|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
বলা হয়ে থাকে বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসের সবচেয়ে বড় অর্জন আকবর আলীর দলের যুব বিশ্বকাপ জয়। যে দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন রাকিবুল হাসান এবং তানজিম হাসান সাকিব। তাদের দুজনকে রাখা হয়েছে আসন্ন যুব বিশ্বকাপের বাংলাদেশ দলেও।
যেখানে দলকে নেতৃত্ব দেবেন রাকিবুল। এদিকে পেস আক্রমণের নেতৃত্বে থাকবেন সাকিব। হুট করে তাদের দুজনকে কেন দলে নেয়া হয়েছে। এমন প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছিলো সবার মাঝে। সেটির ব্যাখ্যা দিয়েছেন বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের ম্যানেজার আবু এনাম মো. কাউসার।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘না অবশ্যই না। আমি যেটা মনে করি প্রথমত আপনাকে দলের দিকে দেখতে হবে। টুর্নামেন্টে যেহেতু সুযোগ আছে তাঁদের খেলার, সেই সুযোগটা আমরা নিয়েছি। এখানে অভিজ্ঞতা একটা ব্যাপার, আমাদের যে কম্বিনেশন খুবই তরুণ একটি দল।’
‘আমাদের গত বিশ্বকাপ দলের চার জন খেলোয়াড় এই দলে আছে, তার মধ্যে শুধু দুজন খেলেছে। আর যে দুজন আছে তারা কিন্তু ম্যাচ খেলেনি। তাঁদের কিন্তু সেই অভিজ্ঞতাটা নেই। ম্যাচের আমেজ, ম্যাচে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করার যে ব্যাপারটা সেটাও নেই।’
ঘরের মাঠে আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ জিতলেও শ্রীলঙ্কা সফরে ধরাশয়ী হয়েছিল বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। তবে ভারত সফরে গিয়ে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ায় টাইগার যুবারা। যেখানে অপরাজিত থেকে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে তারা।
কাউসারের দাবি, সাকিব এবং রাকিবুলের অন্তর্ভূক্তিতে বদলে যায় বাংলাদেশ। এদিকে ১৭ সদস্যের দল নিয়ে বিশ্বকাপে যাচ্ছে রাকিবুলের দল। যেখানে দুজন রিজার্ভ ক্রিকেটার এবং বাকি ১৫ জন মূল দলের সদস্য। রাকিবুল এবং সাকিবের কাছে থাকে বাকিরা অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারবে বলে বিশ্বাস করেন দলটির ম্যানেজার।
কাউসার বলেন, ‘আমি মনে করি সবচেয়ে বড় ব্যাপার যেটা বাংলাদেশ দল এখানে যাচ্ছে। আইনগতভাবে খেলার জন্য তারা উপযোগী। যেহেতু তারা উপযোগী এবং তাঁদের যে অভিজ্ঞতাটা এটা দলের মধ্যে যদি দেয়া যায়, আপনারা দেখেছেন তারা কীভাবে ভারতে কামব্যাক করা। তাঁদের শুধু ঘাটতি ছিল যেটা সেটা ছিল ছোট একট অভিজ্ঞতা যোগ করা।’
‘আমরা মনে করছি রাকিবুল এবং সাকিবকে যে দলে আনা হয়েছে এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমরা ১৭ জন ক্রিকেটার নিয়ে যাচ্ছি, ১৫ জন মূল দলে দুজন ট্রাভেলিং রিজার্ভ, যেহেতু সেখানে ঝুঁকি আছে। বাকি ১৫ জন তারা এই দুজন (রাকিবুল-সাকিব) থেকে শিখবে, কিভাবে মাঠে লড়াই করতে হয় কিভাবে টিকে থাকতে হয়, তাঁদের যে অভিজ্ঞতা আমি এটা পজিটিভলি দেখছি।’