টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ

বাবর-রিজওয়ানদের অনুশীলন থেকে চোখ সরেনি ডমিঙ্গো-প্রিন্সদের

আবিদ মোহাম্মদ

আবিদ মোহাম্মদ
প্রকাশের তারিখ: 21:35 সোমবার, 01 নভেম্বর, 2021

|| আবিদ মোহাম্মদ, দুবাই থেকে ||

দুবাইয়ের আইসিসি অ্যাকাডেমি মাঠে ঢুকতেই চোখ বড় হয়ে গেল। একি! বাংলাদেশ দলের সঙ্গে একই মাঠে অনুশীলন করছে পাকিস্তান। আরব আমিরাতে এখন পর্যন্ত যতবার মুশফিক-রিয়াদরা অনুশীলন করেছেন সেখানে আর কোন দলকে দেখা যায়নি। তবে সোমবারের চিত্রটা একটু বদলে গেল। এক মাঠে দুই দল কিন্তু মানসিক অবস্থা ভিন্ন। পাকিস্তান যেখানে প্রহর গুনছে সেমিফাইনালে পা দেয়ার সেখানে বাংলাদেশ দল অপেক্ষায় আছে একটি জয়ের।

তিন ম্যাচের তিনটিতেই জিতে অনেকটাই ফুরফুরে পাকিস্তান। অন্যদিকে টানা হারে আত্মবিশ্বাস তলানিতে বাংলাদেশের। তারপরও যেন শেষ দুই ম্যাচে ভালো কিছুর আশায় অ্যাকাডেমি মাঠে মুখে হাসি নিয়েই অনুশীলন চালিয়ে গেল মাহমুদউল্লাহ রিয়াদবাহিনী।

বাংলাদেশ-পাকিস্তান একই মাঠে অনুশীলন করলেও দুই দলের মাঝের পার্থক্য স্পষ্ট ফুটে উঠছিল। এমনকি বাংলাদেশের প্রধান কোচ রাসেল রাসেল ডমিঙ্গো, ব্যাটিং কোচ অ্যাশওয়েল প্রিন্স ও ফিল্ডিং কোচ রায়ান কুকের নজর বারবার যাচ্ছিল পাকিস্তানের অনুশীলনের দিকে।

হয়তো সে সময় তাদের মাথায় এই প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছিল, কি এমন করছে উপমহামেদের এই দলটি? যে ভারত-নিউজিল্যান্ডকে হেসে-খেলে হারিয়ে দিচ্ছে! বাবর আজম-মোহাম্মদ রিজওয়ানদের অনুশীলন দেখতে দেখতে প্রিন্সের কানে কানে কি যেন বারবার বলছিলেন ডমিঙ্গো। পাশে দাঁড়িয়ে থাকা কুকও তাদের সঙ্গে মাথা নাড়িয়ে সহমত পোষণ করছিলেন।

এতো গেল মাঠের ভেতরের গল্প। বাইরের গল্পটা আরেকটু ভিন্ন। দুই দলের অনুশীলন একসঙ্গে হওয়ায় মাঠে উপস্থিত ছিলেন পাকিস্তানের সাংবাদিকরাও। তাঁদের কয়েকজনের সঙ্গে আলাপকালে একই প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হলো। এক সাংবাদিক বললেন, '২০১২ সাল থেকে তো তোমরা খুব ধারাবাহিক দল, তাহলে এবার এই হাল কেন? এবার তো ভালো করার কথা বাংলাদেশের, তাই বলে এখনও জয়শূন্য!'

সেই সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের উত্তর হয়তো খোদ বাংলাদেশ দলের কাছেও নেই। থাকবেই বা কি করে? মাঠের চেয়ে যে আবার মাঠের বাইরের সবকিছু নিয়ে বাড়তি আলোচনায় লাল-সবুজের কান্ডারিরা। তারপরও সব ছাপিয়ে এখন হয়তো সবার একটাই চাওয়া শেষটা যেন ইতিবাচক হয়।

দক্ষিণ আফ্রিকা এবং অস্ট্রেলিয়ার মতো দলের বিপক্ষে বিশ্বকাপের মঞ্চে একটি জয় সেমিফাইনালের সমীকরণে বড় বদল না আনলেও, বদলাতে পারে বাংলাদেশ দলের মনোবলকে। সেই আশাতেই ১৬ কোটি বাংলাদেশির মুখে হাসি ফেরাতে মঙ্গলবার প্রোটিয়া বধের মিশনে নামবে সাকিব আল হাসান বিহীন বাংলাদেশ।

এই ম্যাচের আগে সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ কোচ বলেছেন, ‘আমরা আমাদের সামর্থ্য অনুযায়ী খেলতে পারিনি। তবে আমাদের আরও ভালো করার সক্ষমতা ছিল। আমাদের আরও ভালো খেলতে কিছু সময় দরকার। এটা একটা প্রক্রিয়া, আর এক বছরের মধ্যে আরেকটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আছে। যদি সবকিছু ঠিকঠাকভাবে এগোয়, আমরা ওই আসরে আরও ভালো অবস্থায় থাকবো।’