টি- টোয়েন্টি বিশ্বকাপ

শাস্ত্রীর সঙ্গে একমত বাবরও

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
প্রকাশের তারিখ: 13:24 বুধবার, 10 নভেম্বর, 2021

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||

করোনাকালে জৈব সুরক্ষা বলয়ে থেকে ক্রিকেট খেলা মোটেই সহজ কথা নয়। যার ব্যাখা দিতে গিয়ে কয়েক দিন আগে রবি শাস্ত্রী বলেছিলেন, টেস্টে ঐতিহাসিক ৯৯.৯৪ গড়ের মালিক ডন ব্র্যাডম্যানও যদি এমন লম্বা সময় জৈব সুরক্ষা বলয়ে থেকে ক্রিকেট খেলতেন তাহলে তাঁরও ব্যাটিং গড় কমে যেত। ব্র্যাডম্যানের উদাহরণ না দিলেও শাস্ত্রীর সঙ্গে সুর মেলালেন বাবর আজম। পাকিস্তানের অধিনায়কের দাবি, জৈব সুরক্ষা বলয়ে থাকতে থাকতে ক্রিকেটাররা বিরক্ত এবং মাঠের পারফরম্যান্সেও এর প্রভাব পড়ছে।

করোনাকালে সব ধরনের ক্রিকেটেই অনুসরণ করা হয় জৈব সুরক্ষা বলয় পদ্ধতি। যার কারণে দীর্ঘদিন ধরে ক্রিকেটাররা বলয়ের বাইরে পরিচিত মানুষের সঙ্গে মিশতে পারেন না। যার প্রভাব পড়ছে তাদের মানসিক স্বাস্থ্যের ওপরেও।

বাবর আজম বলেন, ‘পেশাদার ক্রিকেটে যে কারোরই ভালো ও খারাপ সময় আসবে। কিন্তু সার্বক্ষণিক জৈব সুরক্ষা বলয়ে থাকতে থাকতে ক্রিকেটারেরা খুবই বিরক্ত এবং অস্বস্তিতে ভুগছে।’

পাকিস্তান অধিনায়ক আরও বলেন, ‘নিজেদের চাঙা রাখতে আমরা সবকিছু একসঙ্গে করছি এবং একজন আরেকজনকে যতটুকু সম্ভব সাহায্য করছি। খেলোয়াড় হিসেবে আপনাকে শান্ত থাকতে হবে এবং চাপ সহ্য করতে হবে।’

এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অন্যতম ফেভারিট ছিল ভারত কিন্তু টুর্নামেন্টের সুপার টুয়েলভ পর্বই পার হতে পারেনি বিরাট কোহলির দল। তাদের এমন ব্যর্থতার কারণ হিসেবে দীর্ঘদিন জৈব সুরক্ষা বলয়ে থাকার কথা বলেছিলেন দলটির সদ্য বিদায়ী কোচ। শাস্ত্রীর এমন কথার সঙ্গে একমত পাকিস্তানের অধিনায়কও।

বাবর বলেন, ‘যখন আপনার খারাপ সময় আসবে, তখন আপনার নিজেকে একটু সময় দিতে হবে, একটু বাইরে ঘুরতে যেতে হবে, যাতে আপনি একটু চাপমুক্ত হতে পারেন। কিন্তু জৈব সুরক্ষা বলয়ে থাকলে তা সম্ভব হয় না, এ কারণে মনে বাজে চিন্তাভাবনা ঘুরতে থাকে, যার প্রভাব পড়ে মাঠের পারফরম্যান্সে।’