বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ড সিরিজ

বাংলাদেশের জন্য কাটার তৈরি রাখছেন সিয়ার্স

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
প্রকাশের তারিখ: 14:59 সোমবার, 30 আগস্ট, 2021

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||

নিউজিল্যান্ডের বাংলাদেশ সফরের দলে আছেন বেন সিয়ার্স। এই তরুণ পেসার ২০১৬ সালে বাংলাদেশ সফরে এসেছিলেন অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে খেলতে। যদিও সেই সফরটি দুর্বিসহ কেটেছিল তার। খেলতে পেরেছিলেন মাত্র এক ম্যাচে।

এবার বাংলাদেশ সফরে এসে তার মনে হচ্ছে ভিন্ন জগতে এসেছেন তিনি। কারণ নিউজিল্যান্ডের কন্ডিশনের সঙ্গে বাংলাদেশের কন্ডিশনের অনেক পার্থক্য। ঘরের মাঠের কন্ডিশনের উইকেট থেকে গতি আর বাউন্স দুটোই পান তিনি।

যদিও বাংলাদেশে এর কোনোটাই নেই। এখানকার মন্থর উইকেটে পেসারদের রীতিমত যুদ্ধ করতে হয়। তবে এই কন্ডিশনেও স্লোয়ার ও কাটার বেশ কার্যকর। মাঠে নামার আগে বাংলাদেশের কন্ডিশনই তার কাছে সবচেয়ে কঠিন মনে হচ্ছে।

সিয়ার্স বলেছেন, ‘এখানে সত্যিই সব ভিন্ন। বাড়ির মতো নয়। চোখ খুলে যাচ্ছে। মনে হচ্ছে ভিন্ন জগতে আছি। প্রচুর গরম এখানে। এই প্রথম ট্রেনিংয়ে এতোটা উত্তাপ টের পেয়েছি। এখন মানিয়ে নিচ্ছি এবং অস্বস্তিবোধ অবস্থায় কিভাবে বোলিং করতে হবে সেটা শিখছি। তবে আপনি যদি হাইড্রেটেড থাকেন তবে দুর্দান্ত।’

বাংলাদেশের কন্ডিশন থেকে সুবিধা না পেলেও স্মার্ট বোলিংয়ের আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন এই পেসার। নেটে বোলিং করে তার মনে হয়েছে বেশি গতির বলে ব্যাটসম্যানরা চড়াও হতে পারে। তাই কাটারেই ভরসা রাখছেন তিনি।

সিয়ার্স বলেছেন, ‘আমি গতি তুলতে পছন্দ করি। কিন্তু এখানকার কন্ডিশন ভিন্ন। এজন্য স্মার্ট হতে হবে। নেটে বোলিং করে মনে হচ্ছে দ্রুতগতির বলে ব্যাটসম্যানরা চড়াও হতে পারে। এজন্য বৈচিত্র্য থাকতে হবে। মনে হচ্ছে অফ কাটারে সফল হওয়া যাবে।’

অভিষেকের আগেই রোমাঞ্চ ছুঁয়ে যাচ্ছে তরুণ এই পেসারকে। তিনি বলেন, ‘অভিষেক হলে দুর্দান্ত হবে। সফরটাই অনেকটা তালগোল পাকানো। আমি সম্ভবত দেশের ১৫তম পেসার। কারণ তারকা অনেকেই নেই এখানে। তবুও জাতীয় দলের হয়ে এখানে আসা বড় সুযোগ।’