টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ

ভারত-পাকিস্তান ফাইনাল চান সাকলাইন

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
প্রকাশের তারিখ: 21:21 বৃহস্পতিবার, 28 অক্টোবর, 2021

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||

রাজনৈতিক বৈরিতার কারণে মাঠের বাইরে কাদা ছোড়াছুড়ির অন্ত নেই ভারত-পাকিস্তানের। যদিও মাঠের ক্রিকেটে সেটা একেবারেই ভিন্ন। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের এবারের আসরে নিজেদের প্রথম ম্যাচ নিয়ে কথার লড়াই থাকলেও মাঠে দেখা গেছে একেবারে ভিন্ন চিত্র। ম্যাচ শেষে বাবর আজম-বিরাট কোহলিদের মাঝে দেখা মেলেনি মাঠের বাইরের রেশ। যা দেখে খুশি সাকলাইন মুশতাক। এই সম্পর্কের গভীরতা বাড়াতে ভারত-পাকিস্তান ফাইনাল চান পাকিস্তানের এই কোচ। 

রাজনৈতিক গ্যারা কলের কারণে এই দুই দলের মাঝে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলতে দেখা যায় না। এশিয়ার সবচেয়ে বড় মহারণ দেখতে সমর্থকদের তাকিয়ে থাকতে হয় আইসিসির বৈশ্বিক টুর্নামেন্টে। এবারের আসরের শুরুতেই এই দুই দলের লড়াই দেখার সুযোগ পেয়েছে সমর্থকরা।

যেখানে বাবর ও মোহাম্মদ রিজওয়ানের ব্যাটে ভারতকে ১০ উইকেটে হারায় পাকিস্তান। বিশ্ব মঞ্চে ভারতের বিপক্ষে পাকিস্তানের যা প্রথম জয়। টি-টোয়েন্টির ইতিহাসে প্রথমবার ১০ উইকেটে হারলেও ম্যাচ শেষে কোহলিকে দেখা গেছে রিজওয়ানকে জড়িয়ে ধরতে। রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে চির শত্রু হলেও বাবরের সঙ্গে হাসি মুখে কথা বলতে দেখা গেছে ভারতের অধিনায়ককে।

শুধু তাই নয়, ম্যাচ শেষে মেন্টর মহেন্দ্র সিং ধোনিকেও দেখা গেছে পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের সঙ্গে গল্প করতে। যেখানে উপস্থিত ছিলেন শোয়েব মালিক, শাহনেওয়াজ দাহানিরা। এমন মুহূর্ত আনন্দের জোয়ার বইয়ে দিয়েছে সাকলাইনের হৃদয়ে। সম্পর্কের গভীরতা বাড়াতে এবং শত্রুতা নিপাতে ভারত-পাকিস্তান ফাইনাল দেখতে চান তিনি। এর আগে একবারই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ফাইনাল খেলেছিল ভারত-পাকিস্তান, সেটিও ২০০৭ সালে। 

আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচের আগে সংবাদ সম্মেলনে সাকলাইন বলেন, ‘ভারত যদি ফাইনালে যায়, তাহলে দারুণ হবে। এই কারণে নয় যে আমরা তাদেরকে হারিয়েছি। তারা শক্তিশালী একটি দল আর সবাই তাদের ফেভারিট হিসেবে বিবেচনা করে। তাদের বিপক্ষে আরেকটা ম্যাচ খেললে সম্পর্ক আরও ভালো হবে।’

পাকিস্তানের কোচ আরও বলেন, ‘আগের ম্যাচে, বিরাট কোহলি, (এমএস) ধোনি, এমনকি আমাদের ক্রিকেটাররা যেভাবে নিজেদের উপস্থাপন করেছে, এটা একটি শক্তিশালী বার্তা দিয়েছে যে আমরা সবাই মানুষ। আমরা সবাই একে অপরকে ভালোবাসি, এটা কেবলই একটি খেলা। এই বার্তা দেওয়ার জন্য ক্রিকেটারদের কুর্নিশ। বন্ধুত্বের জয় হোক, হার হোক শত্রুতার।’