টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ

অধিনায়কদের ইতিহাস বদলাতে পারবেন মাহমুদউল্লাহ?

সৈয়দ সামি

সৈয়দ সামি
প্রকাশের তারিখ: 13:21 রবিবার, 17 অক্টোবর, 2021

|| সৈয়দ সামি, মাসকাট থেকে ||

মাথায় পাহাড়সম প্রত্যাশার বোঝা নিয়ে আজ মাসকাটে নিজেদের বিশ্বকাপ মিশন শুরু করছে বাংলাদেশ। এই বিশ্ব আসরের দ্বিতীয় পর্বে জায়গা করে নেয়ার পাশাপাশি কিছু ব্যক্তিগত চ্যালেঞ্জও থাকছে টাইগার অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের।

ঘরের মাঠে সর্বশেষ অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ ছাড়া টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের পারফরম্যান্স দেখে মনে হবে ২০ ওভারের এই সংস্করণ যেন অচেনা এক নাম। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এবার সপ্তমবারের মতো খেলতে এসেছে বাংলাদেশ। আগের ছয় আসরে দলীয় পারফরম্যান্সের সঙ্গে বাংলাদেশের অধিনায়করাও ব্যাটে-বলে ছিলেন প্রায় মলিন।

এখন দেখার বিষয় মাহমুদউল্লাহ কি পারবেন বাংলাদেশের অধিনায়কদের ইতিহাস বদলে দিতে। ২০০৭ সালে মোহাম্মদ আশরাফুলের নেতৃত্বে প্রথম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলতে গিয়েছিল বাংলাদেশ। সেবার ৫ ম্যাচে মাত্র ৮৭ রান করেছিলেন এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান। এর মধ্যে এক ম্যাচে তার সর্বোচ্চ রান ছিল ৬১ রানের।

২০০৯ বিশ্বকাপেও বাংলাদেশের অধিনায়ক হিসেবে ছিলেন আশরাফুল। সেই আসরে গ্রুপ পর্ব থেকেই বাদ পড়েছিল বাংলাদেশ। ২ ম্যাচে অধিনায়কের ব্যাট থেকে এসেছিল মাত্র ২৫ রান। ২০১০ বিশ্বকাপে ব্যাটে-বলে পারফরম্যান্স করে  কিছুটা দ্যুতি ছড়াতে পেরেছিলেন কেবল সাকিব আল হাসান।

এই টাইগার অলরাউন্ডার ২ ম্যাচে ৭৫ রানের সঙ্গে বল হাতে নিয়েছিলেন ৪ উইকেট। যদিও দলীয় ব্যর্থতায় বাংলাদেশকে গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নিতে হয়। ২০১২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে মুশফিকুর রহিমের নেতৃত্বে আবারও গ্রুপ পর্বের বাধা পেরোতে ব্যর্থ হয় টাইগাররা।

সেবার মলিন ছিল মুশফিকের পারফরম্যান্সও। ২ ম্যাচে তিনি ব্যাট হাতে করেছিলেন মাত্র ২৯ রান। ২০১৪ সালে ঘরের মাঠে আরেকটি ২০ ওভারের বিশ্বকাপে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন এই উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান। সেই বিশ্বকাপে ৭ ম্যাচে মুশফিকের ব্যাট থেকে এসেছিল কেবল ১১৮ রান।

আর ২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের নেতৃত্বে ছিলেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। ওয়ানডেতে তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ ইর্ষনীয় সাফল্য পেলেও টি-টোয়েন্টি বাংলাদেশ তখনও পায়ের তলার মাটি খুঁজে পায়নি। মাশরাফি ৭ ম্যাচে ৩ উইকেট নিয়ে সেই ধারাবাহিক ব্যর্থতার চিত্র ফুটিয়ে তুলেছিলেন।

স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচের আগে মাহমুদউল্লাহ অবশ্য জানিয়েছেন, দলের জন্য যেভাবেই হোক অবদান রাখতে চাইবেন তিনি। আগের প্রতিটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আসরে বাংলাদেশ দলের নিয়মিত সদস্য ছিলেন মাহমুদউল্লাহ। বিগত আসরগুলোতে অধিনায়কদের পারফরম্যান্স মনে রাখেননি তিনি।

মাহমুদউল্লাহ বলেছেন, 'আপনি যেটা বললেন বিগত টুর্নামেন্টগুলোতে অধিনায়কদের পারফরম্যান্স আমি জানি না ঠিকমতো। আপনার কাছে থেকে জানলাম। তো ওই জিনিসগুলো নিয়ে খুব একটা চিন্তিত না। আমার চিন্তাটা হলো যতটুকু পারি দলের জন্য অবদান রাখার চেষ্টা করব। সবসময় চেষ্টা করব যে দলের যেন ইতিবাচক ফলাফল আনা যায়।'