|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
সাদা পোশাকের ক্রিকেটে বরাবরই অনভিজ্ঞ পেস আক্রমণ বাংলাদেশের। টেস্ট ক্রিকেটে প্রায় ২১ বছর পার করলেও কাটছে না পেসারদের দৈন্য দশা। বিদেশের মাটির মতো ঘরের মাঠেও বিবর্ণ আবু জায়েদ রাহি-এবাদত হোসেনরা। ভালো করতে পেসারদের ফ্ল্যাট উইকেটে বোলিং করা শিখতে বলছেন মুমিনুল হক।
ঘরের মাঠে বরাবরই স্পিন বান্ধব উইকেটে খেলে বাংলাদেশ। যে কারণে মিরপুর কিংবা চট্টগ্রামের কোথাও একাদশে পেসারদের আধিক্য দেখা যায় না। সর্বশেষ কয়েক বছরে বেশিরভাগ সময়ই এক পেসার নিয়ে খেলতে নেমেছে বাংলাদেশ। সেটাতে অবশ্য খানিকটা পরিবর্তন এসেছিল চট্টগ্রাম টেস্টে। যদিও তাতে সাফল্য মেলেনি।
ঘরোয়া ক্রিকেটে পেস বান্ধব কিংবা ফ্ল্যাট উইকেটে খেলার অভ্যস্ততা না থাকায় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ভালো করতে পারছে না বাংলাদেশের পেসাররা। চলতি বছরে ৬টি টেস্ট খেলেছে বাংলাদেশ। যেখানে রাহি-এবাদত-শরিফুল ইসলামরা মিলে তুলেছেন মোটে ২৭ উইকেট। ফ্ল্যাট উইকেটে ভালো করতে পেসারদের বেশি বেশি চারদিনের ম্যাচ খেলার পরামর্শ দিয়েছেন মুমিনুল।
পাকিস্তানের বিপক্ষে হারের পর সংবাদ সম্মেলনে এ প্রসঙ্গে মুমিনুল বলেন, ‘আমার কাছে মনে হয় ফ্ল্যাট উইকেটে কিভাবে বল করতে হয় জানাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাছাড়া কোচরা আছেন উনারা হয়ত ভাল বলতে পারবেন। বিদেশে বল করা একরকম, দেশে আরেকরকম। আমার মনে হয় বেশি বেশি চার দিনের ম্যাচ খেলা উচিত। আপনি ভারতে দেখবেন তারা প্রচুর ম্যাচ খেলে। আমাদের পেসারদেরও সুযোগ পেলে চারদিনের ম্যাচ খেলা উচিত এবং ফ্ল্যাট উইকেটে বল করাটা শিখতে হবে।’
বাংলাদেশে সবসময় স্পিন বান্ধব উইকেটের দেখা মিললেও এবার খানিকটা ভিন্নতা ছিল। চট্টগ্রাম টেস্টে ফ্ল্যাট উইকেট তৈরি করেছিল পিচ কিউরেটররা। টেস্টের জন্য এমন উইকেটই চান মুমিনুল। এমন উইকেটে পেসারদের জন্য ভালো করা কঠিন বলেও স্বীকার করেছেন বাংলাদেশের টেস্ট অধিনায়ক।
মুমিনুল বলেন, ‘যদি আমি বলি এরকম উইকেট চাই। পুরোপুরি ফ্ল্যাট ছিল। ব্যাটসম্যানদের জন্য সহায়ক ছিল। আপনি তো অর্ধেক বলে দিয়েছেন পেস বোলারদের জন্য কঠিন ছিল।’