নিউজিল্যান্ড-বাংলাদেশ সিরিজ

বাংলাদেশের বিপক্ষে বাদ পড়ায় হতাশ তবে অবাক নন প্যাটেল

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
প্রকাশের তারিখ: 11:42 শুক্রবার, 24 ডিসেম্বর, 2021

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||

ভারতের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে ১০ উইকেট নিয়ে ইতিহাসের পাতায় নাম লিখিয়েছেন এজাজ প্যাটেল। দুই টেস্টে নিয়েছিলেন ১৭ উইকেট নিয়ে স্বপ্নের মতো সিরিজ পার করেছেন তিনি। তবুও ঘরের মাঠে বাংলাদেশের বিপক্ষে ১৩ সদস্যের দলে জায়গা পাননি বাঁহাতি এই স্পিনার। বাংলাদেশের বিপক্ষে বাদ পড়ায় হতাশ হলেও অবাক নন তিনি। 

নিউজিল্যান্ডের কন্ডিশনে বরাবরই আধিপত্য বিস্তার করে পেসাররা। ট্রেন্ট বোল্ট, কাইল জেমিসন কিংবা নেইল ওয়াগনারদের দাপটের কারণে স্পিনারদের খুব বেশি খেলার সুযোগ হয়ে উঠে না। প্যাটেল না থাকলেও বাংলাদেশের বিপক্ষে স্পিনার হিসেবে দলে রাখা হয়েছে রাচিন রবীন্দ্র এবং মিচেল স্যান্টনারকে। 

যদিও দলে জায়গা পেতে তাদের ব্যাটিং পারদর্শীতা কাজে দিয়েছে। এদিকে স্পিনার হিসেবে ঘরের মাঠে সফল হতে পারেনি এজাজ। ৩৩ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার তিন বছরের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে নিয়েছেন ৪৩ উইকেট। যার সবকটিই দেশের বাইরে। তিন টেস্টে ৪৯ ওভার বোলিং করে কোনো উইকেট নিতে পারেননি এজাজ। তবুও নিউজিল্যান্ডের মাটিতে টেস্ট খেলতে মুখিয়ে তিনি।

এ প্রসঙ্গে এজাজ বলেন, ‘আমার হতাশা প্রকাশের চেয়ে বড় বিষয় এটা। কারণ আমি মনে করি, এখনও নিজেকে মেলে ধরতে হবে। এখনও আমার দেখাতে হবে যে, নিউজিল্যান্ডে টেস্ট খেলার জন্য আমি কতটা উন্মুখ।’

নিউজিল্যান্ডের উইকেট থেকে পেসারদের মতো ব্যাটাররাও সুবিধা পেয়ে থাকেন। দলের সেরা ব্যাটার কেন উইলিয়ামসন না থাকায় খানিকটা ভুগতে হতে পারে নিউজিল্যান্ডকে। যে কারণে যেসব বোলাররা ব্যাটিং করতে পারেন তাদেরকে সুযোগ করে দেয়া হয়েছে। যাতে করে ব্যাটিংয়ে অবদান রাখতে পারেন।

ঘরের মাঠে ব্যাটিং করতে পারে এমন ক্রিকেটারদের প্রাধান্য দেয়ায় এটি নিয়ে কাজ করছেন এজাজ। বাংলাদেশের বিপক্ষে না থাকলেও সামনে ভালো ইনিংস খেলার সুযোগ পাবেন বলে মনে করেন বাঁহাতি এই স্পিনার। এদিকে বর্তমানে পেসাররা দাপট দেখালেও ভবিষ্যতে স্পিনাররা মূল্যবান হয়ে উঠবে বলে মনে করেন তিনি।

এজাজ বলেন, ‘বাস্তবতা হলো, তারা (দল) ঘরের মাঠে আরও বেশি ব্যাটিং খুঁজছে এবং সেটা নিয়েই আমি কাজ করছি। আশা করি, ভালো কিছু ইনিংস খেলার সুযোগ পাব এবং নিশ্চিত করব যে, ভালো করার ক্ষুধাটা আছে।’

‘এই মুহূর্তে নিউ জিল্যান্ডের ইতিহাসের সেরা কিছু ফাস্ট বোলার আছে দলে। এটা অন্য কোনো যুগের ফাস্ট বোলারদের অসম্মান করা নয়, বরং এটাই এখন বাস্তবতা। ভবিষ্যতে এর পরিবর্তন হতে পারে যেখানে বিশেষজ্ঞ স্পিনার এই কন্ডিশনে মূল্যবান হয়ে উঠবে।’