বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ড

মুমিনুল-লিটনদের সুজনের 'টুপি খোলা অভিনন্দন'

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
প্রকাশের তারিখ: 16:56 সোমবার, 03 জানুয়ারি, 2022

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||

দ্বিতীয় দিন বাংলাদেশকে ভালো অবস্থানে রেখে দিন শেষ করেছিলেন মাহমুদুল হাসান জয়। নাজমুল হোসেন শান্ত শেষ বিকেলে ফিরলেও তৃতীয়দিন সকালে মূল পরীক্ষা দিতে হত জয় এবং মুমিনুল হককে। আর সেই পরীক্ষায় পাশ মার্ক তো পেয়েছেনই তারা সেই সঙ্গে দিন শেষে টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজনের টুপি খোলা অভিনন্দনও পেয়েছেন তারা। 

তৃতীয় দিন সকালে প্রথম ঘন্টায় নতুন বলের বিপক্ষে কঠিন পরীক্ষা দিতে হয়েছে বাংলাদেশের ব্যাটারদের। জয় ৭৮ রানে বিদায় নিলেও মুশফিকুর রহিম ও মুমিনুল হক মিলে ট্রেন্ট বোল্ট-নিল ওয়েগনারদের দারুণভাবে সামাল দিয়েছেন। ১১২ বলে ১৯ রানে জুটি গড়ার সঙ্গে মন্থর ব্যাটিংয়ে প্রতিপক্ষ বোলারদের মাথার ঘাম পায়ে ফেলেছেন তারা।

মুশফিকুর রহিম ৫৩ বলে ১২ রান করে বিদায় নিলেও মুমিনুলের সঙ্গে জুটি গড়ে বাংলাদেশকে লিড এনে দেন লিটন দাস। ৩১৭ বল খেলে এই দুজন জুটি গড়েন ১৫৮ রানের। তাদের এই জুটির কারণেই স্কোরবোর্ডে ৪০১ রান নিয়ে দিন শেষ করে বাংলাদেশ। যদিও শেষ বিকেলে দুজনকেই বিদায় করেন বোল্ট।

সংবাদ সম্মেলনে এসে সুজন জানিয়েছেন, নতুন বলে বাংলাদেশের প্রথম পরিকল্পনা ছিল উইকেটে টিকে থাকার। আর বাংলাদেশের ব্যাটাররা বোল্ট-সাউদিদের কোন প্রকার সুযোগ না দিয়ে কাজটা দারুণভাবে করেছেন। তাই শেষ বিকেলে এসে ব্যাটারদের টুপি খোলা অভিনন্দন জানিয়েছেন তিনি। 

সুজন বলেন, 'নতুন বল নেওয়ার পর আমাদের পরিকল্পনা ছিল যত বেশি সময় সম্ভব উইকেটে থাকা। ঐ সময়ে নিউজিল্যান্ড দারুণ বল করেছে। আমাদের মারার কোনো সুযোগই দেয়নি। প্রথম কয়েকটা ওভারে জয় ও মুমিনুল স্ট্রাইকই বদলাতে পারেনি।'

'সিঙ্গেলও হচ্ছিল না। টাইট লাইন-লেন্থে বল করেছে নিউজিল্যান্ডের বোলাররা। মুমিনুল ও মুশফিক ঐ সময়টা যেভাবে কাটিয়েছে... রানের দিকে মনোযোগ না দিয়ে আমরা যত বেশি সম্ভব লম্বা সময় ব্যাটিং করতে চেয়েছি। খেলা যত গভীরে নেওয়া যায়। প্রক্রিয়া ঠিক রেখে বাস্তবায়ন পারফেক্ট ছিল। হ্যাটস অফ।' আরও যোগ করেন তিনি। 

নিউজিল্যান্ডের বোলাররা লাইন-লেন্থ মেনে টানা বল করে গেলেও ব্যাটাররা ধৈর্যের পরীক্ষায় সফল হয়েছেন বলে মনে করছেন সুজন। তৃতীয় দিন শেষে বাংলাদেশ যে অবস্থানে আছেন তাতে চতুর্থ দিন প্রতিপক্ষের ওপর দাপট দেখাতে পারবে বলে করছেন তিনি।

সুজনের ভাষ্যমতে, 'দারুণ। আমি মনে করি দুজনের পার্টনারশিপটা খুবই ভালো ছিল। নিউজিল্যান্ডের বোলাররা শৃঙ্খলা মেনে বল করে। সেই বোলিং সামনে উইকেটে টিকে থাকা। মুমিনুল ওয়াজ এক্সিলেন্ট। উইকেটে এত বল ছিল, যেভাবে বল ছেড়েছে।'

'জয়ও এই কাজটা করেছে। মুমিনুল ও লিটন অনবদ্য ছিল। মুমিনুলের অভিজ্ঞতা লিটনের চেয়ে বেশি। তবে দুজনই দারুণ পার্টনারশিপ করেছে। এখন ম্যাচে যে অবস্থায় আছি, এই অবস্থা থেকে ডমিনেট করতে পারব' আরও যোগ করেন তিনি।  

তৃতীয় দিনের খেলা শেষে বাংলাদেশ এগিয়ে আছে ৭৩ রানে। হাতে ৪ উইকেট থাকায় এই লিড আরও বাড়িয়ে নেওয়ার ভালো সুযোগ রয়েছে তাদের। স্বাগতিক নিউজিল্যান্ডের প্রথম ইনিংসে করা ৩২৮ রানের জবাবে সফরকারীরা ৬ উইকেট খুইয়ে তুলেছে ৪০১ রান।

শেষ বিকেলে মুমিনুলের পর আউট হয়েছেন লিটন। বোল্টের শিকার হওয়ার আগে তিনি খেলেন ১৭৭ বলে ৮৬ রানের নান্দনিক ইনিংস। তার ইনিংসে ছিল ১০টি চার। অফ স্টাম্পের অনেক বাইরের বল জায়গায় দাঁড়িয়ে তাড়া করে উইকেটরক্ষক টম ব্লান্ডেলের গ্লাভসবন্দি হন তিনি।

লিটনের প্রশংসায় টাইগারদের টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন জানান, লিটনের ব্যাটিং সব সময়ই 'গুড টু ওয়াচ'। সুজন বলেন, 'সবাই ভালো ব্যাট করেছে। লিটনের ব্যাটিং তো সাবলীল। ও যেমন ব্যাট করে, সেরকমই করেছে।'

'লিটনের ব্যাটিং সব সময়ই "গুড টু ওয়াচ"। টাইমিং এত ভালো! আজ ব্যাটিং দেখে একবারও মনে হয়নি কোনো রকম চাপে আছে। এত সাবলীলভাবে, সহজভাবে বোলারদের মোকাবিলা করেছে! দুর্দান্ত!' আরও যোগ করেন বাংলাদেশের সাবেক এই অধিনায়ক