|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
ড্যারিল মিচেল ও টম ব্লান্ডেলের অসাধারণ দুটি সেঞ্চুরিতে নটিংহাম টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৫৫৩ রান করেছে নিউজিল্যান্ড। জবাবে দ্বিতীয় দিন শেষে ইংল্যান্ডের সংগ্রহ এক উইকেটে ৯০ রান। স্বাগতিকরা পিছিয়ে আছে ৪৬৩ রানে।
লর্ডসে প্রথম টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে অসাধারণ এক সেঞ্চুরির পর ট্রেন্ট ব্রিজেও সেঞ্চুরি তুলে নেন মিচেল। ৩১৮ বলে খেলা প্রথম শ্রেণির ক্যারিয়ার সেরা ১৯০ রানের ইনিংসটিতে ছিল ২৩টি চার ও চারটি ছক্কার মার।
অসাধারণ এই ইনিংস খেলার পথে অবশ্য দুবার জীবন পান মিচেল। আগের দিন তিন রানে থাকা অবস্থায় জো রুটকে স্লিপে ক্যাচ দিয়েছিলেন তিনি। এ দিন ১০৪ রানে থাকা অবস্থায় তার ক্যাচ ছাড়েন ম্যাথু পটস।
আগের টেস্টে (লর্ডসে) চার রানের জন্য সেঞ্চুরি বঞ্চিত হওয়া ব্লান্ডেল এ দিন করেন ১৯৮ বলে ১৪টি চারের সাহায্যে ১০৬ রান। এই দুজনের জুটি ছিল ২৩৬ রানের, পঞ্চম উইকেটে এটিই নিউজিল্যান্ডের সর্বোচ্চ রানের জুটি।
এই জুটি ভাঙেন জ্যাক লিচ। মিড অফে খেলা শটটি স্টোকসের মুঠোবন্দী হলে বিদায় নেন ব্লান্ডেল। তারপর মাইকেল ব্রেসওয়েলের সঙ্গে ৯১ রানের বড় জুটি গড়েন মিচেল। ব্রেসওয়েলকে ৪৯ রানে ফিরিয়ে এই জুটি ভাঙেন জেমস অ্যান্ডারসন।
দলীয় ৫৫৩ রানে শেষ উইকেট হিসেবে মিচেল যখন বিদায় নেন তখন তার চোখেমুখে ডাবল সেঞ্চুরি মিসের হতাশা। ইতোপূর্বে তার ক্যাচ ছেড়ে দেয়া পটসই তাকে বিদায় করেন। ইংল্যান্ডের মাটিতে কিউইদের সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ ছিল এটি। চার উইকেটে ৩১৮ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিন শুরু করেছিল নিউজিল্যান্ড।
ইংল্যান্ড ব্যাটিংয়ে নামলে আরও বেশি হতাশ হয়ে পড়েন মিচেল। ফিল্ডিংয়ের সময় দুটি ক্যাচ ছাড়েন তিনি। জীবন পেয়ে অ্যালেক্স লিস ও অলি পোপ এখনও লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন।
লিস ব্যাটিংয়ে আছেন ৩৪ রানে। পোপ অপরাজিত আছেন ৫১ রানে। দিনের দ্বিতীয় ওভারেই জ্যাক ক্রলিকে বিদায় করেছিলেন ট্রেন্ট বোল্ট।
দ্বিতীয় দিন শেষে সংক্ষিপ্ত স্কোর-
নিউজিল্যান্ড (প্রথম ইনিংস)- ৫৫৩/১০ (১৪৫.৩ ওভার) (মিচেল ১৯০, ব্লান্ডেল ১০৬, ব্রেসওয়েল ৪৯, ইয়ং ৪৭, কনওয়ে ৪৬; অ্যান্ডারসন ৩/৬২, স্টোকস ২/৮৫)
ইংল্যান্ড (প্রথম ইনিংস)- ৯০/১ (২৬ ওভার) (পোপ ৫১*, লিস ৩৪*; বোল্ট ১/১৮)