|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
ক্যারিয়ারের শুরু থেকে ইংল্যান্ডের টি-টোয়েন্টি দলে কখনোই নিয়মিত হতে পারেননি ক্রিস ওকস। সে কারণে ইংল্যান্ডের হয়ে টি-টোয়েন্টি খেলার আশা এক প্রকার ছেড়েই দিয়েছিলেন তিনি। এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ১৫ সদস্যের দলে ডাক পেয়ে এক রকম বিস্মিত হয়েছেন ওকস।
২০১১ সালে টি-টোয়েন্টি ম্যাচ দিয়ে ইংল্যান্ডের জার্সি গায়ে অভিষেক ঘটে ওকসের। এরপর দীর্ঘ ১০ বছরের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে টি-টোয়েন্টি খেলেছেন সবে মাত্র ১০টি। গত জুন-জুলাইয়ে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজ দিয়ে ৬ বছর পর টি-টোয়েন্টি দলে ফেরেন তিনি।
লঙ্কানদের বিপক্ষে চার ম্যাচে মৃতব্যয়ী বোলিং করেছিলেন ওকস। উইকেট পেয়েছিলেন ৭টি। তাতেই অধিনায়ক ইয়ন মরগানের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দলে ডাক পেয়ে যান এই অলরাউন্ডার।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দলে ডাক পাবেন তেমনটা কখনো ভাবেননি উল্লেখ করে ওকস বলেন, ‘আমি কখনোই হাল ছাড়িনি। আমি ভেবেছিলাম সম্ভবত দলে ফেরার আশা শেষ হয়ে গেছে। দলের সঙ্গে আবারও খেলব এমনটা যদি বলি তা মিথ্যা বলা হয়ে যাবে।’
শ্রীলঙ্কা সিরিজের আগে ওকস শেষ টি-টোয়েন্টি খেলেছিলেন ২০১৫ সালে, পাকিস্তানের বিপক্ষে। এরপর দীর্ঘদিন ডাক না পাওয়ায় তিনি ভেবেছিলেন তাকে ছাড়াই পরিকল্পনা সাজাচ্ছে কোচিং ম্যানেজমেন্ট। তবে টি-টোয়েন্টি থেকে কখনো অবসরের কথা ভাবেননি ওকস।
তিনি বলেন, ‘আমি আশা করতাম অন্য সংস্করণের ক্রিকেটে দলে সুযোগ পেতে পারি। তবে আমি কখনো এই সংস্করণের ক্রিকেট থেকে অবসরের কথা ভাবিনি। আমার মনে হত তারা আমাকে বাদ দিয়ে টি-টোয়েন্টির জন্য পরিকল্পনা সাজাচ্ছে।’