|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
বোলারদের জন্য ভীত গড়ে দিয়েছিলেন ব্যাটাররা। বাকি কাজটা করতে হতো তাসকিন আহমেদ-এবাদত হোসেনদেরকে। আর সেটা দারুণভাবেই করে দেখিয়েছেন তারা। বিশেষ করে এবাদতের এক স্পেলে লন্ডভন্ড হয়ে গিয়েছে নিউজিল্যান্ডের মিডল অর্ডার। একাই ৪ উইকেট তুলে নিয়ে দিন শেষ করেছেন ডানহাতি এই পেসার।
নিউজিল্যান্ডকে প্রথম ইনিংসে গুটিয়ে দিয়ে বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে অল আউট হয়েছে ৪৫৮ রানে। ১৩০ রানের লিড নিয়ে তাসকিন-এবাদতদের মঞ্চ গড়ে দেন ব্যাটাররা। আর সেই মঞ্চে বল আলো ছড়িয়েছেন এবাদত।
শেষ সেশনে দিনের শেষ ঘন্টায় দুই ওভারের মাঝে নিউজিল্যান্ডের ৩ ব্যাটসম্যানকে প্যাভিলিয়নে পাঠিয়েছেন এবাদত। উইল ইয়াং এবং হেনরি নিকোলসকে বোল্ড করার সঙ্গে টম ব্লান্ডেলকে লেগ বিফরের ফাঁদে ফেলেন তিনি।
এছাড়া ডেভন কনওয়েকেও একই ভঙ্গিতে আউট করেন এই পেসার। দিন শেষে ৫ উইকেট হারিয়ে স্বাগতিকদের সংগ্রহ ১৪৭ রান। ৫ উইকেট হাতে থাকা কিউইদের লিড মাত্র ১৭ রানের। তাই শেষ দিন বড় কিছুর অপেক্ষায় এখন বাংলাদেশ।
এদিকে বাংলাদেশের পেস বোলিং কোচ ওটিস গিবসন মনে করছেন, নিউজিল্যান্ডের ব্যাটাররা হয়তো বাংলাদেশের পেসারদের গুরুত্বের সঙ্গে নেয়নি। তাই তাদের এমন ভরাডুবি হয়েছে। এছাড়া এবাদত-তাসকিনরা যেভাবে শৃঙ্খলা মেনে বোলিং করেছে তা নিয়ে প্রশংসাও করেছেন তিনি।
গিবসন বলেন, 'আমি আসলে জানি না। আমরা অনেক বেশি স্পিন নির্ভর। উইকেট যদি তাদের পক্ষে কথা বলে তাহলে তারা উইকেট নেবে। কিন্নতু মিরাজ অনেক দারুণ বোলিং করেছে। আর পেসাররা তো অসাধারণ ছিল।'
'হয়তো নিউজিল্যান্ডের ব্যাটাররা আমাদের গুরুত্বের সাথে নেয়নি বা হালকা ভাবে নিয়েছে। আমরা শৃঙ্খলাবদ্ধ ছিলাম, শেষ দুই দিন বোলাররা যেটা করে দেখিয়েছে তা বোলিং কোচ হিসেবে সত্যি আমার কাছে দারুণ ব্যাপার।' আরও যোগ করেন তিনি।
নিউজিল্যান্ডের মাটিতে ২০০১ সাল থেকে সফর করছে বাংলাদেশ। এখন পর্যন্ত ৩ ফরম্যাট মিলিয়ে ৩২ ম্যাচের একটিতেও জিততে পারেনি সফরকারীরা। তবে মাউন্ট মঙ্গানুইতে ২০ বছর পর বাংলাদেশের সামনে জয় হাতছানি দিচ্ছে।
তাই এই বিষয়ে অবগত পুরো দল। গিবসন জানিয়েছেন, অতি আত্মবিশ্বাসী হতে চায় না বাংলাদেশ। ম্যাচের এখনও অনেক দূর বাকি বলে মনে করছেন তিনি। তিনি বলেন, আপনাকে নিশ্চিত করতে পারি যে এই বিষয়ে আমরা অবগত। প্রতিবারই আমাদের এ কথা শুনতে হয়। তারপরও আমরা অতিআত্মবিশ্বাসী হব না। মেডিকেল টিমের প্রধান কাজ থাকবে ছেলেদের উজ্জীবিত রাখা। এবাদত আজ অনেক লম্বা স্পেলে বোলিং করেছে। তাসকিনও লম্বা সময় ধরে বোলিং করেছে। তাই তাদের আগামীকালের মধ্যে ফ্রেশ রাখাটা জরুরী।'
'আর আগামীকাল যখন আমরা বোলিংয়ে নামব তখন আমাদের লক্ষ্য থাকবে একই শৃঙ্খলা মেনে বোলিং করা, আমাদের মনোভাবও একই থাকবে। আজের শেষ দুই ঘন্টায় যেমনটা ছিল। তারপরও আমরা নিজেদের বেশি আত্মবিশ্বাসী করে তুলবো না। আমরা জানি সামনে কত বড় পরীক্ষা অপেক্ষা করছে। আমরা সহজভাবেই নেয়ার চেষ্টা করব। আমাদের লক্ষ্য থাকবে লাইন-লেন্থ মেনে বোলিং করে উইকেট নেয়া। দেখি শেষ পর্যন্ত ম্যাচে কি অপেক্ষা করছে আমাদের জন্য', যোগ করেন এই পেস বোলিং কোচ।