বাংলাদেশ- পাকিস্তান সিরিজ

সাইফ-শান্তদের টেস্টের লম্বা বিরতি কাজে লাগাতে বললেন মুমিনুল

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
প্রকাশের তারিখ: 16:39 মঙ্গলবার, 30 নভেম্বর, 2021

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||

টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ প্রথা চালু হওয়ার পর বাংলাদেশে টেস্ট খেলার সংখ্যা একটু হলেও বেড়েছে। তারপরও শুধু টেস্ট খেলুড়ে ক্রিকেটাররা লম্বা বিরতি দিয়েই এই ফরম্যাটে খেলতে মাঠে নামেন। কিন্তু লম্বা বিরতি পেয়েও সাইফ হাসান-নাজমুল হোসেন শান্তরা যেন বারবারই একই ভুল করে চলেছেন।

পাকিস্তানের বিপক্ষে চলতি সিরিজের আগে বাংলাদেশ শেষবার টেস্ট খেলেছিল চার মাস আগে, জুলাইতে। আর এই সময়টাতেই নিজেদের কৌশলগত ভুলগুলো শুধরে নিতে পারতেন সাইফ-শান্তরা। কারণ চট্টগ্রাম টেস্টে বাউন্স বলে দুর্বলতা চোখে পড়েছে সাইফের, শান্তর ব্যাট-প্যাডের মাঝে বড় গ্যাপ দেখা গিয়েছে।

আধুনিক সময়ের ক্রিকেটে টেকনিকগত ভুল সিরিজের পর সিরিজে নিয়ে যাওয়া বেমানান। আর তাই ব্যক্তিগত তাগিদেই সিরিজের মাঝের লম্বা সময়গুলো কাজে লাগানো উচিত ব্যাটারদের, মনে করছেন মুমিনুল হক।

টাইগারদের টেস্ট দলপতি বলেন, 'কিভাবে সমস্যার সমাধান করা যায় এটা ব্যক্তিগতভাবে ঠিক করতে হবে। কোন জায়গায় সমস্যা সেটা খুঁজে নিতে হবে। সাইফ থেকে শুরু করে সবাই। যখন গ্যাপ পায় তখন সেসব নিয়ে কাজ করা উচিত। বা বিরতি থাকে তখন কাজ করা উচিত।'

পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম টেস্টে ব্যাটিংয়ে চরম বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশের টপঅর্ডার। প্রথম ইনিংসে ৪৯ রানে চারটি ও দ্বিতীয় ইনিংসে ২৫ রানে চারটি উইকেট হারায় টাইগাররা। ম্যাচটি বাংলাদেশ হেরেছে আট উইকেটের বড় ব্যবধানে।

ঢাকা টেস্টের আগে মানসিক প্রস্তুতির ওপরেও জোর দিয়েছেন তিনি। মুমিনুলের ভাষায়, ‘এই দুই দিন অনুশীলন করে খুব বেশি কিছু অর্জন করতে পারবেন না। সোজা বাংলায় যদি বলি- এই দুই দিনে এত বেশি চিন্তা না করে মানসিকভাবে নিজেকে শক্ত রাখা দরকার।’

মানসিক সেই কাজ কীভাবে করতে হবে, মুমিনুল সেই দিকটিও তুলে ধরেছেন। তিনি বলেন, ‘কোন জায়গাগুলোতে কাজ করা দরকার এইগুলা নিয়ে একটু চিন্তা করা, মানসিকভাবে নিজেকে ফিট রাখা। যে বোলারদের বিপক্ষে খেলব সে বিষয়ে ভাবা। মানসিকভাবে ফিট রাখতে পারলে ব্যর্থতা কাটিয়ে ওঠা যায়।’

অন্যদিকে ঢাকা টেস্টে পাকিস্তানের পেসারদের সামলানোর জন্যও মানসিকতা দৃঢ় করার ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন মুমিনুল। তিনি বলেন, ‘ওদের মানসিকতা দৃঢ়। ভালো স্কিলের বিপক্ষে নতুন বলে ব্যাটিং করলে আপনাকেও মানসিকভাবে দৃঢ় হতে হবে। জানতে হবে ওরা কীভাবে অ্যাটাক করতে পারে। ব্যাটারদের স্কিল নিয়ে কাজ করার সুযোগ নেই। মানসিকভাবে যত শক্ত থাকবেন তত ভালো।’