বিপিএল ২০২২

হতশ্রী ব্যাটিং শেষে বিজয় বলছেন, 'দোষ' উইকেটের

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
প্রকাশের তারিখ: 18:46 শনিবার, 22 জানুয়ারি, 2022

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||

ফের মালিকানা বদলিয়েও ভাগ্য বদলায়নি সিলেট ফ্র্যাঞ্চাইজির। বদলায়নি ২২ গজে দলটি খেলার ধরণও। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) শেষ ৭ আসরে ৬টিতে অংশ নিয়ে মাত্র একবার প্লে অফ খেলা দলটি অষ্টম আসরও শুরু করেছে পরাজয়ের মুখ দেখে। ব্যাটারদের ব্যর্থতায় ৯৬ রানে গুটিয়ে যাওয়া মোসাদ্দেক হোসেনের দল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের কাছে হেরেছে ২ উইকেটে। 

বিপিএলের প্রথম দুই আসরে টানা খেলেছে সিলেট। ২০১৬ সালে অংশ না নিলেও এরপরের ৪টিতেই টানা খেলেছে দলটি। তবে এই আসর সহ মোট ৭বারে তাদের মালিকানা বদলেছে ৫বার। এই আসরে নতুন নামে নতুন মালিকের অধীনে মাঠে নেমেও যেন পুরনো খেলাতেই পড়ে আছে দলটি।

প্রথমে ব্যাটিং করে দলটি অল আউট হয়েছে মাত্র ৯৬ রানে। কলিন ইনগ্রাম, সোহাগ গাজী এবং রবি বোপারা ছাড়া কেউই দুই অংকের ঘরে পৌঁছাতে পারেনি। তবে এই লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নামা কুমিল্লাকেও ধুঁকতে হয়েছে অনেক। ৮ উইকেট হারালেও শেষ পর্যন্ত জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে ফাফ ডু প্লেসি-মুমিনুল হকরা।

ম্যাচ শেষে অবশ্য সংবাদ সম্মেলনে এসে উইকেটের দোষ দিয়েছেন সিলেটের ওপেনার এনামুল হক বিজয়। যে উইকেটে খেলা হয়েছে তা টি-টোয়েন্টির জন্য আদর্শ ছিল না বলে মনে করছেন ডানহাতি এই ব্যাটসম্যানের। এছাড়া স্কোরবোর্ডে আরও ২০ রান বেশি হলে ফলাফল ভিন্ন হত বলে মনে করছেন তিনি।

বিজয় বলেন, 'আসলে প্রথমে তো আমরা দেখেছি রানটা একটু কম হয়ে গেছে। উইকেট অনুযায়ী আমাদের ব্যাটাররা একটু হলেও তাড়াহুড়ো করেছি আমরা। ঐ জায়গায় আমরা যদি একটু সময় নিতে পারতাম, আর কিছু রান করতে পারতাম। আর ২০টা রান বেশি হলেও খেলাটা কন্টেস্ট হতে পারতো।'

উইকেট প্রসঙ্গে বিজয় বলেন, 'উইকেটটা টি-টোয়েন্টির মতো আমাদের মনে হয়নি। ব্যাটিং করা বেশ কঠিন ছিল ব্যাটারদের জন্য। উইকেট ভেজা ছিল, টার্ন ছিল। যে কারণে ব্যাটাররা কমফর্টেবলি খেলতে পারেনি এটাও সত্য। দুইটা দলই একইভাবে খেলেছে। ব্যক্তিগতভাবে আমার কাছে কঠিনই মনে হয়েছে। সবার কাছেই আসলে কঠিন মনে হয়েছে। টি-টোয়েন্টিতে একটু কঠিন এমন উইকেট থাকলে রান বের করা। ওভারল এ কারণেই আমার কাছে মনে হয়েছে রানটা হয়নি'

'উইকেট তো আমরা সবাই-ই দেখেছি প্রত্যাশানুযায়ী ঐরকম পাইনি। টসটাও খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল। আমরা যদি টসে জিততাম, আমরাও ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিতাম। আপনারা সবাই দেখেছেন কী পরিমাণ টার্ন হচ্ছিল। বল কাট করছিল। তো একটি ডিফিকাল্ট ছিল ব্যাটারদের জন্য। একটু না, অনেকখানিই ডিফিকাল্ট ছিল' আরও যোগ করেন তিনি।