বাংলাদেশ-পাকিস্তান সিরিজ

বদলে যাওয়ার রিজওয়ানের নেপথ্যে ইনজামাম-পাইবাস

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
প্রকাশের তারিখ: 20:31 সোমবার, 15 নভেম্বর, 2021

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||

সেমিফাইনালে অ্যাডাম জাম্পার বলে স্লগ সুইপ করে ছক্কা মেরে আন্তজার্তিক টি-টোয়েন্টিতে এক পঞ্জিকাবর্ষে এক হাজার রানের মাইলকফলক স্পর্শ করেছিলেন মোহাম্মদ রিজওয়ান। প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে এমন রেকর্ডের জন্য কৃতিত্ব দিলেন রিচার্ড পাইবাস ও ইনজামাম উল হককে।

নামিবিয়ার বিপক্ষে এক বছরে ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে সবচেয়ে বেশি রান করে ক্রিস গেইলকে ছাড়িয়ে গিয়েছিলেন রিজওয়ান। সামনে অপেক্ষা করছিল এক হাজার রানের মাইলফলক। সেটিও ছুঁয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সেমিফাইনালে।

চলতি বছরে ২৩ টি-টোয়েন্টি খেলে ৮৬.০৬ গড়ে করেছেন ১০৩৩ রান। এমন রেকর্ড গড়তে পেরে বেশ রোমাঞ্চিত রিজওয়ান। সেই সঙ্গে পাকিস্তানের জার্সিতে এমন রেকর্ড গড়ায় আরও বেশি খুশি এই উইকেটরক্ষক ব্যাটার। 

রিজওয়ান বলেন, ‘আমি খুবই খুশি যে এক পঞ্জিকাবর্ষে সবচেয়ে বেশি রান করতে পেরেছি। আমি আরও বেশি খুশি যে পাকিস্তানের হয়ে আমি এই রেকর্ডটি করতে পেরেছি।’

টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এমন বছর কাটানোর পর পাইবাস, ইনজামাম ও শহিদ আসলামকে রেকর্ডের কৃতিত্ব দিয়েছেন রিজওয়ান। যেখানে পাইবাস ও ইনজামাম টি-টোয়েন্টির ব্যাটার হয়ে উঠতে মানসিকভাবে প্রস্তুত করেছিলেন। এদিকে পর্দার আড়ালে থেকে রিজওয়ানকে বিভিন্ন পরিস্থিতি ও ভিন্ন বোলারদের বিপক্ষে প্রস্তুত করেছিলেন।

এ প্রসঙ্গে রিজওয়ান বলেন, ‘এই রেকর্ডটি কয়েকজন মানুষের, যারা আমাকে এই জায়গায় পৌঁছাতে সাহায্য করেছে। প্রথমজন রিচার্ড পাইবাস, যিনি আমাকে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত করেছিলেন এবং কিভাবে টি-টোয়েন্টির ব্যাটার হয়ে উঠা যায় সেটা নিয়ে পরামর্শ দিয়েছিল। ইনজামাম উল হকও আমার জন্য একই কাজ করেছিল।’

এই উইকেটরক্ষক ব্যাটার আরও বলেন, ‘সর্বশেষে আমি এমন একজনকে কৃতিত্ব দিতে চাই যে আমার সঙ্গে পর্দার আড়ালে কাজ করেছে। সে শহিদ আসলাম। বিভিন্ন পরিস্থিতি এবং ভিন্ন বোলারদের বিপক্ষে প্রস্তুত হতে সহায়তা করেছিল। সেও প্রশংসার দাবিদার।’