ভারতীয় ক্রিকেট

ইনজামামের চোখে ফেভারিট ভারত

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
প্রকাশের তারিখ: 15:51 বৃহস্পতিবার, 21 অক্টোবর, 2021

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে ম্যাচ নিয়ে মাতামাতিতে ব্যস্ত দেশ দুই সাবেক ও বর্তমান ক্রিকেটাররা। চরম উত্তেজনাপূর্ণ এই ম্যাচটিতে কোন দলের জয়ের পাল্লা ভারি তা নিয়ে তর্ক-বিতর্কের পাশাপাশি নিজেদের যুক্তি দাঁড় করাচ্ছেন তারা। এ ছাড়া আসরের শিরোপা জয়ের ক্ষেত্রেও নিজের দেশকেই এগিয়ে রাখছেন অনেকেই। এক্ষেত্রে পুরোপুরি উল্টো পথে হাঁটলেন ইনজামাম-উল-হক। সংযুক্ত আরব আমিরাতের কন্ডিশনে শিরোপা জয়ের দৌড়ে পাকিস্তান নয়, চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতকে এগিয়ে রাখলেন তিনি।

উপমহাদেশের মতোই সংযুক্ত আরব আমিরাতের উইকেটগুলোর কন্ডিশন স্পিনবান্ধব। আর এ ধরনের কন্ডিশনে ক্রিকেটের যেকোনো সংস্করণে এক কথায় অপ্রতিরোধ্য ভারত। তাছাড়া বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মা, লোকেশ রাহুল ও জসপ্রিত বুমরাহদের মতো তারকাদের নিয়ে গড়া দলটি যেকোনো দলকে চোখ রাঙাতে সক্ষম।

তাছাড়া আইসিসিরি জমকালো আসরটির মূল পর্বে মাঠে নামার আগে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচে চেনাচরিত ফর্ম দেখিয়েছে ভারত। শুরুতে ব্যাট করা অজিদের ১৫২ রানে আটকে দেওয়ার পর এক উইকেটে হারিয়ে সেই লক্ষ্য পেরিয়ে গেছে তারা। উড়ন্ত ফর্মে থাকায় আসরের অন্য দলগুলোর চেয়ে ভারতের শিরোপা জয়ের সম্ভাবনা বেশি বলে মনে করছেন ইনজামাম।

এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘যেকোনো টুর্নামেন্টে এটা নির্দিষ্ট করে বলা যায় না যে কোন দল শিরোপা জিতবে। তাদের শিরোপা জেতার কতটা সুযোগ রয়েছে তা নিয়েই এ আলোচনা। আমার মতে এই টুর্নামেন্ট জেতার অন্য যে কোনো দলের চেয়ে ভারতের সুযোগ অনেক বেশি, বিশেষ করে এই ধরনের কন্ডিশনে। তাদের দলে টি-টোয়েন্টির অভিজ্ঞ সব ক্রিকেটার রয়েছে।’

২০১৭ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে নিজেদের উদ্বোধনী ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল ভারত ও পাকিস্তান। এরপর ফাইনালেও উঠেছিল দল দুটি। এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ২৪ অক্টোবর নিজেদের প্রথম ম্যাচে একে অপরের বিপক্ষে মাঠে নামবে ভারত ও পাকিস্তান। এই ম্যাচের জয়ী দল মানসিকভাবে পুরো আসরে এগিয়ে থাকবে বলে মতামত দিয়েছেন ইনজামাম।

পাকিস্তানের সাবেক এই ক্রিকেটার বলেন, ‘সুপার-১২'তে ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে ম্যাচটি ফাইনালের আগে ফাইনাল। এই ম্যাচের মত কোন ম্যাচই উন্মাদনা ছড়াবে না। এমনকি ২০১৭ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতেও ভারত ও পাকিস্তান পরস্পরের মুখোমুখি হয়ে টুর্নামেন্ট শুরু করেছিল। শেষ পর্যন্ত দুই দলই ফাইনাল খেলে আসর শেষ করেছিল। এই উভয় ম্যাচই ফাইনালের মতো মনে হয়েছিল। সামনের ম্যাচটিতে যে দল জিতবে তাদের মনোবল বাড়বে এবং নিজেদের ৫০ শতাংশ চাপ কমিয়ে ফেলবে।’