বাংলাদেশ-আফগানিস্তান ২০২২

মজার ছলে ডমিঙ্গো বললেন, 'কিল দ্য মিডিয়া'

আবিদ মোহাম্মদ

আবিদ মোহাম্মদ
প্রকাশের তারিখ: 15:17 রবিবার, 27 ফেব্রুয়ারি, 2022

|| ক্রিকফ্রেঞ্জি করেসপন্ডেন্ট ||

সিরিজ আগেই জেতা হয়ে গিয়েছে বাংলাদেশের। এখন লক্ষ্য হোয়াইটওয়াশ। যেহেতু ওয়ানডে সুপার লিগের খেলা তাই প্রতিপক্ষ ও কোন ম্যাচকেই হালকাভাবে নেয়ার সুযোগ নেই। তাই তো তৃতীয় ওয়ানডের আগে অনুশীলনে 'সিরিয়াস' তামিম ইকবালের দল। ওয়ানডে দলের সঙ্গে অনুশীলন উপস্থিত আছে টি-টোয়েন্টি দলও।

সিরিজ জেতার ঐচ্ছিক অনুশীলনে উপস্থিত ছিলেন না সাকিব আল হাসান, লিটন দাস, মুস্তাফিজুর রহমানরা। তবে বাকিদের নিয়ে ব্যস্ত সময়ই পার করতে গিয়েছে রাসেল ডমিঙ্গো ও জেমি সিডন্সকে। একবার উত্তর পাশের নেট ও আবার প্রেস বক্সের নিচের নেটে ছুটোছুটি চলছে কোচিং স্টাফের।

উত্তর পাশের নেটে চট্টগ্রামের দুই ছেলে তামিম ও ইয়াসির আলি রাব্বি স্পিন ও পেসের বিপক্ষে নিজেদের ঝালাই করে নিচ্ছেন। প্রেস বক্সের নিচের নেটে সে সময় অনুশীলন শেষ করে ওই নেটের দিকে যাচ্ছেন মেহেদি হাসান মিরাজ। মিরাজের উঠে যাওয়া নেটে ব্যাটিংয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।

ঠিক এর পাশের নেটেই দীর্ঘ সময় ধরে অনুশীলন করছিলেন নাঈম শেখ। টি-টোয়েন্টি দল প্রথম ওয়ানডে জেতার পরের দিন চট্টগ্রাম এসেছে। দ্বিতীয় ওয়ানডের পরের দিন জহুর আহমেদে অনুশীলন করেছেন তারা। পরের দিনও এই ফরম্যাটে লড়তে ওয়ানডে দলের সঙ্গে অনুশীলনে নাঈম-মুনিমরা।

নাঈম ও মাহমুদউল্লাহ যখন পাশাপাশি নেটে ব্যাটিং করতে ব্যস্ত সে সময় নেটে ছিলেন ডমিঙ্গোও। বাংলাদেশের এই প্রধান কোচের বাড়তি মনোযোগ ছিল নাঈমের দিকে। বাঁহাতি এই ওপেনারকে ডমিঙ্গো নিজেই কাছে গিয়ে সব বার বার দেখিয়ে দিচ্ছিলেন। কোন বলে কোন শট কোন দিকে খেলতে হবে, শরীর কতখানি সামনে বা পেছনে ঝুকবে কিংবা পা কতখানিক আগাতে-পেছাতে হবে।

নাইম-ডমিঙ্গোর এই আলোচনার মাঝে ঘটে গেল এক ঘটনা। তাদের নেটের ঠিক পিছনে স্টেডিয়মের মূল বেষ্টনী। লোহার তৈরি বেষ্টনী খুব বেশি উঁচুও নয়। সেখানেই দাঁড়িয়ে ছিলেন ক্রিকফ্রেঞ্জির ক্রীড়া সংবাদিকসহ আরো ৩-৪ জন সংবাদকর্মী।

নাঈমকে ব্যাটিং অনুশীলন করাচ্ছলেন ডমিঙ্গো, সঙ্গে ছিলেন সাইড আর্ম থ্রোয়ার নাসির। নাসিরের করা থ্রো মাঝ উইকেটে পড়ে লাফিয়ে ওঠে। বলটি খেলতে পারেননি নাঈম। পরবর্তীতে সে বল নেট ভেদ করে বাইরে বেরিয়ে আসে।নেট ফাঁকি দিয়ে বাইরে বেরিয়ে যাওয়া বলটি সেখানে দাঁড়িয়ে থাকা এক সংবাদকর্মীর পাশে আঘাত করে।

তখন নাসিরকে উদ্দেশ্য করে ডমিঙ্গোকে বলতে শোনা যায়, ‘কিল দ্য মিডিয়া।’ সেখানে উপস্থিত ক্রিকফ্রেঞ্জির সাংবাদিক ডমিঙ্গোকে বলেন, ‘ডোন্ট কিল আস!’ এছাড়া তার কাছে জানতে চাওয়া হয়, ‘মনে হচ্ছে তুমি সাংবাদিকদের ওপর রেগে আছ? আমাদের মারতে চাইছ যে? অট্টহাসিতে যেন বোঝাতে চাইলেন, ‘মজা করছিলাম বন্ধু!’

বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে রাসেল ডমিঙ্গোর সম্পর্কটা যে খুব একটা সুখকর নয়, এ খবর নতুন নয় দেশের ক্রিকেট সমর্থকদের কাছে। নানান কারণে বিতর্কিত বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের হেড কোচ। ডমিঙ্গোর সে সব খবর নিয়মিত প্রচার হয় সংবাদমাধ্যমে।

যদিও গত ২৪ ফেব্রুয়ারি আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচের পর অনুশীলন শেষে ডমিঙ্গো বলেছিলেন,‘গণমাধ্যম ও মানুষ যা বলে, আমি তাতে মেজাজ হারাতে পারি। কিন্তু এটা করা জরুরী নয়। আপনাদের কাজ এটা, আপনারা আমাকে বা খেলোয়াড়দের নিয়ে যা খুশি লিখতে পারেন। আমি সেটা খেলোয়াড়দের থেকে দূরে রাখি। আপনাদের যা খুশি আমাকে জিজ্ঞেস করতে পারেন। আমি মেজাজ হারাব না। কিন্তু সত্যি বলতে, আপনারা যা লেখেন তা বেশিরভাগ সময় আমি বুঝতেই পারি না।’