বাংলাদেশ - শ্রীলঙ্কা সিরিজ

রিভিউয়ে বোলার-কিপারের সহায়তা চান মুমিনুল

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
প্রকাশের তারিখ: 16:29 শনিবার, 14 মে, 2022

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||

সময় মতো রিভিউ না নেয়া কিংবা অপ্রয়োজনীয় সময়ে রিভিউ নিয়ে ব্যর্থ হওয়ায় বরাবরই সমালোচনার মুখে পড়েছেন মুমিনুল হক। যার চড়া মূল্যও দিতে হয়েছে বাংলাদেশকেও। শ্রীলঙ্কা সিরিজের আগে রিভিউ ব্যর্থতার ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে কিপার ও বোলারদের কাছে সহায়তা চাইলেন মুমিনুল।

২০২১ সালের শুরুতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্টে রিভিউ নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক হয়েছে। চট্টগ্রামে সেদিন সঠিক সময়ে রিভিউ নিলে ভিন্ন হতে পারতো ম্যাচের ফল, এমনকি সিরিজের ফলও ভিন্ন হতে পারতো। ৩৯৫ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে এনক্রুমাহ বোনার ও কাইল মায়ার্সের ব্যাটে জয় পেয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। 

সেদিন ২১০ রানের ইতিহাস গড়া ইনিংস খেলেছিলেন মায়ার্স। অথচ সঠিক সময়ে রিভিউ নিলে ৪৭ রানেই ফিরতে পারতেন বাঁহাতি এই ব্যাটার। রিভিউ না নেয়ায় ২৫ রানে বেঁচে গিয়েছিলেন ৮৬ রান করা বোনার। শ্রীলঙ্কা ও দক্ষিণ আফ্রিকা সফরেও একই ভুল করেছিল বাংলাদেশ। 

যেখানে শ্রীলঙ্কা সফরে তাইজুল ইসলামের বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েছিলেন লাহিরু থিরিমান্নে। তবে আম্পায়ার তাতে সাড়া দেননি। বাংলাদেশ রিভিউ না নেয়ায় সেদিন ৫৮ রানে বেঁচে গিয়েছিলেন থিরিমান্নে। সর্বশেষ দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে তাসকিন আহমেদের বলে কট বিহাইন্ড হয়েছিলেন কিগান পিটারসেন।

আম্পায়ার বুঝতে না পারায় সেটি আউট দেননি। কিপার কিংবা বোলাররাও সেভাবে বুঝতে না পারায় সেদিন রিভিউ নেয়নি বাংলাদেশ। তাতে ১৮ রানে বেঁচে গিয়েছিলেন পিটারসেন। প্রথম ইনিংসে মুমিনুলের সিদ্ধান্তহীনতার কারণে বেঁচে গিয়েছিলেন সারেল এরউই। খালেদ আহমেদের ভেতরে ঢোকা বল আঘাত হানে এরউইয়ের প্যাডে। 

লেগ বিফোরের আবেদন করলেও তাতে সাড়া দেননি আম্পায়ার। রিভিউ নিতে গিয়ে ১৫ সেকেন্ড পেরিয়ে যান মুমিনুল। তাতে গ্রহণযোগ্যতা পায় না মুমিনুলের রিভিউ। তাতে বেঁচে যান এরউই। কারণ পরবর্তীতে রিপ্লেতে দেখা যায় আউট ছিলেন প্রোটিয়া ওপেনার।

শ্রীলঙ্কা সিরিজে এসব ব্যর্থতা কাটিয়ে উঠতে বোলার ও কিপারের সহায়তা চাচ্ছেন বাংলাদেশের টেস্ট অধিনায়ক। মুমিনুল বলেন, ‘ফাজলামি করে বললে আমার রোবট হতে হবে, এছাড়া অপশন নাই। বোলারের ভিউটা সবচেয়ে ভালো থাকে, বোলার আর কিপারের ভিউটা সবচেয়ে সুন্দর থাকে। আমি অধিনায়ক হিসেবে হয়তো মিড অফ বা মিড উইকেটে থাকি। কিপার ও বোলার যদি ভালো ফিডব্যাক দেয়। তখন সিদ্ধান্তটা ভালো নেওয়া যায়।’

‘এর আগে আমি অনেক রিভিউতে সফল হয়েছি, আমার কাছে মনে হয় মাঝেমধ্যে আপনাদের আলোচনা করা উচিত। মাঝেমধ্যে হয় না। শুধু আমি না, দুনিয়ার সব অধিনায়কই এটা ফেস করে, তাই আমার মনে হয় একটু সাপোর্টও দরকার।’