বাংলাদেশ- পাকিস্তান সিরিজ

সিনিয়র-জুনিয়র বলে কিছু নেই: শান্ত

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
প্রকাশের তারিখ: 20:11 বুধবার, 17 নভেম্বর, 2021

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||

পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে ভিন্ন ভিন্ন কারণে বাংলাদেশ দলে নেই সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিমদের মতো সিনিয়র ক্রিকেটাররা। দলে আছেন এক ঝাঁক তরুণ ক্রিকেটার। এতে মোটেও চিন্তিত নন পাকিস্তান সিরিজে সুযোগ পাওয়া নাজমুল হোসেন শান্ত। সামর্থ্যবান ক্রিকেটাররাই জায়গা পেয়েছে স্কোয়াডে, মন্তব্য তাঁর।

চলতি নভেম্বর ও ডিসেম্বরে পাকিস্তান সিরিজে দুটি টেস্টের পর আগামী বছরের জানুয়ারিতে নিউজিল্যান্ডের মাটিতেও দুটি টেস্ট খেলবে টাইগাররা। পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্টের আগে খেলবে তিনটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচের সিরিজ।

সংক্ষিপ্ত সংস্করণের ম্যাচগুলো খেলে ইনজুরিতে পড়ার শঙ্কা আছে মুশফিকের- এই ভাবনা ছিল টিম ম্যানেজমেন্টের। কেননা সম্প্রতি বাম হাতের ইনজুরিতে ভুগছেন দেশের আরেক সেরা ব্যাটার তামিম ইকবাল।

অনেকদিন ধরে দলের বাইরে থাকার কারণে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ থেকে নিজের নাম সরিয়ে নিয়েছিলেন তামিম। এরপর নেপালের এভারেস্ট প্রিমিয়ার লিগে খেলতে গিয়ে ইনজুরিতে পড়েন তিনি।

সেই ইনজুরি কাটিয়ে পুনর্বাসনে অংশ নেন তামিম। কিন্তু ফের চোটে পড়তে হয় দেশ সেরা ওপেনারকে। যার কারণে পাকিস্তান সিরিজে শঙ্কা আছে তাঁকে নিয়ে। তামিমের ইনজুরির কথা বিবেচনায় রেখেই বিশ্রাম দেয়া হচ্ছে টানা খেলার মধ্যে থাকা মুশফিকুর রহিমকে। ইনজুরির কারণে এই সিরিজে খেলা হচ্ছে না সাকিব আল হাসানেরও।

এই সিরিজে তারা না থাকলেও ডাক পেয়েছেন অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ক আকবর আলী, সাইফ হাসান, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক না হওয়া ইয়াসির আলী, শহীদুল ইসলামরা। শক্তিশালী পাকিস্তানের বিপক্ষে মাঠে নামার আগে এসব নিয়ে একেবারেই ভাবছেন না শান্ত।

বুধবার (১৭ অক্টোবর) তিনি বলেন, ‘আমরা এখানে যারা আছি প্রত্যেকেই সামর্থ্যবান। প্রত্যেকটা ব্যাটসম্যানই দায়িত্ব নিয়ে খেলার মতো। আমাদেরই দায়িত্ব নিতে হবে। এখানে সিনিয়র বা জুনিয়র বলে কিছু নেই। এখানে সবাই সামর্থ্যবান বলে আমরা আছি। প্রত্যেকেরই দায়িত্ব আছে। যার যে দায়িত্ব সবারই ওটা সমানভাবে পালন করতে হবে। সবারই সেই সামর্থ্য আছে।’

দলের মূল ক্রিকেটাররা না থাকলেও আগ্রাসী মনোভাব নিয়েই খেলবে বাংলাদেশ- সেই নিশ্চয়তাও পাওয়া গেল শান্ত'র কথায়। টি-টোয়েন্টি সিরিজে বলের গুণাগুণ বিচার করে খেলতে মুখিয়ে আছেন তারা।

শান্ত আরও বলেন, ‘সাধারণত টি-টোয়েন্টি অবশ্যই রানেরই খেলা। আমি যখনই খেলি আমার লক্ষ্য থাকে আক্রমণাত্মক ক্রিকেটই খেলব। চিন্তা থাকে প্রথম বল থেকেই আগ্রাসী মেজাজে থাকব। তার মানে এই না যে প্রতি বলেই মারতে থাকব। অবশ্যই বল বিচার করে খেলব।’