|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
নটিংহ্যামে নিউজিল্যান্ডকে উড়িয়ে ইতিহাস গড়েছে ইংল্যান্ড। স্বাগতিকরা মাত্র ৫০ ওভারে ২৯৯ রান তাড়া করে জিতেছে। ইংলিশদের এই জয়ে সবচেয়ে বড় অবদান জনি বেয়ারস্টোর। তিনি ৯২ বলে ১৩৬ রান তুলেছেন। তার ব্যাটিং দেখে মনে হতেই পারে তিনি টি-টোয়েন্টি ইনিংস খেলতে নেমেছেন।
এই ম্যাচ জয়ে অধিনায়ক বেন স্টোকসেরও অবদান কম নয়। তিনি ৭০ বলে ৭৫ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলে শেষ পর্যন্ত ইংল্যান্ডকে জিতিয়ে মাঠ ছেড়েছেন। ম্যাচ শেষে স্টোকস জানিয়েছেন, এই জয় নটিংহ্যাম অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে জয়, এমনকি বিশ্বকাপ ফাইনালে নাটকীয় সুপার ওভারে জয়কেও ছাড়িয়ে গেছে।
স্টোকস বলেন, 'আজকে যে জয়ের স্বাক্ষী হলাম আমরা, এটার বর্ণনায় ভাষা খুঁজে পাচ্ছি না। এটা বিস্ময়কর। হেডিংলির জয়কে উড়িয়ে দিচ্ছে এটি, মাড়িয়ে যাচ্ছে লর্ডস ও বিশ্বকাপ ফাইনালের জয়কেও। আবেগময়তায় আর মাঠে প্রতিটি মূহূর্ত যেভাবে উপভোগ করেছি আমি, তা অবিশ্বাস্য।'
২০১৯ সালের বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সুপার ওভারের নাটকীয়তায় জয় দিয়ে শিরোপার স্বাদ ঘুচায় ইংল্যান্ড। সেই ম্যাচে ৮৪ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে নায়ক হয়েছিলেন স্টোকস। এরপর অ্যাশেজে হেডিংলিতে দারুণ এক রান তাড়ায় ম্যাচ জিতিয়ে আবারও নিজেকে ছাড়িয়ে গিয়েছিলেন স্টোকস। নটিংহ্যামের জয়কে তাই এই দুটো জয়ের থেকে অনেকাংশেই এগিয়ে রাখছেন স্টোকস।
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্টেও রান তাড়া করে দারুণ জয় তুলে নিয়েছিল ইংল্যান্ড। টানা দুই ম্যাচে এমন দুর্দান্ত জয় মানসিকভাবেও বুস্ট আপ করবে ইংলিশদের। অবশ্য এই ম্যাচে ৫০ ওভারে ২৯৯ রান তাড়া কোনোভাবেই বিশ্বাস হচ্ছে না স্টোকসের। ম্যাচ জয়ের পরও তাই তিনি ঘোরের মধ্যে আছেন।
তিনি বলেছেন, 'অসাধারণ জয় এটি। গোটা সপ্তাহ ধরেই আবহ ছিল দুর্দান্ত। সেই ধারাবাহিকতায় এগিয়ে গিয়ে আজকে এই ধরনের পারফরম্যান্স…। কোনোভাবেই এটা আমার মাথায় ঢুকছে না, কীভাবে আমরা ২৯৯ রান তাড়া করে ফেললাম ২০ ওভার (২২ ওভার) বাকি রেখে। সেটিও শেষ দিন সকালে ১৫ ওভার বোলিং করার পর। এটা আর কখনোই হবে না। তবে যদি হয়, সম্ভবত আমরাই আবার করব!'