|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরুর আগেই ইংল্যান্ডের বড় দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল ইয়ন মরগান অফফর্ম। দীর্ঘদিন ধরেই রান খরায় ভুগছিলেন তিনি। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শেষেও অফফর্ম অব্যাহত তাঁর। এর মাঝে দলকে ফাইনালে তুলতেও ব্যর্থ তিনি। সবমিলিয়ে ৩৫ বছর বয়সী মরগানের নেতৃত্ব থাকা বা না থাকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। যদিও নেতৃত্ব চালিয়ে যেতে চান ইংলিশ অধিনায়ক।
আইপিএলের এবারের আসরে কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে ১১.০৮ গড়ে ১৩৩ রান করেছেন মরগান। নিজে অফফর্মে থাকলেও অধিনায়ক হিসেবে দলকে ফাইনালে তুলেছিলেন তিনি। যদিও কলকাতার ফাইনালে ওঠার কৃতিত্ব প্রধান কোচ ব্রেন্ডন ম্যাককালামকেই দিয়েছেন অনেকে।
আইপিএল ছাড়াও সংক্ষিপ্ত সংস্করণে ইংল্যান্ড আর মিডলসেক্স ও লন্ডর স্পিরিটের (দা হান্ড্রেড) হয়ে ব্যর্থ ছিলেন মরগান। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলা তাঁর চারটি ইনিংস হচ্ছে ৭*, ৪০, ১৭ ও ৭* রানের।
রান না পেলেও সাম্প্রতিক সময়ে নিজের অধিনায়কত্বের ধরন নিয়ে খুশি মরগান। দলের পারফরম্যান্সে গর্বও আছে তাঁর। সমালোচনা থাকলেও নেতৃত্ব চালিয়ে নিতে চান মরগান।
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সেমিফাইনাল শেষে নেতৃত্ব চালিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে তিনি বলেন, 'আশা তো করি। আমি দলে এখনও যথেষ্ট অবদান রাখছি। ড্রেসিং রুমে থাকতে ও এই দলের হয়ে খেলতে আমি এখনও দারুণ উপভোগ করছি। ছেলেরা নিজেদের সবটুকু ঢেলে দেয়। মাঠের ভেতরে-বাইরে গর্ব করার মতো অনেক কিছুই আছে আমাদের। এই দলের নেতা হিসেবে আমি অবিশ্বাস্য রকমের গর্বিত।'
সেমিফাইনালে কিউইদের ১৬৭ রানের বড় লক্ষ্য দেয় ইংল্যান্ড। ম্যাচের এক পর্যায়ে চার ওভারে ৫৭ রান লাগত কেন উইলিয়ামসনদের। যদিও ১১ বলে তিনটি ছক্কা ও একটি চারে ২৭ রান করে ইংল্যান্ডের কাছ থেকে ম্যাচটি নিজেদের পক্ষে নিয়ে আসেন জিমি নিশাম। ম্যাচের মোড় বদলের কৃতিত্ব তাই নিশামকেই দিচ্ছেন মরগান।
তিনি বলেন, 'জিমি নিশাম উইকেটে আসার আগ পর্যন্ত সম্ভবত আমরাই এগিয়ে ছিলাম। ম্যাচ জুড়ে দুই দলের অন্য সবাই বল সীমানা ছাড়া করতে ভুগেছে, পিচই ছিল ওরকম। সেখানে সে অসাধারণ খেলেছে। তাকে হ্যাটস অফ জানাতেই হবে।'