|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
চলতি মাসে শেষ হয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি হিসেবে নাজমুল হাসান পাপনের বোর্ডের মেয়াদ। বিসিবির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, বোর্ডের মেয়াদ শেষ হওয়ার ৪৫ কার্যদিবসের মধ্যে নির্বাচন হতে হবে।
সেই পরিকল্পনা নিয়েই এগোচ্ছে বর্তমান বোর্ড। এরই মধ্যে মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হয়েছে পাপনের নেতৃত্বে সর্বশেষ বোর্ড সভা। এই সভা শেষে সংবাদ মাধ্যমকে নির্বাচনের রূপরেখা নিয়ে বিস্তারিত বলেছেন বিসিবি সভাপতি।
তিনি জানিয়েছেন এবারের নির্বাচনে থাকছে না কোনো প্যানেল। পাপন নিজেও নির্বাচন করবেন একজন পরিচালক হিসেবে। নির্বাচনের পর পরিচালকদের ভোটে নির্বাচিত হবে বিসিবির নতুন সভাপতি।
পাপন বলেন, 'প্রত্যেকবার একটা প্যানেল থাকে। প্যানেলটা দিলে হয় কি আর কেউ দাঁড়ায়ই না। অপ্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে যাচ্ছে। এবার তো প্যানেলেই নাই। এবার তো কেউ বলতে পারবে না যে এ আমার প্রার্থী কিংবা ও আমার প্রার্থী। আমি আশা করবো এবার নির্বাচনটা হোক।'
পাপন জানিয়েছেন, পরিচালকরা অন্য কাউকে সভাপতি নির্বাচিত করলে তাকে স্বাগত জানাবেন। যদিও বিসিবি সভাপতি হওয়ার দৌড়ে পাপনের কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী থাকছে না বলেই ধারনা করা হচ্ছে।
বিসিবি সভাপতি যোগ করেন, 'আমি যদি এখানে থাকি, আমার একটা জিনিস মনে হচ্ছে যে আমি মারা যাওয়ার আগ পর্যন্ত কেউ এই পদটা নিতে চাইবে না। এটা একটা ভুল জিনিস আমি এটা মনে প্রাণে বিশ্বাস করি না। আমি চাই আমার বোর্ডে যারাই আসুক তারা চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করুক আমি সভাপতি হতে চাই। অন্তত বলুক, এখন তো কেউ বলেও না। এটা ভালো দিক না। কারও জন্য কিছু আটকে থাকে না। আমাদের একটা পাইপলাইন থাকা উচিত নতুন নতুন যারা দায়িত্ব নেবে।'
এর আগে সরকারের মনোনয়নে ২০১২ সালের অক্টোবরে বিসিবি সভাপতির দায়িত্ব দেন পাপন। এরপর ২০১৩ সালে বিনা-প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আবারও সভাপতি হন তিনি।
২০১৭ সালের নির্বাচনেও পাপনের কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন না। এবারও নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন বর্তমান এই সভাপতি। যদিও এবার শুধু পরিচালক হিসেবেই নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন তিনি।