টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ

রোমাঞ্চ ছড়িয়ে জিতল অস্ট্রেলিয়া

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
প্রকাশের তারিখ: 19:40 শনিবার, 23 অক্টোবর, 2021

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||

বোলারদের দাপটে দক্ষিণ আফ্রিকাকে মাত্র ১১৮ রানে আটকে দিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। তবে সেই মামুলি সংগ্রহ তাড়া করতে নেমে বেগ পেতে হয়েছে অজি ব্যাটারদের। অ্যানরিখ নরকিয়া ও কাগিসো রাবাদারা দারুণ বোলিং করে ম্যাচটি ১৯ ওভার পর্যন্ত টেনে নিয়ে যান। শেষ দিকে প্রোটিয়াদের জয়ের সম্ভাবনা তৈরি হলেও ম্যাথু ওয়েড ও মার্কাস স্টইনিসের দারুণ ব্যাটিংয়ে ৫ উইকেটের জয় তুলে নেয় অস্ট্রেলিয়া। 

জয়ের জন্য মাত্র ১১৯ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালো করতে পারেনি অস্ট্রেলিয়াও। এদিন রানের খাতা খুলতে পারেননি অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে নরকিয়ার বলে সীমানার থাকা রাবাদার হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন এই ডানহাতি ব্যাটার। সাবধানী ব্যাটিং করলেও ব্যর্থতার শেকল ভাঙতে পারেননি ডেভিড ওয়ার্নার।

দলীয় ২০ রানে রাবাদার শিকার হন তিনি। ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে থাকা হেনরিক ক্লাসেনের হাতে ক্যাচ দিয়ে ১৫ বলে ১৪ রান করে ফিরে যান তিনি। ব্যক্তিগত সংগ্রহ বাড়াতে পারেননি তিনে নামা মিচেল মার্শও। দলীয় ৩৮ রানে কেশভ মহারাজের বলে ডিপ মিডউইকেটে থাকা রাসি ভ্যান ডার ডুসেনের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হয়েছেন তিনি। ১৭ বলে ১১ রান করে যান এই ডানহাতি ব্যাটার।

চতুর্থ উইকেট জুটিতে ৪২ বলে ৪২ রানের জুটি গড়েন স্টিভ স্মিথ ও গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। এই জুটিতে ভর করেই জয়ের পথে এগোতে থাকে অজিরা। ১৫তম ওভারের পঞ্চম বলে ইনিংসের সর্বোচ্চ এই জুটি ভাঙেন নরকিয়া। শর্ট অব লেন্থের বল উড়িয়ে মারতে গিয়েছিলেন স্মিথ। ভেসে আসা বল ডানপাশে বেশ খানিকটা ঝাঁপিয়ে পড়ে তা তালুবন্দি করেন লং অনে থাকা মার্করাম। তাতে ৩৪ বলে তিনটি চারে ৩৫ রানেই থামে স্মিথের ব্যাট।

স্কোরবোর্ডে ১ রান যোগ হতেই আউট হন ২১ বলে ১৮ রান করা ম্যাক্সওয়েল। তারবাইজ শামসির বলে রিভার্স সুইপ খেলতে গেলে বোল্ড হন তিনি। শেষ দিকে ওয়েড ও স্টইনিস মিলে অজিদের জয় এনে দেন। ১৬ বলে ২৪ রান করে স্টইনিস ও ১৫ রানে অপরাজিত ছিলেন ওয়েড। প্রোটিয়াদের হয়ে নরকিয়া দুটি উইকেট নিয়েছেন। 

এর আগে টস হেরে শুরুতে ব্যাটিংয়ে নেমে অস্ট্রেলিয়ার বোলারদের সামনে দাঁড়াতেই পারেননি প্রোটিয়া ব্যাটাররা। প্রস্তুতি ম্যাচে আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের বিপক্ষে রান পেলেও এদিন ব্যর্থ বাভুমা। দ্বিতীয় ওভারেই ম্যাক্সওয়েলের বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফিরে যান ১২ রান করা বাভুমা। পরের ওভারে রাসি ভ্যান ডার ডুসেনকে শিকার বানান জস হ্যাজেলউড। প্রস্তুতি ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে সেঞ্চুরি হাঁকালেও এদিন ২ রানের বেশি করতে পারেননি তিনি।

দ্রুত দুই উইকেট হারিয়ে ফেলায় চারে নেমে সাবধানি ব্যাটিং করতে থাকেন মার্করাম। উইকেটে থিতু হতে পারেননি ওপেনার কুইন্টন ডি ককও। দলীয় ২৩ রানে হ্যাজেলউডের বলে বোল্ড হন তিনি। ফিরে যাওয়ার আগে ১২ বলে ৭ করেন তিনি। স্কোরবোর্ডে আরও ২৩ রান যোগ হতেই ফেরেন ১৩ রান করা হেনরিক ক্লাসেন।

প্যাট কামিন্সের ফুল লেন্থের বল খেলতে গেলে এজ হয়ে স্লিপে থাকা স্মিথের সামনে চলে যায়। সামনের দিকে লাফিয়ে তা তালুবন্দি করেন স্মিথ। দলের বিপর্যয়ে প্রত্যাশা অনুযায়ী ব্যাটিং করতে পারেননি ডেভিড মিলার। ১৪তম ওভারে অ্যাডাম জাম্পার বলে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে পড়লে ভাঙে মার্করামের সঙ্গে তার ৩৩ বলে ৩৪ রানের জুটি।

পরবর্তীতে রিভিউ নিলেও কোনো লাভ হয়নি। তাতে ১৮ বলে ১৬ রান সাজঘরের পথ ধরেন মিলার। একই ওভারের শেষ বলে সাতে নামা ডোয়াইন প্রিটোরিয়াসকে দ্বিতীয় শিকার বানান জাম্পা। পরের ওভারে মার্করামের সঙ্গে ভুল বুঝাবুঝিতে রান আউট হন মহারাজ। দলীয় ৯৮ রানে মার্করাম আউট হয়েছেন ৩৬ বলে ৪০ রান করে। তিনটি চার ও একটি ছক্কায় নিজের ইনিংস সাজিয়েছেন তিনি।

শেষ দিকে ২৩ বলে একটি করে চার ও ছয়ের মারে ১৯ রান করেন রাবাদা। শেষ পর্যন্ত ৯ উইকেটে ১১৮ রানের থামে প্রোটিয়াদের ইনিংস। বোলিংয়ে অজিদের হয়ে দুটি করে উইকেট শিকার করেন মিচেল স্টার্ক, হ্যাজেলউড ও জাম্পা। একটি করে উইকেট নেন ম্যাক্সওয়েল ও কামিন্স।