৩৬ উইকেটে ম্যাচ শেষ করেছেন লায়ন।
তার ঠিক উপরে থাকা ডেল স্টেইন ৪৩৬ উইকেট নিয়ে তালিকার ৯ নম্বরে রয়েছেন। তাকে ছাড়িয়ে যেতে লায়নের প্রয়োজন মাত্র ৪ উইকেট। এদিকে ৮০০ উইকেট নিয়ে তালিকায় সবার ওপরে রয়েছেন শ্রীলঙ্কার মুত্তিয়া মুরালিধরন। দুইয়ে থাকা শেন ওয়ার্নের উইকেট ৭০৮টি। তিনে রয়েছেন ৬৫১ উইকেট নেয়া জেমস অ্যান্ডারসন।
টেস্ট ক্রিকেটে সর্বোচ্চ উইকেট সংগ্রাহক-
১. মুত্তিয়া মুরালিধরন (শ্রীলঙ্কা)- ৮০০
২. শেন ওয়ার্ন (অস্ট্রেলিয়া)- ৭০৮
৩. জেমস অ্যান্ডারসন (ইংল্যান্ড)- ৬৫১
৪. অনিল কুম্বলে (ভারত)- ৬১৯
৫. গ্লেন ম্যাকগ্রা (অস্ট্রেলিয়া)- ৫৬৩
৬. স্টুয়ার্ট ব্রড (ইংল্যান্ড)- ৫৪৯
৭. কোর্টনি ওয়ালশ (ওয়েস্ট ইন্ডিজ)- ৫১৯
৮. রবিচন্দ্রন অশ্বিন (ভারত)- ৪৪২
৯. ডেল স্টেইন (দক্ষিণ আফ্রিকা)- ৪৩৯
১০. নাথান লায়ন (অস্ট্রেলিয়া)- ৪৩৬।