টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ

আমরাও মানুষ আমরাও ভুল করি, কিন্তু ছোট করা ঠিক না: মাহমুদউল্লাহ

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
প্রকাশের তারিখ: 20:40 বৃহস্পতিবার, 21 অক্টোবর, 2021

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||

ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডকে সিরিজে হারিয়ে বিশ্বকাপের প্রস্তুতিটা বেশ ভালোভাবেই নিয়েছিল বাংলাদেশ। তবে মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের স্লো এবং টার্নিং উইকেটে সিরিজ জেতায় বাইরের সমালোচনার কমতি ছিল না। তবে ক্রিকেটার থেকে টিম ম্যানেজেমেন্টেরদের কণ্ঠে ছিল আত্মবিশ্বাসের সুর। 

যদিও সেই আত্মবিশ্বাসের দেয়ালে পেরেক বসিয়ে দিয়েছিল শ্রীলঙ্কা ও আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচ। টানা দুই ম্যাচে হারলেও স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচের আগে নির্বাচক হাবিবুল বাশার সুমন ও অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ জানিয়েছিল বাংলাদেশ এখনও আত্মবিশ্বাসী। 

যদিও সেটা মাঠের ক্রিকেটে একেবারেই দেখা যায়নি। স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে বোলাররা দারুণ শুরু করলেও শেষ পর্যন্ত ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতার হারতে হয়েছিল টাইগারদের। স্কটিশদের বিপক্ষে হারের পর বাংলাদেশের সুপার টুয়েলভের খেলা নিয়েই শঙ্কা তৈরি হয়েছিল। যে কারণে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, গণমাধ্যম বা বোর্ডের সমালোচনা শুনতে হয়েছিল মাহমুদউল্লাহবাহিনীকে। 

যা নিয়ে বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা খানিকটা অসন্তুষ্ট ছিল। ওমানকে হারানোর দিনে সংবাদ সম্মেলনে সাকিব আল হাসান খানিকটা অন্য মেজাজে ছিলেন। পাপুয়া নিউ গিনিকে হারিয়ে বাংলাদেশ যখন সুপার টুয়েলভ নিশ্চিত করলো সেদিনও প্রেস কনফারেন্সে আসা মাহমুদউল্লাহও কথা বলছিলেন একটু কড়া সুরে। এটি নিয়ে প্রশ্ন ছুঁড়ে দিলে মাহমুদউল্লাহ জানান, তারাও মানুষ তাদেরও ভুল হয়। কিন্তু কাউকে ছোট করে দেখা ঠিক না। 

এ প্রসঙ্গে মাহমুদউল্লাহ বলেন, 'স্পর্শ সবই করে। আমরাও মানুষ, আমাদের অনুভূতি কাজ করে। আমাদের পরিবার আছে, সবারই পরিবার আছে। আমাদের বাবা-মায়েরা বসে থাকে টিভি সেটের সামনে, সন্তানরা বসে থাকে। তারা মন খারাপ করে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম তো এখন হাতের নাগালে, সবারই মোবাইল আছে। সমালোচনা তো হবেই। আমরাও আশা করি সমালোচনা, খারাপ খেলেএক্সহি সমালোচনা তো হবেই। কেন হবে না? কিন্তু সমালোচনার মাধ্যমে যখন কেউ কাউকে ছোট করে ফেলে তখন ওগুলো খুব খারাপ লাগে।'

‘অনেক প্রশ্ন এসেছে আমাদের স্ট্রাইকরেট, আমাদের তিনজন সিনিয়র ক্রিকেটারের স্ট্রাইক রেট নিয়ে। আমরা তো চেষ্টা করেছি। চেষ্টার বাইরে তো আমাদের কাছে কিছু নেই। এমন না যে আমরা চেষ্টা করিনি। আপ্রাণ চেষ্টা করেছি। হয়তোবা রেজাল্ট আমাদের পক্ষে আনতে পারেনি। সমালোচনা পাওয়া অবশ্যই আমাদের কাম্য, সমালোচনা হবেই। কিন্তু আরেকটু যদি স্বাস্থ্যকর হয়, আমার মনে হয় সবার জন্যই ভালো।’

‘বাংলাদেশের জার্সিটা যখন গায়ে জড়াই আমাদেরও অনুভূতি হয়। দেশের জন্য সবই থাকে। ব্যথা থাকে, কারো অনেক ধরনের ইনজুরি থাকে। আমরা ওগুলো নিয়েই খেলি৷ দিনেরপর দিন ব্যথানাশক ওষুধ খেয়েও খেলি। ভেতরের খবর অনেকেই জানেনা। তো আমার মনে এগুলো নিয়ে কমেন্ট করা ঠিক না। আশা রাখি আমরা কিছুটা স্যাটিস্ফাইড। সব থেকে বড় কথা হচ্ছে টিমের মধ্যে যে উদগ্রীবতা ছিল, ওটা খুবই ইতিবাচক ছিল। এজন্য দলের প্রতিটা সদস্যেরই ক্রেডিট দেওয়া উচিৎ।’