|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
বিশ্বকাপে দল ব্যর্থ হওয়ায় অধিনায়কত্ব হারিয়েছেন, এমন ঘটনা প্রায়শই দেখা যায়। যার সর্বশেষ সংযোজন আফগানিস্তানের গুলবাদিন নায়েব ও পাকিস্তানের সরফরাজ আহমেদ। ২০১৯ ওয়ানডে বিশ্বকাপে আশানুরূপ সাফল্য না পাওয়ায় নেতৃত্ব হারিয়েছিলেন তারা।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের এবারের আসরে পুরোপুরি ব্যর্থ বাংলাদেশ। অধিনায়ক হিসেবে দলকে সাফল্য এনে দিতে না পারায় ব্যর্থতার দায়ে নেতৃত্ব ছাড়বেন কিনা। এমন প্রশ্নের জবাবে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ অবশ্য সিদ্ধান্ত নেয়ার বিষয়টি ছেড়ে দিলেন বোর্ড কর্তাদের ওপর। সেই সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, দলকে আগলে রাখার চেষ্টা করলেও অধিনায়কত্বে হয়তো ঘাটতি ছিল।
ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ জিতলেও বিশ্বকাপের শুরুটা ভালো করতে পারেনি বাংলাদেশ। প্রস্তুতি ম্যাচে আয়ারল্যান্ড ও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে হারার পর বাছাই পর্বের প্রথম ম্যাচে স্কটল্যান্ডের কাছে হারে টাইগাররা।
সুপার টুয়েলভে শ্রীলঙ্কাকে বাগে পেয়েও হারাতে পারেনি বাংলাদেশ। সেই ম্যাচে সাকিব আল হাসানের ওভারে বাকি থাকলেও আফিফ হোসেনের সঙ্গে নিজে বোলিং করে জেতা ম্যাচটা হাত ছাড়া করেন মাহমুদউল্লাহ। সেদিনের অধিনায়কত্ব নিয়ে সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন তিনি।
বিশ্বকাপে ৮ ম্যাচ খেলে মাত্র দুটিতে জয় পেয়েছে। সেই দুটিও আবার বাছাই পর্বে ওমান ও পাপুয়া নিউ গিনির বিপক্ষে। বরাবরের মতো এবারও সুপার টুয়েলভে হারের বৃত্ত থেকে বেরিয়ে আসতে পারেনি বাংলাদেশ। দ্বিপাক্ষিক সিরিজে সাফল্য পেলেও বিশ্বকাপের ব্যর্থতার পর তিনি অধিনায়ক থাকবেন কিনা এমন প্রশ্ন ছুঁড়ে দেয়া হয়েছিল মাহমুদউল্লাহকে।
সংবাদ সম্মেলনে সেই প্রশ্নের জবাবে মাহমুদউল্লাহ বলেন, ‘এটা আসলে নির্ভর করে। এটা তো আমার হাতে নাই। এই সিদ্ধান্ত ক্রিকেট বোর্ডেরই । আমার তরফ থেকে আমি সব সময়ই চেষ্টা করেছি দলকে আগলে রাখার জন্য। ভালো পারফরম্যান্স আদায় করার জন্য।’
বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক আরও বলেন, ‘সম্ভবত আমার নেতৃত্বে কোনো ঘাটতি ছিল, এজন্য হয়তো বা পারফরম্যান্স আদায় করে নিতে পারিনি। আপনার যে প্রশ্ন, আমি এর উত্তর ছেড়ে দিচ্ছি ক্রিকেট বোর্ডের কাছে। এখানে আমার মন্তব্য করার কিছু নেই।’