|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের জাতীয় নির্বাচনের চেয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নির্বাচন কোনো অংশেই কম নয় নাইমুর রহমান দুর্জয়ের কাছে। বরঞ্চ বিসিবি নির্বাচনকেই কিছুটা কঠিন বলছেন বাংলাদেশের সাবেক এই অধিনায়ক।
পারিবারিক ঐতিহ্য ধারণ করেই বাংলাদেশ সরকারের মানিকগঞ্জ জেলার সাংসদ হয়েছেন দুর্জয়। তার প্রয়াত পিতা অধ্যক্ষ আবু মোহাম্মদ সাইদুর রহমান মানিকগঞ্জের বিশিষ্ট সামাজিক, রাজনৈতিক ও শিক্ষা-সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব। মানিকগঞ্জের নির্বাচিত সাংসদও ছিলেন তিনি।
দুর্জয়ের গর্ভধারিণী নীনা রহমান মানিকগঞ্জ জেলা আওয়ামী লিগের সভানেত্রী। দেশের রাজনীতি ছাড়াও বিসিবিতে বেশ রাজকীয়ভাবে প্রবেশ করেছিলেন দুর্জয়। দেশের ক্রিকেটে উন্নয়নেও অংশ নিয়েছেন সাবলীলভাবে।
আসন্ন বিসিবি নির্বাচনে আবারও লড়াই চালিয়ে যেতে হবে দুর্জয়কে। এই লড়াইটাও বেশ কঠিন। কেননা ঢাকা বিভাগে দুর্জয়ের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন সৈয়দ আশফাকুল ইসলাম টিটু (কিশোরগঞ্জ), তানভীর আহমেদ টিটু (নারায়ণগঞ্জ) ও খালিদ হোসেন (মাদারীপুর)।
তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতার আভাস নির্বাচনের আগেই পেয়েছেন দুর্জয়। তিনি বলেন, 'আসলে আমার কাছে যা মনে হয়, যত কম ভোটের নির্বাচন তত বেশি শক্তিশালী হয়। কারণ আমি যেটা অনুভব করি যে, আমি দুইটা নির্বাচন করি। একটা প্রায় চার লক্ষ ভোটের, আরেকটা ১৭ ভোটের। আমার মনে হয় যে এটা একটু কঠিন। দুইটাই মানুষের অভিব্যক্তি, বা নিজের কাজ বা কি কাজ করলাম, মানুষের জন্য কতটা করলাম, সেটার ফলাফল জানতে চাইলে আসলে নিজের মূল্যায়নের জন্যই নির্বাচন করা।'
এবারের নির্বাচনে সবচেয়ে কঠিন লড়াইয়ের আভাস মিলেছে ঢাকা বিভাগে। দুর্জয়ের যে তিন প্রতিদ্বন্দ্বী আছেন তাদেরও দুর্জয়ের মতই সামাজিক, রাজনৈতিক ও পারিবারিক সুনাম আছে। এ ছাড়া নিজ নিজ জেলা ক্রীড়াসংস্থার অন্যতম শীর্ষ কর্তা এই তিনজন।
এর মধ্যে ২০১৭ সালে নির্বাচিত সৈয়দ আশফাকুল হক টিটু মুজিব নগরের অস্থায়ী সরকারের প্রেসিডেন্ট সৈয়দ নজরুল ইসলামের ভাতিজা। এ ছাড়া আওয়ামী লিগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের চাচাতো ভাই তিনি।
বিসিবির গত নির্বাচনে তুমুল লড়াই চালিয়েও জিততে পারেননি তানভির আহমেদ টিটু। নারায়নগঞ্জের আলোচিত রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব শামীম ওসমানের শ্যালক তিনি। এ ছাড়া নারায়নগঞ্জ ক্লাবের প্রেসিডেন্ট, নারায়নগঞ্জ জেলা ক্রীড়াসংস্থার সাধারণ সম্পাদক তিনি।
এদের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খালিদ হোসেন। তিনি মাদারীপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এবং জেলা ক্রীড়াসংস্থার অন্যতম শীর্ষ কর্তা।
দারুণ প্রতিদ্বন্দ্বিতার আভাস পেয়ে দুর্জয় আরও বলেন, 'উত্তেজনা তো কাজ করেই, আর ভোট আসলে এমন একটা জিনিস যে মানুষ শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত চিন্তা করে, আর খেলার মাঠের ব্যাপারটা সম্পূর্ন আলাদা। সেখানে আগে থেকে প্রিপারেশনের একটা ব্যাপার থাকে, পূর্ব পরিকল্পনা থাকে, খেলা নিয়ে মোটামুটি একটা ধারণা থাকে, তবে নির্বাচনে আপনার ধারণার উপর কিছু নির্ভর করে না। এটা নির্ভর করছে ভোটাররা কী ভাবছে, তারা কিন্তু শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত চিন্তাভাবনা করে। বুথের ভেতরে গিয়েও অনেকসময় সিদ্ধান্ত বদলায়। একটা অনিশ্চয়তার মধ্যে তো থাকতেই হয়।'