রঞ্জি ট্রফি

সকালে ক্রিকেট, বিকেলে মন্ত্রীত্ব সামলাচ্ছেন মনোজ

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
প্রকাশের তারিখ: 16:24 মঙ্গলবার, 21 জুন, 2022

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||

বাংলায় একটি প্রবাদ আছে যে রাঁধে সে চুলও বাঁধে। প্রবাদটি নারীদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হলেও সব্যসাচী পুরুষদের জন্য কোনো প্রবাদ দেই। এই ধরুন পশ্চিমবঙ্গের মন্ত্রী মনোজ তিওয়ারির কথাই। তিনি সকাল বেলা রঞ্জি ট্রফিতে খেলছেন। সেদিনই বিকেল বেলায় দফতরের কাগজপত্রে স্বাক্ষর করছেন।

এমন না যে সময় কাটানোর জন্য ক্রিকেট খেলছেন তিনি। ব্যাট হাতে সেঞ্চুরি করে দলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ অবদানও রাখছেন তিনি। ঝাড়খণ্ডের বিপক্ষে বাংলার ম্যাচের কথাই ধরুন। এই ম্যাচে প্রথম ইনিংসে ৭৩ রানের পর মনোজ দ্বিতীয় ইনিংসে খেলেছেন ১৫২ বলে ১৩৬ রানের দারুণ এক ইনিংস।

মন্ত্রিত্ব আর ক্রিকেট এক সঙ্গে কিভাবে সামলাচ্ছেন এমন প্রশ্নের জবাবে মনোজ জানিয়েছেন, তিনি যখন ক্রিকেট খেলেন তখন তার মন্ত্রণালয়ের সব কাগজপত্র চলে আসে তার হোটেলে। খেলা শেষে সেসব কাগজপত্র স্বাক্ষর করে কুরিয়ারে পাঠিয়ে দেয়া হয় মন্ত্রণালয়ে। এভাবেই চলছে মনোজের দিনকাল।

এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'পুরোটাই ইচ্ছে শক্তি এবং সময় ব্যবস্থাপনার ব্যাপার। আমি আমার নির্বাচনী এলাকায় যে দলটি গঠন করেছি এবং আমার কর্মীরা জানে কিভাবে কাজ করতে হয়। আমি যখন ক্রিকেট খেলি তখন সব কাগজপত্র আমার হোটেলে চলে আসে। সকালে আমি ক্রিকেট খেলি, তারপর সন্ধ্যায় আমি কাগজপত্রে স্বাক্ষর করি। এরপর সেগুলো কুরিয়ার করে পাঠিয়ে দেই।'

'আমার দলের সদস্যরা খুব সহায়ক। আমাকে রাতের বেলা ফোনে পাওয়া যায়। যদি কোনো জরুরী অবস্থা হয় তাহলে সেই ব্যবস্থাও করা আছে। আমি প্রস্তুতিতে বিশ্বাসী এবং আপনি যদি এটায় ভালো করতে পারেন তাহলে সবকিছু সামাল দেয়া সম্ভব। এটা আমার জন্য চ্যালেঞ্জও বটে। আমি এখন পর্যন্ত এটি সামাল দিতে সক্ষম হয়েছি। আপনি যদি মনোযোগী থাকেন তাহলে এটা করতে পারবেন।'

রঞ্জি ট্রফির এবারের আসরে ব্যাট হাতে দারুণ ফর্মে ছিলেন মনোজ। ৫ ম্যাচে তার ব্যাট থেকে এসেছে ৪৩৩ রান। ২ টি করে সেঞ্চুরি ও হাফ সেঞ্চুরি করেছেন তিনি। ব্যাটিং গড়টা ৪৩ এর বেশি। যদিও তার দল বাংলা মধ্যপ্রদেশের বিপক্ষে ১৭৪ রানে হেরে রঞ্জির সেমিফাইনাল থেকে বাদ পড়েছে। এ কারণে কিছুটা হতাশ তিনি। কারণ ক্রিকেট খেলা শুরুর পর থেকেই তার স্বপ্ন রঞ্জির শিরোপা জেতা। এর আগে তিনবার ফাইনাল খেললেও প্রত্যেকবারই রানার্সআপ হতে হয়েছে তাকে।

এ প্রসঙ্গে মনোজ বলেন, 'আমার অনুপ্রেরণা হলো বাংলার হয়ে রঞ্জি ট্রফি জেতা। আমার স্বপ্ন রঞ্জি চ্যাম্পিয়ন হওয়া। আমি তিনবার ফাইনাল খেলেছি। কিন্তু প্রত্যেকবারই রানার্সআপ হয়েছি। যখন থেকে আমি ক্রিকেট শুরু করেছি আমার স্বপ্ন ছিল রনির চ্যাম্পিয়ন হওয়া।'