বিপিএল

নাসুমের ঘূর্ণিতে ঢাকাকে হারালো চট্টগ্রাম

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
প্রকাশের তারিখ: 19:16 শনিবার, 22 জানুয়ারি, 2022

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||

টানা দ্বিতীয় হাফ সেঞ্চুরিতে মিনিস্টার ঢাকাকে উড়ন্ত শুরু এনে দিয়েছিলেন তামিম ইকবাল। তবে নাসুম আহমেদের স্পিন ঘূর্ণির সামনে দাঁড়াতেই পারেনি ঢাকার পরবর্তী ব্যাটাররা। তাতে করে ৩০ রানের জয় পায় চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। এদিকে টানা দ্বিতীয় ম্যাচে হারলো মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ঢাকা।

জয়ের জন্য ১৬২ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ঢাকাকে দুর্দান্ত শুরু এনে দেন দুই ওপেনার তামিম ইকবাল এবং মোহাম্মদ শাহজাদ। উদ্বোধনী জুটিতে তারা দুজনে মিলে যোগ করেন ৪২ রান। শুরুর দিকে খানিকটা ধীরগতিতে ব্যাটিং করলেও শরিফুলের এক ওভারে দুই চার এবং একটি ছক্কা মেরে রানের গতি বাড়ান তামিম। এরপর থেকে খানিকটা আক্রমনাত্বক ব্যাটিং করতে থাকেন দেশসেরা এই ওপেনার।

পাওয়ার প্লে শেষ হওয়ার পরের ওভারে চট্টগ্রামকে প্রথম উইকেট এনে দেন মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধ। ডানহাতি এই পেসারের অফ স্টাম্পের বাইরের বল খেলতে গিয়ে থার্ডম্যানে দাঁড়িয়ে থাকা শামিম পাটোয়ারির হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন ৯ রান করা শাহজাদ। তাতে ভাঙে তামিমের সঙ্গে তার ৪২ রানের উদ্বোধনী জুটি। শাহজাদ ফেরার পর আউট হয়েছেন তামিমও।

শরিফুলের বলে লাইন মিস করে বোল্ড হয়েছেন বাঁহাতি এই ওপেনার। ছয়টি চার এবং দুটি ছক্কায় ৪৫ বলে ৫২ রান করে আউট হয়েছেন তিনি। তিনে নেমে সুবিধা করতে পারেননি জহুরুল হক অমি। শরিফুল ইসলামের বলে উইল জ্যাকসের হাতে ক্যাচ দিয়ে ১০ রানে আউট হয়েছেন এই উইকেটকিপার ব্যাটার। ব্যর্থ হয়েছেন নাইম শেখ এবং মাহমুদউল্লাহও।

তাদের দুজনকে একই ওভারে আউট করেছেন নাসুম আহমেদ। প্রথম বলে ৪ রান করা নাইমকে আউট করার পর পঞ্চম বলে মাহমুদউল্লাহকে ফেরান বাঁহাতি এই স্পিনার। নিজেরপরের ওভারে মারকুটে আন্দ্রে রাসেলকেও প্যাভিলিয়নে পাঠিয়েছেন নাসুম। রান তাড়ায় চাপে পড়ায় নাসুমের বলে তুলে মারতে গিয়ে আউট হয়েছেন ১২ রান করা রাসেল। অনেকটা উপরে উঠা বলটি দারুণভাবে লুফে নিয়েছেন শামিম।

ম্যাচ জিততে শেষ ২৪ বলে ঢাকার প্রয়োজন ছিল ৬২ রান। যেখানে মাত্র ৩১ রান তুলতে পেরেছেন ঢাকার ব্যাটাররা। শেষ দিকে ইসুরু উদানা ১৬ রান করলেও সেটা কেবলই হারের ব্যবধান কমিয়েছে। ১৩১ রানে অল আউট হয়ে ঢাকার হার নিশ্চিত হয়। চট্টগ্রামের হয়ে মাত্র ৯ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়েছেন নাসুম। 

এর আগে মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে এদিনও দ্রুতই সাজঘরে ফেরেন কেনার লুইস। ইনিংসের তৃতীয় ওভারে রুবেল হোসেনের বলে লেগ বিফোর উইকেটের ফাঁদে পড়ে ২ রানে আউট হয়েছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের এই উইকেটকিপার ব্যাটার। ভালো শুরুর আভাস দিলেও শেষ পর্যন্ত ইনিংস বড় করতে পারেননি আফিফ হোসেন।

যদিও জ্যাকসের সঙ্গে ৪৮ রানের জুটি গড়ে দলকে শুরুর বিপর্যয় থেকে সামাল দিয়েছেন। তবে আরাফাত সানির বলে বেরিয়ে এসে মারতে গিয়ে স্টাম্পিং হয়েছেন বাঁহাতি এই ব্যাটার। তাতে ১ ছক্কায় ১২ বরে ১২ রান করে সাজঘরে ফিরতে হয় তাকে । আফিফের পর সাজঘরে ফিরেছেন ইংলিশ ব্যাটার জ্যাকস। 

শুভাগত হোমের বলে বোল্ড হয়ে হাফ সেঞ্চুরি না পাওয়ার আক্ষেপে পুড়তে হয়েছে তাকে। ছয়টি চার এবং দুটি ছক্কায় ২৪ বলে ৪১ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেছেন জ্যাকস। এরপর অবশ্য দারুণ এক জুটি গড়ে তোলেন মেহেদি হাসান মিরাজ এবং সাব্বির। তারা দুজনে মিলে যোগ করেন ৪৪ রান।

মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের বলে তুলে মারতে গিয়ে আউট হয়েছেন মিরাজ। আন্দ্রে রাসেলের দুর্দান্ত ক্যাচে চট্টগ্রামের অধিনায়ককে ফিরতে হয় ২৫ বলে ২৫ রান করে। এরপর অবশ্য সাব্বিরও বেশি সময় টিকতে পারেননি। সমান দুটি করে ছক্কা ও চারে ১৭ বলে ২৯ রানের ইনিংস খেলে রুবেলের বলে বোল্ড হয়েছেন সাব্বির। 

শেষ দিকে অবশ্য চট্টগ্রামের রান বাড়িয়েছেন বেনি হাওয়েল। শেষ দিকে তামিম ইকবালের দুর্দান্ত থ্রোতে রান আউট হওয়ার আগে তিন ছক্কা ও এক চারে ১৯ বলে ৩৭ রান করেছেন ডানহাতি এই ব্যাটার। ঢাকার হয়ে রুবেল তিনটি উইকেট নিয়েছেন।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স- ১৬১/৮ (২০ ওভার) (জ্যাকস ৪১, হাওয়েল ৩৭, সাব্বির ২৯, মিরাজ ২৫, রুবেল ৩/২৬)

মিনিস্টার ঢাকা- ১৩১/১০ (১৯.৫ ওভার) (তামিম ৫২, উদানা ১৬, শুভাগত ১৩, শরিফুল ৪/৩৪, নাসুম ৩/৯)