|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
স্লো এবং টার্নিং উইকেট থেকে বোলাররা বাড়তি সুবিধা পাওয়ায় অস্ট্রেলিয়ার সিরিজ খুব বেশি রান দেখা যায়নি। পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে দলীয় সর্বোচ্চ ১৩১ রান করেছিল বাংলাদেশ। মিরপুরের উইকেট থেকে রান তোলা কতটা কঠিন ছিল সেটা বোঝা গেছে ক্রিকেটারদের কথাতেই।
অস্ট্রেলিয়া সিরিজের মতো স্লো এবং টার্নিং উইকেট ছিল নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে। যেখানে রান তুলতে গিয়ে ধুঁকেছে দুই ব্যাটসম্যানরা। বল হাতে সুবিধা পেলেও ম্যাচ শেষে সাকিব আল হাসান জানিয়েছেন, প্রথম ম্যাচের উইকেটে অস্ট্রেলিয়া সিরিজের চেয়েও কঠিন ছিল।
এ প্রসঙ্গে সাকিব বলেন, ‘আমার মনে হয়, অস্ট্রেলিয়া সিরিজের চেয়েও কঠিন উইকেট ছিল প্রথম ম্যাচটায়। তারপরও বলতে হবে, আমরা ভালো জায়গায় বোলিং করতে পেরেছি। নিউজিল্যান্ডের যেহেতু খুব বেশি অভিজ্ঞতা ছিল না এই কন্ডিশনে খেলার, স্বাভাবিকভাবেই অনেক ধুঁকেছে ওরা।’
অভিজ্ঞ এই অলরাউন্ডার আরও বলেন, ‘অস্ট্রেলিয়ার সিরিজ ও এই ম্যাচ জুড়ে আমরা সত্যিই ভালো বোলিং করছি। ব্যাটিং এখনও নিজেদের মানে হচ্ছে না। তবে কন্ডিশন ব্যাটসম্যানদের জন্য সহজ নয়। তাই ভালো স্কোর গড়তে আমাদের সত্যিই ভালো ব্যাটিং করতে হবে।’
পুরো ম্যাচ জুড়ে রান তুলতে গিয়ে খাবি খেয়েছে ব্যাটসম্যানরা। যেখানে নিউজিল্যান্ড ৬০ রানে অল আউট হওয়ার পর সেই রান তুলতে গিয়ে ১৫ ওভার খেলতে হয়েছে বাংলাদেশের। দুই দলের ব্যাটসম্যানরা মিলে পুরো ম্যাচে কোন ছক্কা মারতে পারেননি।
যদিও চার মেরেছিলেন মোটে আটটি। এমন স্লো এবং টার্নিং উইকেটে বাউন্ডারি মারা বরাবরই কঠিন। তাই সাকিব মনে করেন, এখানে বাউন্ডারি মারার চেয়ে এক বা দুই রান করে নেয়াই গুরুত্বপূর্ণ। তাতে ব্যাটসম্যানদের চাপ সরিয়ে নেয় বলে দাবি করেছেন অভিজ্ঞ এই অলরাউন্ডার।
সাকিব বলেন, ‘এখানে গুরুত্বপূর্ণ হলো সিঙ্গেলস যত বেশি নেওয়া যায়, কিংবা রানিং বিটুইন দ্য উইকেট। এই দুটি জিনিসে যত বেশি ফোকাস করা যায় তত ভালো। কারণ, বাউন্ডারি মারা খুবই কঠিন। ইতিবাচক মানসিকতায় থাকলে যেটা হবে, সিঙ্গেল-ডাবলস নেওয়া সহজ হয়। যেটা একটা ব্যাটসম্যানের চাপ সরিয়ে নেয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘তার পর সেট হয়ে গেলে একটা-দুইটা বাজে বল পেলে কাজে লাগানো যায়, তাহলে রান করা হয়তো সম্ভব এখানে। তবে যত কিছুই বলি, খুবই কঠিন কন্ডিশন ব্যাটসম্যানদের জন্য, অনেক চ্যালেঞ্জিং একটা পরিস্থিতির ভেতর দিয়ে ব্যাটসম্যানরা যাচ্ছে এই পিচে খেলার মাধ্যমে।’