বাংলাদেশ- ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজ

বোলাররা ধৈর্য হারানোয় হতাশ ডমিঙ্গো

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
প্রকাশের তারিখ: 12:03 রবিবার, 26 জুন, 2022

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||

সেন্ট লুসিয়া টেস্টের দ্বিতীয় দিনের দ্বিতীয় সেশনের বোলিং পারফরম্যান্স নিয়ে খুবই হতাশ রাসেল ডমিঙ্গো। সেই সেশনে বোলারদের বাজে বোলিং বাংলাদেশকে পিছিয়ে দিয়েছে বলে মনে করছেন হেড কোচ ডমিঙ্গো।

দ্বিতীয় দিনের প্রথম সেশনে বেশ খানিকটা গোছালো বোলিং করেছিলেন বোলাররা। পরিকল্পনা মাফিক ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটারদের আটকে দিয়ে প্রথম সেশনে মাত্র ৭০ রান দিয়ে ৪ উইকেট নিয়েছিলেন খালেদ-শরিফুলরা।

লাঞ্চের পর এসে ধার হারায় বাংলাদেশের বোলাররা। আগের সেশনের মোমেন্টাম ধরে রাখতে না পেরে উল্টো রান দেয়ার মিছিলে নেমেছিলেন তারা। নির্বিষ বোলিংয়ে পুরো সেশনে সেভাবে চ্যালেঞ্জ জানাতে পারেননি সফরকারী বোলাররা।

সেই সুযোগটা লুফে নিয়ে প্রতিরোধ গড়ার সঙ্গে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে খেলায় ফিরিয়েছেন কাইল মায়ার্স ও জার্মেইন ব্ল্যাকউড। দ্বিতীয় দিন শেষে পাঁচ উইকেটে ৩৪০ রান করেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এখন পর্যন্ত তাদের লিড ১০৬ রানের।

দিন শেষে সংবাদ সম্মেলনে হতাশ হয়ে ডমিঙ্গো বলেন, 'এই মুহূর্তে গল্পটা টেস্ট ক্রিকেটের মতোই, একটা সেশন ভালো গেছে আমাদের, আরেক সেশন খুবই বাজে। হয়তো ছেলেরা অধৈর্য হয়ে গিয়েছিল। টানা যথেষ্ট পরিমাণে আঁটসাঁট বোলিং করে ওদেরকে চাপে ফেলতে পারিনি আমরা, যেটা পেরেছিলাম প্রথম সেশনে। খুবই হতাশার এটি।'

'প্রথম সেশনে আমরা অসাধারণ বোলিং করেছি। কিন্তু লাঞ্চের পর সেটা ধরে রাখতে পারিনি। উইকেটের জন্য বোলিং করতে গিয়ে কিছু আলগা বল করেছি। যখন ওভার দা উইকেট করার কথা, তখন রাউন্ড দা উইকেট করেছি। যথেষ্ট পরিমাণে ধৈর্য না ধরে মৌলিক কিছু ভুল করেছি।'

মূলত লাইন-লেংথ বজায় রেখে ভালো বোলিংয়ের মাধ্যমে রান রেট চেপে রেখে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে বিপদে ফেলার পরিকল্পনা করেছিলেন ডমিঙ্গো। কিন্তু এই পরিকল্পনা ভেস্তে যায় বোলারদের নির্বিষ বোলিংয়ে।

ডমিঙ্গো আরও বলেন, 'বার্তাটা সবসময়ই থাকে ডট বল করে চাপ গড়ে তোলা। রান রেট নিয়ন্ত্রণে রাখা। উইকেট নেওয়ার জন্যই আমাদের সেই প্রক্রিয়াটা দরকার। কিন্তু উইকেটের তাড়নায় আমরা অনেক বেশি আলগা বল করে ফেলেছি।'

'ধৈর্য ধরা, শৃঙ্খলা রাখা, এই প্রক্রিয়াগুলোয় আমরা জোর দিয়েই বলে যাচ্ছি। কিন্তু যথেষ্ট লম্বা সময় ধরে আমরা তা করতে পারছি না। আমরা এক সেশন করতে পারি, আরেক সেশনে পারি না। লম্বা সময় চাপ ধরে রাখতে পারি না।'