বাংলাদেশ ক্রিকেট

মিরপুরের উন্নতি দেখে খুশি সিডন্স

মমিনুল ইসলাম

মমিনুল ইসলাম
প্রকাশের তারিখ: 19:55 শুক্রবার, 11 ফেব্রুয়ারি, 2022

|| ক্রিকফ্রেঞ্জি করেসপন্ডেন্ট ||

বিকেল গড়িয়ে দিনের সূর্য কেবলই অস্ত যাওয়ার প্রহর গুনছে। খুলনা টাইগার্সকে হারিয়ে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স যখন পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষস্থান দখল করে নিয়েছে তখন মিরপুর শের-ই-বাংলায় পা রাখেন জেমি সিডন্স। বাংলাদেশে পা রেখেই ব্যস্ত সময় পার করছেন টাইগারদের সাবেক এই প্রধান কোচ। ফেলে যাওয়া বাংলাদেশকে নতুন করে চেনার পরিকল্পনাতেই সিডন্সের ব্যস্ততার যেন শেষ নেই। 

সাকিব আল হাসান-তামিম ইকবালদের ব্যাটিং কোচের দায়িত্ব পাওয়ার পর আরও একবার মিরপুরে পা  রাখেন এই অস্ট্রেলিয়ান। শুক্রবার সন্ধ্যার আগে মিরপুরে পা রেখেই সিডন্সের গন্তব্য একাডেমি মাঠ। সেখানে খানিকটা সময় পুরো মাঠ ঘুরে দেখেন। চোখ পড়েছে একাডেমি মাঠের উইকেটগুলোতেও। সেখানে ৫-৭ মিনিট কাটিয়ে সিডন্স পথ ধরেন ইনডোরের দিকে। 

মূল মাঠে প্রবেশ করার পর প্রেসবক্সের ঠিক সামনে দিয়ে হেঁটে যান সিডন্স। সেখানে তাকে সঙ্গ দিয়েছেন মিরপুরের প্রধান পিচ কিউরেটর গামিনি ডি সিলভা। ইনডোরে প্রবেশ করেই সিডন্সকে আদ্যপান্ত জানিয়ে দিচ্ছিলেন গামিনি। মিনিট পাঁচেক দাঁড়িয়ে  থেকে আলাপ সেরেছেন তারা দুজন।

এদিকে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচ খেলতে নামার আগে গা গরমে ব্যস্ত ছিলেন মিনিস্টার ঢাকা এবং ফরচুন বরিশালের ক্রিকেটাররা। একাডেমি এবং ইনডোর পরিদর্শন শেষে প্রেসিডেন্ট বক্সে গিয়ে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ-সাকিবদের অনুশীলন দেখেছেন সিডন্স। 

মিরপুর পরিদর্শনে পুরোটা সময় সিডন্সের সঙ্গী ছিলেন গ্রাউন্ডস কমিটির ম্যানেজার আব্দুল বাতেন। ক্রিকফ্রেঞ্জির সঙ্গে আলাপকালে, মিরপুরে হঠাৎ সিডন্সের আগমনের বিস্তারিত জানিয়েছেন তিনি। বাংলাদেশের হয়ে কাজ করতে নামার আগে উইকেট ও মাঠের পরিস্থিতি জানতেই মিরপুরে আসেন টাইগারদের ব্যাটিং কোচ।

প্রায় ২০-২৫ মিনিটের পর্যবেক্ষণে মিরপুরের উন্নতিতে খুশি হয়েছেন সিডন্স। ক্রিকফ্রেঞ্জির সঙ্গে আলাপকালে এমনটাই জানিয়েছেন গ্রাউন্ডস কমিটির ম্যানেজার। বাতেন বলেন, ‘আসলে তেমন কোনো পরিকল্পনা ছিল না। সে তো বোর্ডের সঙ্গে পরিকল্পনা করবে।’

‘সে উইকেট এবং মাঠগুলো দেখতে চেয়েছিল। সেটাই তাকে ঘুরিয়ে দেখালাম। সবকিছু দেখে সে খুশি হয়েছে। তার চোখে অনেকটা পরিবর্তন ধরা পড়েছে। উইকেট বেড়েছে, টার্ফ চেঞ্জ হয়েছে। উন্নতি দেখে সে খুশি।’