ডমিঙ্গোকে নিয়ে সিদ্ধান্ত জানুয়ারিতে: পাপন

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
প্রকাশের তারিখ: 18:05 শনিবার, 04 ডিসেম্বর, 2021

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||

ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভালো করার স্বপ্ন  বুনেছিল বাংলাদেশ। তবে বিশ্বকাপে সমর্থকদের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেনি মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দল। পুরো আসরে ৮ ম্যাচ খেলে ৬টিতেই হেরেছে টাইগাররা। 

এমন পারফরম্যান্সের পরও বিশ্বকাপ চলাকালীন রাসেল ডমিঙ্গোর সঙ্গে দুই বছরের জন্য চুক্তি নবায়ন করেছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। তবে বিশ্বকাপে শেষ হতেই বাংলাদেশের গণমাধ্যমগুলোর দাবি, নিউজিল্যান্ড সিরিজ দিয়েই বাংলাদেশে কোচিং অধ্যায় শেষ করতে যাচ্ছেন ডমিঙ্গো।

যদিও প্রোটিয়া এই কোচকে নিয়ে এখন পর্যন্ত চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি বিসিবি। এদিকে পাকিস্তানের বিপক্ষে ঢাকা টেস্টের প্রথম দিন শেষে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়েছিলেন নাজমুল হাসান পাপন। যেখানে বিসিবি সভাপতি জানিয়েছেন, আগামী জানুয়ারিতে ডমিঙ্গোকে নিয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

এ প্রসঙ্গে পাপন বলেন, ‘কোচের সঙ্গে দূরত্ব, মনমালিন্য যা যা আপনারা বলছেন আপনারা যেমন জানেন আমিও তেমন শুনি। কিন্তু আসল জায়গা থেকে থেকে শুনতে হবে তো। আসল জায়গা থেকে যদি না বলে তাহলে কি লাভ হবে।’

‘সবই শোনা যাচ্ছে, আরও অনেক কিছু শুনি কিন্তু আপনি যদি এটা আসল জায়গা থেকে বের করতে পারেন, শিকড়ে না যেতে পারেন তাহলে কিন্তু সমস্যার সমাধান হবে না। অধৈর্য হওয়ার কিছু নেই, আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি, জানুয়ারিতে আমরা সিদ্ধান্ত নেবো।’

বিশ্বকাপে ব্যর্থ হওয়ার পরও ডমিঙ্গোর সঙ্গে কেন চুক্তি নবায়ন করা হয়েছে তা খোলাসা করেছেন পাপন। অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ জেতার পরই ডমিঙ্গোকে বিসিবিকে জানিয়েছিলেন যে, তাঁকে অন্য জায়গা থেকে ভালো একটি প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। 

যেহেতু ডমিঙ্গোকে বিশ্বকাপ পর্যন্ত দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল সে কারণে বাংলাদেশে বিশ্বকাপ পরবর্তী ভবিষ্যত নিয়ে কথা বলেছিলেন। যেখানে বোর্ড তিনি জানিয়েছিলেন, চুক্তি নবায়ন না করলেও নতুন কোথাও যোগ দেবেন। বিশ্বকাপের পর নতুন কোচ আনা নিয়ে দ্বিধায় থাকা ডমিঙ্গোর সঙ্গে চুক্তি নবায়ন করা হয়েছিল বলে জানিয়েছেন বিসিবি সভাপতি।

পাপন বলেন, ‘বিশ্বকাপ শুরুর ঠিক আগ মুহূর্তে রাসেল ডমিঙ্গো আমাদের কাছে লিখিতভাবে জানায় যে তার একটা ভালো প্রস্তাব আছে। ও জানতে চাচ্ছিল যে আমরা তাকে টেনে নিবো নাকি নিবো না? যদি আমরা তাকে নবায়ন করি তাহলে সে থাকবে। আর যদি না করি তবে সে ঐ ঝুকির মধ্যে থাকবে না। তাহলে সে ওই জায়গায় প্রতিশ্রুতি দিয়ে দিবে। এরকম একটা পরিস্থিতি ছিল আরকি।’

‘আমরা অনেক খোঁজাখুঁজি করেছিলাম, যতটুকু সম্ভব আরকি। এরপর আমরা একটা সিদ্ধান্তে পৌঁছাই যে এ সময়ে আমরা কোনো কোচ পাবো না। আর যদি পাইও বিশ্বকাপের পরপর একজন নতুন কোচ আনবো কিনা এ নিয়ে দ্বিধায় ছিলাম। আমরা যাদের খোঁজছিলাম তাদের মধ্যে বেশিরভাগই আগামী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পর্যন্ত বুকড। এসব বিষয় চিন্তা করে বোর্ড সেসময় সিদ্ধান্ত নেয় তার মেয়াদ বৃদ্ধি করবে।’