যুব এশিয়া কাপ

নেপালকে গুঁড়িয়ে দিয়ে টাইগার যুবাদের দাপুটে জয়

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
প্রকাশের তারিখ: 15:21 শুক্রবার, 24 ডিসেম্বর, 2021

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||

যুব এশিয়া কাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে নেপালকে ১৫৪ রানে গুঁড়িয়ে দিয়ে শুভসূচনা করেছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। এই ম্যাচে আগে ব্যাট করে প্রান্তিক নওরোজ নাবিলের সেঞ্চুরিতে ভর করে ৪ উইকেট হারিয়ে ২৯৭ রান করে বাংলাদেশ। জবাবে খেলতে নেমে ১৪৩ রানে অল আউট হয়ে যায় নেপাল।

বড় লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরু থেকেই উইকেট হারাতে থাকে নেপাল। দলীয় ৪৮ রানের মধ্যেই টপ অর্ডারের ৪ উইকেট হারায় তারা। পঞ্চম উইকেটে কিছুটা প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেছিলেন বিবেক কুমার রানামাগার ও বাসির আহমেদ। যদিও বাসির ৮ রান করে ফিরে গেলে আবারও চাপে পড়ে নেপাল।

রানামাগার ৩৩ ও বিবেক কুমার যাদব ২৬ রান করে ফিরে গেলে আর ঘুড়ে দাঁড়ানো হয়নি নেপালের। একপ্রান্ত আগলে রেখে ৩৫ রানের ইনিংস খেলেছেন গুলশান কুমার। নির্ধারিত ৫০ ওভারের ৭.৩ ওভার আগেই তারা অল আউট হয়ে যায়। বাংলাদেশের হয়ে ২টি করে উইকেট নিয়েছেন, তানজিম হাসান, রাকিবুল হাসান, মেহরব হোসেন ও নাইমুর রহমান।

এর আগে টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে ওপেনিং জুটিতে ৩৯ রান যোগ করেছিল বাংলাদেশ। ১১তম ওভারের শেষ বলে ৩২ বলে ১৭ রান করা মাহফুজুল ইসলাম ক্যাচ আউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন তিলক রাজের বলে। এরপর রান আউট হয়ে ফিরে যান আরেক ওপেনার ইফতেখার হোসেন।

তার ব্যাট থেকে আসে ২১ রান। তৃতীয় উইকেট জুটিতে। আইচ মোল্লাকে নিয়ে ৩৮ রানের জুটি গড়ে প্রাথমিক বিপর্যয় সামাল দেন প্রান্তিক। দারুণ শুরুর পর আইচ আউট হন ২২ রান করে মোহাম্মদ আদিল আলমের বলে।

এরপর প্রান্তিক আরেকটি জুটি গড়েন মোহাম্মদ ফাহিমকে সঙ্গে নিয়ে। হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেয়ার পর ফাহিম ৫৮ রান করে রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে মাঠ ছাড়েন।  বাকি সময়টা মেহরব হোসেনকে সঙ্গে নিয়ে সামাল দিয়েছেন প্রান্তিক।

শেষদিকে মেহরব ২১ রান করে গুলশান কুমারের বলে বোল্ড হয়েছেন। ৬০ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেয়া প্রান্তিক সেঞ্চুরি ছুয়েছেন ৯৮ বলে। শেষ পর্যন্ত তিনি অপরাজিত ছিলেন ১২৭ রান তুলে। তার সঙ্গী আরিফুল ইসলাম অপরাজিত থেকেছেন ২ রান করে।

সংক্ষিপ্ত স্কোর-

বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব ১৯- ২৭৫/৩ (৫০ ওভার) (ইফতি ২১, প্রান্তিক ১২৭*, আইচ ২২, ফাহিম ৫৮, মেহরব ২১; তিলক ১/৩১, আদিল ১/৪৩)

নেপাল অনূর্ধ্ব ১৯- ১৪৩/১০ (৪২.৩ ওভার) ( রানামাগার ৩৩, যাদব ২৬, গুলশান ৩৫; মেহরব ২/ ২০, তানজিম ২/২২)