বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ড সিরিজ

অজি বধের পর বাংলাদেশের সামনে এবার কিউইরা

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
প্রকাশের তারিখ: 17:15 মঙ্গলবার, 31 আগস্ট, 2021

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||

নিউজিল্যান্ডের বাংলাদেশ সফরের দলে নেই বিশ্বকাপ স্কোয়াডের কোনো ক্রিকেটার। যদিও এই দলেও রয়েছেন বেশ কয়েকজন তরুণ ও প্রতিভাবান ক্রিকেটার। দলে ফিরেছেন কয়েকজন অভিজ্ঞ ক্রিকেটারও।

ফলে সিরিজটিকে হালকাভাবে নেয়ার সুযোগ নেই বাংলাদেশের। পাঁচ ম্যাচ সিরিজের আগে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় দুশ্চিন্তার কারণ হতে পারে ওপেনিং জুটি। সর্বশেষ অস্ট্রেলিয়া সিরিজে সৌম্য সরকারের ব্যাট থেকে এসেছে কেবল ৪২ রান।

এমন পারফরম্যান্সের পর নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ শুরুর ম্যাচে সৌম্য নয় বরং লিটন দাস ও নাইম শেখের ওপরই ভরসা রাখতে পারেন বাংলাদেশ দলের প্রধান কোচ রাসেল ডমিঙ্গো। সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচে কিপিং করছেন না মুশফিকুর রহিম।

ফলে নিশ্চিতভাবেই কিপিং গ্লাভস উঠছে নুরুল হাসান সোহানের হাতে। এর ফলে কপাল পুড়তে পারে শামীম হোসেন পাটোয়ারির। মুশফিক দলে ফেরায় অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রথম ৪ ম্যাচে বাংলাদেশ যে একাদশ খেলিয়েছিল সেখান থেকে বাদ পড়তে পারেন এই তরুণ বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। 

স্পিন আক্রমণে সাকিব আল হাসানের সঙ্গে থাকবেন শেখ মেহেদী ও নাসুম আহমেদ। আফিফ হোসেন ধ্রুব ফিট থাকলে তিনিও দলের প্রয়োজনে হাত ঘোরাতে পারবেন। যদিও সোমবার অনুশীলনে তাসকিন আহমেদের বাউন্সারে কুনুইয়ে চোট পেয়েছেন আফিফ।

অবশ্য সিরিজের প্রথম ম্যাচে তাকে পেতে আশাবাদী বাংলাদেশ অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ। ম্যাচ পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, 'আফিফ এই মুহুর্তে ভালো আছে। কালকে (বুধবার) আশা করি ওকে আমরা পাবো।’

বাংলাদেশের পেস আক্রমণে অস্ট্রেলিয়া সিরিজের মতো এই সিরিজেও থাকছেন মুস্তাফিজুর রহমান ও শরিফুল ইসলাম। কিউইদের বিপক্ষে সর্বশেষ ঘরের মাঠে ১০ ম্যাচে মাত্র একটিতে হেরেছে টাইগাররা। ৫ ম্যাচ টি-টোয়েন্টির আগে এই রেকর্ডই বাড়তি আত্মবিশ্বাস যোগাচ্ছে মাহমুদউল্লাহর দলকে।

এদিকে, নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে এখন পর্যন্ত ১০টি টি-টোয়েন্টি খেলে সবকটিতেই হেরেছে বাংলাদেশ। ফলে কিউইদের দ্বিতীয় সারির দলের বিপক্ষে জয় দিয়ে খরা কাটানোর সুবর্ণ সুযোগ রয়েছে স্বাগতিকদের সামনে। যদিও এর অনেকটাই নির্ভর করছে ব্যাটসম্যানদের পারফরম্যান্স ওপর।

অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সর্বশেষ সিরিজে দলীয় সর্বোচ্চ রান ছিল ১৩১ রানের। সেটাও প্রথম ম্যাচে। পরের ম্যাচগুলোতে কোনো দলই সেই রান টপকাতে পারেনি। মিরপুর শের ই বাংলা স্টেডিয়ামের ধীর ও মন্থর উইকেটে দুই দলের জন্যই বড় রান করা বেশ চ্যালেঞ্জিং হতে পারে।

যদিও বাংলাদেশ দলের প্রধান কোচ একদিন আগেই ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছিলেন তিনি ১৫০-১৬০ রানের উইকেট চান তিনি। যাতে করে বিশ্বকাপের আগে দলের ব্যাটসম্যানদের আত্মবিশ্বাস বাড়ে। এখন দেখার বিষয় এই উইকেটে নিজেদের কতটা ঝালিয়ে নিতে পারেন বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা।

বাংলাদেশের সামনে অনভিজ্ঞ এক দল নিয়ে মাঠে নামতে চলেছে নিউজিল্যান্ড। কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম, স্কট কুজ্ঞেলেইন ও অধিনায়ক টম লাথামই টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে ১০ বা ততোধিক ম্যাচ খেলেছেন। যদিও দলে হ্যানরি নিকোলস, টম ব্লান্ডেল ও উইল ইয়ংয়ের মতো ক্রিকেটাররাও পার্থক্য গড়ে দিতে পারেন।

করোনায় আক্রান্ত হওয়ার কারণে এই সিরিজে ফিন অ্যালেনকে নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে। এই সিরিজে নিউজিল্যান্ড দলের সঙ্গে রয়েছেন অভিষেকের অপেক্ষায় থাকা তিন ক্রিকেটার কোল ম্যাকননি, রাচিন রবীন্দ্র ও বেন সিয়ার্স। 

নিউজিল্যান্ডের স্পিন আক্রমণের নেতৃত্বে থাকছেন অভিজ্ঞ আইজাজ প্যাটেল। তার সঙ্গে থাকবেন আরও দুই স্পিনার ম্যাকননি ও রবীন্দ্র। সিরিজ শুরুর আগে সংবাদ সম্মেলনে কিউই অধিনায়ক টম লাথাম জানিয়েছেন, তারা সেরা একাদশ নিয়েই মাঠে নামবে। দলে অনেক অলরাউন্ডার থাকায় একাদশ সাজানো সহজ হবে বলে বিশ্বাস তার।

তিনি বলেন, 'আমাদের সেরা একাদশটাই বাছাই করতে হবে। দলে অনেক অলরাউন্ডার রয়েছে। এর ফলে দলের কম্বিনেশন ঠিক করা অনেকটা সহজ হয়ে যাবে। আমাদের দলের বেশ কয়েকজন তরুণ ক্রিকেটার আছে। সেই সঙ্গে অভিজ্ঞ ও অনভিজ্ঞ ক্রিকেটার রয়েছে। সবকিছুর মিশেলেই আমরা সেরা একাদশ নিয়ে তৈরি করবো।'

বাংলাদেশ একাদশ (সম্ভাব্য)- নাইম শেখ, লিটন দাস, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ (অধিনায়ক), নুরুল হাসান সোহান (উইকেটরক্ষক), আফিফ হোসেন ধ্রুব, শেখ মেহেদী হাসান, শরিফুল ইসলাম, মুস্তাফিজুর রহমান ও নাসুম আহমেদ।

নিউজিল্যান্ড একাদশ (সম্ভাব্য)- হ্যানরি নিকোলস, উইল ইয়ং, রাচিন রবীন্দ্র, টম লাথাম (অধিনায়ক/উইকেটরক্ষক), টম ব্লান্ডেল, কোল ম্যাককনি, কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম, ডগ ব্রাসওয়েল, স্কট কুজ্ঞেলেইন, হামিশ ব্যানেট ও আইজাজ প্যাটেল।