বাংলাদেশ-পাকিস্তান সিরিজ

টেপ টেনিসের রাজা যেভাবে জাতীয় দলে

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
প্রকাশের তারিখ: 15:16 বুধবার, 24 নভেম্বর, 2021

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||

উপমহাদেশে বেশিরভাগ তরুণেরই ক্রিকেটে হাতেখড়ি হয় টেপ টেনিস বলে। সেখান থেকে উঠে এসে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট মাতানো বোলারের সংখ্যা নেহাতই কম নয়। রেজাউর রহমান রাজার গল্পটাও এমনই। সিলেটের এই পেসার ডাক পেয়েছেন পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের প্রথম টেস্টের দলে।

জাতীয় দলে ডাক পেয়ে রাজা জানিয়েছেন, টেপ টেনিসে দারুণ বল করে এলাকার বড় ভাইদের প্রশংসা কুড়িয়েছিলেন তিনি। তারাই তাকে ডেকে নিয়েছিলেন ক্রিকেট বলের টুর্নামেন্টে। সেখান থেকেই পথচলা শুরু। এরপর সিলেট ও ঢাকার একাডেমির হয়ে মিরপুরে নেট বোলার হিসেবে সুযোগ পেয়েছিলেন। সেখান থেকেই নজরে পড়েন বিসিবির হাই পারফরম্যান্স কোচ চম্পাকা রামানায়েকের। 

এরপর আর পিছু তাকাতে হয়নি তাকে। খেলেছেন ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ, জাতীয় লিগে। গতির ঝড় আর সুইংয়ে একের পর এক নাস্তানাবুদ করেছেন পরীক্ষিত ব্যাটসম্যানদের। একজন টেস্ট বোলারের সবচেয়ে বড় গুন টানা লাইন লেন্থ ঠিক রেখে বল করে যাওয়া। এ কাজেও বেশ পটু রাজা।

রাজা তার ক্রিকেটে আসার গল্প শুনিয়ে বলেছেন, 'আসলে টেপ টেনিস খেলা থেকে অনুপ্রাণিত হওয়া। এলাকায় টেপ টেনিস খেলার পর একটা ক্রিকেট বলের টুর্নামেন্ট হয়েছিল। আমি সেখানে খেলতে যাই। তখন বড় ভাইরা বোলিং দেখে বলছিলেন, তোর বোলিং ভালো হচ্ছে, তুই চাইলে স্টেডিয়ামে গিয়ে ক্রিকেট প্র্যাকটিস করতে পারিস। তো আমি বড় ভাইদের কথা শুনে প্র্যাকটিসে গেলাম। প্র্যাকটিসে গিয়ে আমার মনে হলো যে, ইনশাআল্লাহ্‌ আমি পারবো। তো এভাবেই আসলে আমার ক্রিকেটে আসা।'

এখন পর্যন্ত ১০টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলেছেন রাজা। এর মধ্যে ১৮ ইনিংসে ৩৩ উইকেট নিয়েছেন। ৫ উইকেট নিজের ঝুলিতে নিয়েছেন দুইবার। একবার নিয়েছেন ৪ উইকেট। বাংলাদেশের টেস্ট দলে এখন আবু জায়েদ রাহী, এবাদত হোসেনরা নিয়মিত মুখ। এই দুই পেসারই সিলেটের। তাদের দেখেই অনুপ্রেরণা পাচ্ছেন সিলেটের আরেক পেসার রাজা।

তিনি বলেন, 'আসলে চ্যালেঞ্জ নেওয়া পছন্দ করি। আমাদের বড় ভাইদের কাছ থেকে অনুপ্রাণিত হওয়া... আমাদের সিলেটে যেমন রাহি ভাই, এবাদত ভাই, খালেদ ভাইদের কাছ থেকে মোটিভেশন পাওয়া। এই থেকেই আসলে পেস বোলার হওয়ার একটা উৎসাহ জেগেছে।'

নিজের সবচেয়ে ভালো গুণ সম্বন্ধে বলতে গিয়ে রাজা বলেন, 'আমার নিজের যেটা মনে হয় যে, এক জায়গায় টানা বল করতে পারি। বলে কিছু মুভমেন্ট করতে পারি। এক রিদমে টানা বল করতে পারি। দিনের শুরুতে যেই পেসে বোলিং করি, দিনের শেষে আলহামদুলিল্লাহ তার চেয়ে একটু বেশি পেসে বল করতে পারি।'