নিউজিল্যান্ড - বাংলাদেশ সিরিজ

বিষাদে পুড়িয়ে টেলরকে বিদায় দিতে চান ডমিঙ্গো

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
প্রকাশের তারিখ: 15:20 শুক্রবার, 31 ডিসেম্বর, 2021

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||

নিউজিল্যান্ডের ক্রিকেট ইতিহাসের সফলতম ব্যাটারদের মাঝে একজন রস টেলর। বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ দিয়ে টেস্ট ক্রিকেটকে বিদায় বলছেন অভিজ্ঞ এই ব্যাটার। শেষটা রাঙিয়ে রাখার প্রতিশ্রুতি দিলেও বাংলাদেশের প্রধান কোচ রাসেল ডমিঙ্গো জানিয়েছেন, বিষাদে পুড়িয়ে টেলরকে বিদায় দিতে চায় বাংলাদেশ।

সাদা পোশাকের ক্রিকেটে বাংলাদেশের বিপক্ষে বরাবরই দুর্দান্ত টেলর। এখন পর্যন্ত টাইগারদের বিপক্ষে ৯ টেস্টে ৫৩.৯১ গড়ে ৬৪৭ রান করেছেন ডানহাতি এই ব্যাটার। যেখানে এক সেঞ্চুরির সঙ্গে রয়েছে পাঁচটি হাফ সেঞ্চুরি। ২০১৯ সালে ওয়েলিংটনে হওয়া টেস্টের সেঞ্চুরিটি ডাবলে রূপান্তর করেছিলেন তিনি। সেই টেস্টে ম্যাচ সেরার পুরস্কারও জিতেছিলেন টেলর।

রান তোলার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ প্রিয় প্রতিপক্ষ হওয়ায় ক্যারিয়ারের শেষ দুই টেস্টও ব্যাট হাতে রাঙিয়ে রাখতে চাইবেন তিনি। তবে বাংলাদেশের বিপক্ষে যেন টেলর ভালো করতে না পারেন এমনটা চান বাংলাদেশের প্রধান কোচ। তাকে আউট করতে বোলারদের ভালো বল করতে হবেও বলে মনে করেন তিনি।

ম্যাচের আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে ডমিঙ্গো বলেন, ‘এখনও কিছু ক্রিকেট তার বাকি আছে, এই সিরিজে যেমন। তবে অনেক বোলারই খুশি হবে যে সামনে তাকে বল করতে হবে না আর। গত ১০-১২ বছর ধরে সে দারুণ ধারাবাহিক। আমরা নিশ্চিত করার চেষ্টা করব, তার বিদায় যেন খুব ভালো না হয়।’

‘আমরা জানি, তাকে আউট করতে হলে সামনে কয়েকদিনে আমাদের ভালো বল করতে হবে। কারণ, সে শেষটা ভালো করতে মুখিয়ে থাকবে। ভালো মানের সব ক্রিকেটারই চায় শেষটা চূড়ায় থেকে করতে এবং মাথা উঁচু করে বিদায় নিতে। সে অবশ্যই চেষ্টা করবে সামনের দুই সপ্তাহে বড় স্কোর করতে।’

এখন পর্যন্ত নিউজিল্যান্ডের হয়ে ১১০টি টেস্ট খেলেছেন টেলর। সাদা পোশাকের ক্রিকেটে ১৯ সেঞ্চুরি এবং ৫১ হাফ সেঞ্চুরিতে ৮ হাজার ৫৭৬ রান করেছেন অভিজ্ঞ এই ব্যাটার। নিউজিল্যান্ডের টেস্ট ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি রান সংগ্রাহকদের তালিকায় সবার ওপরে তিনি। বিদায় বেলায় টেলরকে ভবিষ্যতের জন্য শুভ কামনা জানিয়েছেন ডমিঙ্গো।

বাংলাদেশের প্রধান কোচ বলেন, ‘আমি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সম্পৃক্ত আছি ৯-১০ বছর ধরে, সে (টেইলর) সবসময়ই ছিল কঠিন প্রতিপক্ষ। তাকে আউট করা কঠিন। খুবই উঁচুমানের ক্রিকেটার। নিউ জিল্যান্ড ক্রিকেটের জন্য দুঃখজনক যে, সে বিদায় নিচ্ছে। তবে আমার মনে হয়, অনেক প্রতিপক্ষই খুশি হবে যে তার সামনে আর বোলিং করতে হবে না। নিউ জিল্যান্ড ক্রিকেটকে দারুণ সেবা দিয়েছে সে। এই গ্রীষ্মের পর তার ভবিষ্যৎ যেখানেই থাকুক, তার জন্য শুভ কামনা।’