বাংলাদেশ ক্রিকেট

সভাপতি হিসেবে নতুন কাউকে চান পাপন

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
প্রকাশের তারিখ: 18:35 মঙ্গলবার, 21 সেপ্টেম্বর, 2021

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||

২০১২ সালে সরকারের মনোনয়নে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছিলেন নাজমুল হাসান পাপন। এরপর ২০১৩ সালে বিনা-প্রতিদ্বন্দ্বীতায় আবারও সভাপতি নির্বাচিত হন তিনি। ২০১৭ সালের নির্বাচনেও পাপনের কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন না।

দীর্ঘদিন ধরে বিসিবির সভাপতি হিসেব দায়িত্ব পালন করার পর এবারের বোর্ডে নতুন কাউকে চাচ্ছেন পাপন। নতুন কেউ এসে সভাপতি হওয়ার চ্যালেঞ্জ নিলে তিনি খুশি হবেন বলে জানিয়েছেন। এদিকে সভাপতি হিসেবে নতুন কেউ আসলে তাঁকে পূর্ণ সমর্থন দেবেন বলেও আশার কথা শুনিয়েছেন তিনি। 

মঙ্গলবার (২১ সেপ্টেম্বর) গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে পাপন বলেন, ‘সভাপতি পদের কথা বললে আর কেউ নাম বলে না। কেন বলে আমি জানি না। আমি বলছি না আমি সফল হবো কিন্তু আমি চেষ্টা করব এবং চাইবো যে নতুন কেউ আসুক। নতুন কেউ আসলে খুশি হবো। আমি পুরোপুরি সমর্থন দেবো কোন অসুবিধা নেই।’

তিনি আরও বলেন, ‘যেই আসুক আমি তাদের পূর্ণ সমর্থন দেবো। আমরা যদি হেরেও যাই নতুন যারা আসবে তাদের সমর্থন দেবো। আমাকে যখন যা বলবে তখন তাই করবো। এটা কিন্তু ঠিক না যে এক রকমভাবে চলছে চলবেই। আর কারও ইচ্ছে থাকবে না থাকলে বলবেও না। এই জিনিসটা মনে হয় ঠিক না।’

পাপন দীর্ঘদিন ধরে বিসিবির সভাপতি হিসেবে থাকায় অনেকের ধারণা, পাপন থাকাকালীন কিংবা তিনি মারা যাওয়ার আগ পর্যন্ত অন্য কেউ সভাপতি হতে চাইবেন না। তবে মানুষের এই ধারণা বিশ্বাস করেন না পাপন। এটা ভুল জিনিস বলে মনে করেন তিনি। 

পাপনের চাওয়া নতুন কেউ এসে অন্তত সভাপতি হওয়ার আগ্রহের কথা বলুক। বিসিবিতে থাকা কর্মকর্তারা সবাই পরিচালক হতে চাইলেও কেউ সভাপতি হতে চান না বলে জানান তিনি। দায়িত্ব নিতে পারে এমন নতুনদের পাইপলাইন চান বোর্ড সভাপতি।

এ প্রসঙ্গে পাপন বলেন, ‘আমি যদি এখানে থাকি, আমার একটা জিনিস মনে হচ্ছে যে আমি মারা যাওয়ার আগ পর্যন্ত কেউ এই পদটা নিতে চাইবে না। এটা একটা ভুল জিনিস আমি এটা মনে প্রাণে বিশ্বাস করি না। আমি চাই আমার বোর্ডে যারাই আসুক তারা চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করুক আমি সভাপতি হতে চাই। অন্তত বলুক, এখন তো কেউ বলেও না। এটা ভালো দিক না।’

তিনি আরও বলেন, ‘কারও জন্য কিছু আটকে থাকে না। আমাদের একটা পাইপলাইন থাকা উচিত নতুন নতুন যারা দায়িত্ব নেবে। এটার জন্য আমি চাচ্ছি লিডারশিপ তৈরি করা উচিত। বাংলাদেশে লিডারশিপের অভাব নেই। কি কারণে যেন কেউ আসতে চায় না। সবাই পরিচালক হতে চায়। এমন কেউ নেই যে পরিচালক হতে চায় না।’